বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

‘বৃদ্ধাশ্রম’ সন্তানদের সচেতন করবে

‘বৃদ্ধাশ্রম’ সন্তানদের সচেতন করবে

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বড় পর্দায় আসছেন তাঁরই পরিচালিত ও অভিনীত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ছবিটি নিয়ে। এর আগে ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান।  ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে জানতে তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

গায়ক থেকে চলচ্চিত্র পরিচালনায় কীভাবে যুক্ত হলেন?

আসলে আমরা যাঁরা শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত আছি তাঁদের দরকার দেশীয় সামাজিক প্রেক্ষাপট দর্শকের সামনে তুলে ধরে সামাজিক আন্দোলনকে বেগবান করা। কারণ অতীত থেকে দেখে আসছি আমাদের দেশে সামাজিক আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে দর্শক তা দেখতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমি গান করি, একসময় মঞ্চে অভিনয় করতাম। অনন্যা গ্রুপ থিয়েটারের সদস্য ছিলাম। তাছাড়া দেড় শর মতো মিউজিক ভিডিও বানিয়েছি। আমার পরিচালনায় অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রও আছে। তাই একজন শিল্পী হিসেবে আমার মনে হলো চলচ্চিত্র যেহেতু সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম, তাই এর মাধ্যমে দর্শকদের সামাজিক আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের একটি আইন হয়েছে প্যারেন্টস কেয়ার অ্যাক্ট। সরকারের এই আইনটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নিয়ে চলচ্চিত্রের গল্প লিখব ও পরিচালনা করব। দর্শকদের এই আইনটা সম্পর্কে জানানো ও সামাজিক আন্দোলন বেগবান করার জন্যই মূলত চলচ্চিত্র পরিচালনায় এসেছি। এ ছবিটি দেখলে সমাজের মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের কাছে শেষ বয়সে অবহেলার শিকার হবেন না। ছবিটি সন্তানদের সচেতন করবে। আর যেহেতু সরকার আমাকে ছবি নির্মাণে অনুদান দিয়েছে তাই আমার কনসেপ্ট হলো দেশ ও সমাজের মঙ্গল হয় এমন বিষয় নিয়েই ছবি নির্মাণ করতে হবে।

 

‘বৃদ্ধাশ্রম’ ছবির ট্রেইলার ও গান ইতোমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে, কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি ও দারুণ সাড়া মিলছে। ট্রেইলার প্রকাশের প্রায় দেড় সপ্তাহের মাথায় সাড়ে ৪ লাখ ভিউ এবং গান প্রকাশের মাত্র তিন দিনে দেড় লাখ ভিউ হয়েছে। দর্শক দারুণ সব মন্তব্য করছেন ট্রেইলার দেখে। অনেকে বলছেন, সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে এবং সচেতনতা বাড়াতে নির্মিত ছবিটি হলে গিয়ে দেখবেন। আমার বিশ্বাস, ছবিটি একবার কেউ দেখলে পরেরবার পরিবারসহ আসবেন হলে। ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এ ইয়ামিন হক ববি, হাসান ইমাম, শম্পা রেজা, প্রবীর মিত্র, বড়দা মিঠু, আফজাল শরীফ, আমিসহ বড় বড় সব অভিনয়শিল্পী আছেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ মুক্তি পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৩০টি সিনেমা হল চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

 

ফের আপনি ছবির জন্য সরকারি অনুদান  পেয়েছেন...

আমার এবারের ছবির নাম ‘নীল আকাশে পাখি ওড়ে’। এই গল্পটিও আমার লেখা। পরিচালনাও আমি করব। শুধু যে অনুদানের ছবিই নির্মাণ করছি তা নয়, আরও দুটি গল্প লেখার কাজ চলছে। ওই দুটি গল্প নিয়েও এ বছর ছবি নির্মাণ শুরু হবে। প্রতিটি ছবিই হবে তারকাবহুল।

 

নতুন গানের কী খবর?

প্রতি মাসেই একটি-দুটি করে গান করছি ‘এসডি রুবেল ফাউন্ডেশন’ থেকে। আমরা যাঁরা ক্যাসেটের যুগে এসেছি, তাঁদের গান শ্রোতারা শুনতেন, দেখতেন না। এখন গানের প্রধান মাধ্যম ইউটিউব। সেখানে অডিওর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ভিডিও লাগে। নইলে ইউটিউব প্রমোটও করে না। একটা দৃষ্টিনন্দন ভিডিও ও শ্রুতিমধুর গান তৈরি করতে গেলে অন্তত ৫-৭ লাখ টাকা লাগে। সেটা কী করে একজন শিল্পী বহন করবেন? এক্ষেত্রে করপোরেট কোম্পানিগুলো এগিয়ে না এলে ভবিষ্যতে গানের বাজার আরও খারাপ হবে।

সর্বশেষ খবর