রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করাটা বড় পাওয়া

আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করাটা বড় পাওয়া

ওপার বাংলার স্বনামধন্য অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। যিনি চরিত্র ও চলচ্চিত্র নির্বাচনে কঠোর, স্বার্থপর। বাংলাদেশের বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজের কথা রয়েছে এ অভিনেত্রীর। সম্প্রতি তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রহস্য থ্রিলার চলচ্চিত্র কামরুল ইসলাম রিফাতের ‘ওয়ান ইলেভেন’-এ। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

ভালো আছি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে একটা সার্জারি হয়েছিল। তারপর এক মাস রেস্ট নিয়েছি, বাড়িতেই ছিলাম। বেডরেস্ট তো আর হয় না, হোমরেস্ট হয়। সো এখন ভালো আছি। একদম পারফেক্টলি ফাইন।

 

জানা গেল ওয়ান ইলেভেন-এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অভিনয়ে সম্মতি দেওয়ার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ রয়েছে?

ওপার বাংলায় কাজ করার ইচ্ছা আমার প্রবল এবং সেটা বহু বছর ধরে। ২০০৮ সালে প্রথমবার আর ওই একবারই গিয়েছিলাম ঢাকায় একটা কমার্শিয়াল ফিল্মের শুটিং করতে। তারপর বহু পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে কথা হয়েছে, স্ক্রিপ্ট আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু ঠিক কাজটি করা হয়নি, ব্যাটে-বলে হয়নি সবটা। নির্মাতা কামরুল রিফাত ওয়ান-ইলেভেনের গল্পটা আমাকে পাঠিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কভিডের এ পুরো যন্ত্রণার মধ্যেই প্রথম গল্পটা পড়েছিলাম। এরপর থেকেই রিফাতের টিমের সঙ্গে আমার যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল। তারপর আমি স্ক্রিপ্ট, অনেকগুলো ড্রাফট পড়েছি, চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জুমকলে অনেকগুলো মিটিং করেছি এবং একরকম মুগ্ধতায় তৈরি হয়েছে পুরো গল্প, ওনারা যেভাবে শুটিং করতে চান পুরো বিষয়টার সঙ্গে। এবং সেই মুগ্ধতা থেকেই কাজটা করতে চাওয়া। আর আমি সবসময় এমন চরিত্র করতে চাই যেগুলো আমি আগে কখনো করিনি।

 

বাংলাদেশের গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ। কেমন বোধ হচ্ছে?

আমি বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিশাল ভক্ত। প্রায় অনেকের কাজই ফলো করি, ওটিটি প্ল্যাটফরমে হোক বা এখানে কলকাতায় যে ছবিগুলো রিলিজ করে সেগুলো দেখার জন্য উদ্বগ্রীব হয়ে বসে থাকি। আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করাও একটি বড় পাওয়া। আফজাল হোসেন তো আছেনই, বাকি যে কলাকুশলীরা যারা আছেন প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।

 

ধূসর চরিত্রে চমকে দিয়েছিলেন, এবারও তেমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে?

নিঃসন্দেহে। আমি গৎবাঁধা কোনো চরিত্রে কাজ করব না। আর যেসব চরিত্রে আমাকে দর্শক দেখে ফেলেছে তেমন চরিত্রেও কাজ করব না। কারণ, আমি একদম নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। সবসময় চাই নতুনভাবে দর্শকের সামনে আসার। সেটা হোক নতুন চরিত্র, সাজ-পোশাক বা চেহারা।

 

চলচ্চিত্রটি কি মিস্ট্রি থ্রিলার নাকি পলিটিক্যাল থ্রিলার?

আমাদের জীবনটাতো রাজনীতি এবং রহস্যের বাইরে নয়। রহস্য আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সর্বদাই এবং সেটা ছবি বা গল্পের ক্ষেত্রেই হোক। সবকিছু মিশে আছে জীবনের মতো।

 

নবীন নির্মাতার ওপর আস্থা রেখে কতটা নির্ভার বোধ করছেন?

আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে মনে হয় আমি সবচেয়ে বেশি নতুন পরিচালক, নতুন প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ করেছি। পরিচালকদেরও প্রথম ছবি এবং আমারও তাদের সঙ্গে প্রথম ছবি। তাই আমি কখনো নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভয় পাই না।

সর্বশেষ খবর