বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাধারণের মধ্যে অসাধারণ একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু

সাধারণের মধ্যে অসাধারণ একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু

আগামীকাল ১৫৩ প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্র ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসছে। বঙ্গবন্ধুবেশে পর্দায় সবার সামনে হাজির হচ্ছেন। কেমন লাগছে?

ভালোও লাগছে আবার আশা এবং ভয় মিশ্রিত একটা ভাবনা মনে দোলা দিচ্ছে। প্রত্যেকবারই এরকমই লাগে ছবি রিলিজের আগে। মনে হয় পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে। কিন্তু এবার যেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে আমার এখন পর্যন্ত করা কাজগুলোর সবকটিই কাল্পনিক চরিত্র কিন্তু বায়োপিক এমন একটা জিনিস যে, এটা যে কোনো শিল্পীর জন্য করা অনেক প্রেশারের, অনেক টেনশনের। তারপরও চেষ্টা করেছি। সবটুকু নিংড়ে দিয়েছি। এখন রিলিজের অপেক্ষায়।

 

বঙ্গবন্ধু প্রত্যেকের কাছে আবেগের নাম। সেই চরিত্রে শুভকে দর্শক সত্যিকারের বঙ্গবন্ধু ভেবেই দেখবে। দর্শকের প্রত্যাশা কি পূরণ হবে?

আমার পরিচালক আমার কাজে খুশি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যাঁরা দেখেছেন তাঁদেরও ভালো লেগেছে। দর্শকের তো মিশ্র রি-অ্যাকশন থাকবেই সবসময়। আমার কাছে যেটা মনে হয় যে, এটার টেকনিক্যালিটি বা কিছু ভুল না ধরে ওই সময়টার গল্প, ঘটনা, ইতিহাসটা কি ছিল সেটা ভাবাটাই মূল বিষয়। এসব দেখার জন্যই মানুষের হলে যাওয়া উচিত বলে মনে করি।

 

এক অনন্য ইতিহাসের অংশ হতে পেরে শুভ কতটা উচ্ছ্বসিত?

ভীষণ ভালো লাগছে। আগের শুভ আর এখনকার শুভর মধ্যে কোনো তফাৎ হবে না। আগেও যে শুভ ছিলাম এখনো সেই শুভই আছি। সেই শুভই থাকব। তবে হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে এরকম একটা কাজের অংশ হতে পেরে গর্ব লাগছে। আমি যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র না পেয়ে অন্য যে কোনো চরিত্র পেতাম, সেটাও আমার জন্য সৌভাগ্যের হতো। এরকম একটা কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারার যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বিভিন্ন বাছাই পর্বের পর জাতির জনকের চরিত্রটা আমাকে দেওয়া হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের ও গর্বের। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। সেই জায়গা থেকে চিন্তা করলে, একজন বাংলাদেশি হিসেবে চিন্তা করলে, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে চিন্তা করলে নিঃসন্দেহে এত বড় একটা কাজের পার্ট আমি, এটা আমার কাছে বড় একটি পাওয়া।

 

বিগ বাজেটের সিনেমা এটি। প্রমোশনাল প্ল্যানে কি ঘাটতি রয়েছে বা প্রমোশন কি ঠিকঠাকমতো হচ্ছে বলে মনে হয়?

আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব সেটা করছি। আমাদের বলতে আমি বোঝাচ্ছি টিমের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা রাতদিন চেষ্টা করেছি। আপনি নিজেও দেখছেন। আমি কিন্তু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াচ্ছি বিগত কয়েকদিন ধরে। এবং সেটা চলবে রিলিজের পরও। আমরা চেষ্টা করছি, বাকিটা দেখা যাক।

 

ট্রিজার-ট্রেইলার রিলিজের পরও মানুষ অনেক ভুল ধরেছে। আলোচনা-সমালোচনা করেছে...

টাইটানিকেরও ২৩টা ভুল ছিল। আমি সবাইকে বলব যে, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। যেখানে আমার কাজ শুধু অভিনয় করাটাই ছিল। আমার জায়গা থেকে আমি সবটুকু দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।

 

শুটিং সেটের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন?

তিন বছরের অভিজ্ঞতা এভাবে হুট করে শেয়ার করা যাবে না। তবে এটুকুই বলব যে, প্রত্যেকটা দিন মানে সেটা মুম্বাইয়ে শুট করার সময় বা ঢাকায় শুট করার সময়- প্রত্যেকটা দিন আমার কাছে স্মরণীয়। বিশেষ করে ৭ মার্চ, ১০ জানুয়ারি, করাচি অ্যাসেম্বলি, ১৫ আগস্টের দৃশ্য- এরকম কিছু দৃশ্য মনে গেঁথে আছে। আমার ধারণা সেটা বহু বছর এই দৃশ্যগুলো মনে গেঁথে থাকবে।

 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপনার উপলব্ধি কী?

সাধারণের মধ্যে অসাধারণ একজন মানুষ। যে মানুষটা একই সঙ্গে অত্যন্ত সাধারণ। এবং একই সঙ্গে তাঁর চিন্তাচেতনা-ভাবনা অনেক অসাধারণ। শুধু এটুকুই বলতে পারি আমি।

সর্বশেষ খবর