বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

সবাই বলবে ওই যে টিক্কা খান যাচ্ছে

সবাই বলবে ওই যে টিক্কা খান যাচ্ছে

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে আলোচনায় থাকেন তিনি। ১৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে। এটিতে টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

টিক্কা খান রূপে জায়েদ খান!

হ্যাঁ, ‘বাংলার কসাই’ টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আনফরচুনেটলি, নেগেটিভ চরিত্র করতে হলো আর কি! অডিশনটা এখানে হলেও মুম্বাইতে লুক টেস্ট হয়েছিল। সবমিলিয়ে আমাকে দারুণ মানিয়েছে।

 

নায়ক হয়ে কেন খলচরিত্রে অভিনয়?

বঙ্গবন্ধুর ছবিতে একটি ক্যারেক্টার করেছি এটাই তো বড় পাওয়া। ক্যারেক্টার তো ক্যারেক্টারই! ছবিতে কোনো পারিশ্রমিক নিইনি। ১ টাকায় সাইন করেছি। আমি মনে করি, যতদিন বেঁচে থাকব সবাই বলবে, ওই যে টিক্কা খান যাচ্ছে। আমাদের তথ্যমন্ত্রী মহোদয় তো আমাকে দেখলেই হাসেন। বলেন, টিক্কা খান কোথায়?

 

আর কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন?

সায়ন্তিকার সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রে প্রথম লটের কাজ শেষ করলাম। তাঁর সঙ্গে ‘টাইগার’ ছবিরও সাইন করেছি। যদি পরিস্থিতি ভালো থাকে তবে বাংলাদেশ ও লন্ডনে শুটিং করব। অন্যদিকে ‘সোনার চর’, ‘বাহাদুরী’ রিলিজের অপেক্ষায়। আর কিছু ব্র্যান্ডের কাজও করছি। এই তো আমেরিকায় শো করে এলাম। দুবাইয়ে গেলাম। ওহ, আরও করছি ‘লিপস্টিক’। জায়েদ খানের নাম ভূমিকায় আমি!

 

জায়েদ খানের ভক্ত পূজা চেরি, তাই তো?

হ্যাঁ, সে জায়েদ খানকে খুবই পছন্দ করে। ছবিতে আমার নামই জায়েদ খান। আমার ক্যারিয়ারে এটি একটি মাইলফলক ছবি।

 

সায়ন্তিকা ইস্যু নিয়ে চর্চা চলছে, এটির শেষ কোথায়?

এটি মিডিয়ার সৃষ্টি। সায়ন্তিকা যা বলেনি, সেটি মিডিয়া বলে দিচ্ছে। প্রোডিউসারের মুখ থেকে বলিয়ে নিউজ করা হচ্ছে।

 

জায়েদ খানকে নিয়ে এত আলোচনা কেন হয়?

সবাই ভালোবাসে বলেই এত আলোচনা। মরা কুকুরকে তো কেউ লাথি মারে না। যে গাছে ফল বেশি, ঐটায় ঢিল পড়েও বেশি। এটিকে ভালো চোখেই দেখি। মানুষ এত বছর পরও আমাকে ভুলে যায়নি। আমাকে তামিমের মতো বলতে হয় না, ‘প্লিজ আমাকে ভুলে যাইয়েন না, মনে রাইখেন।’ সবাই এমনিতেই আমাকে মনে রেখেছে। এটা আল্লাহর ব্লেসিং।

 

কিন্তু এই যে ট্রল করে, হাসাহাসি করে...

পৃথিবীতে কাকে নিয়ে ট্রল হয় না? সালমান খানকে নিয়ে কি ট্রল হয় না?

আলিয়া ভাট কিংবা শাহরুখ খানকে নিয়েও তো হয়! যে যখন আলোচনায় থাকে তাঁকে নিয়ে এসব হয়ই। নায়করাজ রাজ্জাক যদি বেঁচে থাকতেন আর এ সময় যদি ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্ট থাকত অথবা রবীন্দ্রনাথ- তাঁদের নিয়েও ট্রল হতো। এখন মানুষ ভিউ বাড়াইয়া ডলার কামানোর ধান্ধায় থাকে। জায়েদ খানকে দিয়ে তো অনেকেরই ইনকাম হয়।

 

লাখো তরুণীর ক্রাশ...

আমাকে মেয়েরা পছন্দ করে। মিথ্যা কথার কিছু নেই। বিদেশে গিয়েও দেখেছি। কোথাও গেলে মেয়েদের মধ্যমণি হয়ে যাই। মেয়েরা এসেই আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে হুড়োহুড়ি বাঁধিয়ে দেয়। আমার সিকিউরিটি ভিড় সরাইতে পারে না। কেউ হাত ধরে, কেউ ছুঁয়ে দেখে-এটা ইনজয় করি।

 

কেউ বিয়ের অফার করেনি? নাকি ইলিজেবল ব্যাচেলরই থেকে যাবেন?

অফার তো সেই দুই-চার বছর আগে থেকেই চলছে। বিয়ে করতে চায়। আমার সঙ্গে থাকতে চায়। ইনবক্স দেখলে আপনার মাথা ঘোরাবে। ইনবক্সে এত মেয়ের ভালোবাসা আর আদর! আমার মনে হয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমত দরকার। হুকুম দরকার। আর মেন্টাল স্ট্যাবিলিটি দরকার। স্থিরতা দরকার। সেটা হলেই বিয়ে করে ফেলব।

সর্বশেষ খবর