সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের আলোচনায় জয়া

আলাউদ্দীন মাজিদ

ফের আলোচনায় জয়া

মেরুন রঙের জ্যাকেট, খোলা চুলে কঠোর দৃষ্টিতে ধরা দিলেন জয়া আহসান। সৃজিত মুখার্জির কপ ইউনিভার্সের প্রথমবারের মতো কোনো নারী পুলিশের দেখা মিলল। চরিত্রটি ধারণ করেছেন জয়া আহসান। কেউ বলছেন, তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। কেউ বলছেন, পুলিশ কর্মকর্তা। ‘দশম অবতার’ সিনেমায় জয়া আহসানের ফার্স্টলুক দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে না, ঠিক কোনটা হতে পারেন তিনি। একটিতে চায়ের কাপ হাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তিনি। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি খুঁজে ফিরছে কোনো কিছু। অন্য ছবিতে মেরুন রঙের জ্যাকেটে জয়া, কাউকে জেরা করছেন ঠান্ডা মাথায়। প্রকাশিত দশম অবতারের প্রায় সোয়া তিন মিনিট দৈর্ঘ্যরে সেই ট্রেইলারের ঝলকজুড়ে রয়েছে খুনের রহস্য। আঁচ করা যাচ্ছে, কোনো এক ব্যক্তি নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার মনে করে একের পর এক খুন করে চলেছে। আর তাঁকেই খুঁজে বের করার মিশনে নামেন পুলিশ কর্মকর্তা প্রবীর রায়চৌধুরী ও ইনস্পেক্টর পোদ্দার। ট্রেইলারের প্রায় পুরোটাই রহস্যের চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে। তবে এক দৃশ্যে প্রেমের উপস্থিতিও পাওয়া গেল। যেখানে জয়া আহসান ও পোদ্দার তথা অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গেছে। দশম অবতারের অন্য তিন অবতার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত ও অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের ধরন প্রকাশ করা হলেও গোপন রাখা হয়েছে জয়ার চরিত্র। বলা হয়েছে, এতে তিনি আছেন এক রহস্যময়ী নারীর চরিত্রে। আসন্ন পূজায় মুক্তি পাবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের ‘দশম অবতার’। ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জয়া বলেন, আমার প্রথম মনে হয়েছিল, এরকম একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি। প্রবীর রায়চৌধুরী এবং বিজয় পোদ্দার অর্থাৎ ‘বাইশে শ্রাবণ’ এবং ‘ভিঞ্চি দা’ দুটি ছবির প্রিক্যুয়েল। আমি দুটি ছবিই দেখেছি। এ দুই ছবিরই দর্শক রয়েছেন। কিছু দর্শক এই ছবি দেখবেনই। চিত্রনাট্য পড়ে দেখলাম খুব সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আর আমার চরিত্রও মনে হয়েছে একটু অন্যরকম।  জয়া আরও বলেন, প্রতিটি ছবিতেই আমরা পরিণত হই। বাজেট, সময় সবকিছু মাথায় রেখে তো শুটিং করতে হয়। তবুও প্রত্যেকটি চরিত্র একটু একটু করে ভিতরে থেকেই যায়। আমি আমার সব চরিত্র থেকেই কিছু না কিছু পাই। এখানে মনস্তাত্ত্বিকের চরিত্র। পরিণত চরিত্র। শরীরের যদি অসুখ থাকতে পারে, মনেরও অসুখ থাকবে। এতে লজ্জার কিছু নেই। মন, মগজ আরও বেশি লালন করা উচিত। সে কারণে আমরা পড়াশোনা করি, জ্ঞান আহরণ করতে চাই। নাহলে তো যেটুকু আছে তা দিয়েই ডালভাত খেয়ে থাকতে পারতাম। তেমনভাবেই মনোচিকিৎসকের কাছে যাওয়া কোনো দোষের কিছু নয়। আমরা যাঁরা অভিনয় করি, আমাদের আরও বেশি যাওয়া উচিত। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। পর্দায় ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। ‘দশম অবতার’ সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় জয়া আহসান। এর কারণ অনির্বাণের সঙ্গে তাঁর চুম্বনের দৃশ্য। এ নিয়ে কেউ কেউ যেমন সমালোচনায় মেতেছেন আবার তেমনই বাহবা দিয়েছেন অনেকে। তবে এসব মাথায় নিচ্ছেন না জয়া। উল্টো তিনি জানিয়েছেন, অনির্বাণকে আরেকটি চুমু খাবেন তিনি। জয়া বলেন, ‘আমরা তো আগেও চুমু খেয়েছি। ইনফ্যাক্ট আমার আর ওর প্রথম দৃশ্যই ছিল চুমুর।’ এ সময় অনির্বাণ বলেন, ‘ঈগলের চোখ’ সিনেমায় প্রথম শটই ছিল চুমু খাওয়ার। জয়া যোগ করেন, ‘আমি বসে আছি (ঈগলের চোখের শুটিংয়ে)। হঠাৎ একটা নতুন ছেলে (সেটা ছিল অনির্বাণের প্রথম সিনেমা) এসে চুমু খেয়ে গেল। এ সময় জয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অনির্বাণের জন্মদিনে কী উপহার দিতে চান? অভিনেত্রী বলেন, জড়িয়ে ধরে আরেকটা চুমু খেয়ে নেব। আর কী দিয়ে মানুষকে খুশি করা যায়। মানে, মন থেকে চুমু খাব, দেখানোর জন্য নয় কিন্তু। দীর্ঘ সময় পর কলকাতার স্বনামধন্য নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজ করলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ‘দশম অবতার’ ছবিতে। আর ছবিটি নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখনই দর্শকরা মুখিয়ে আছেন ছবিটিতে রহস্যময়ী এক জয়াকে দেখতে। টলিউডে সৃজিত মুখার্জির সিনেমার আলাদা কদর রয়েছে। সেই ছবি যদি হয় নন্দিত সিনেমা ‘বাইশে শ্রাবণ’ ও ‘ভিঞ্চি দা’র সূত্র ধরে; তাহলে তো কথাই নেই। হ্যাঁ, সৃজিতের নতুন ছবি ‘দশম অবতার’ নিয়ে কলকাতার দর্শকের মনে বিরাজ করছে বাড়তি আগ্রহ, উচ্ছ্বাস। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১৯ অক্টোবর সিনেমা হলের পর্দায় উঠছে জয়ার ‘দশম অবতার’।

অমিতাভ ও অজয়ের শুভেচ্ছা

সিনেমার ট্রেইলার দেখেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। জয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তিনি। মুক্তির আগেই সৃজিতের ‘দশম অবতার’ শুভেচ্ছায় ভাসছে। এবার অজয় দেবগনের পালা। জয়া অভিনীত ‘দশম অবতার’ এখন প্রশংসার শিখরে। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির ট্রেইলার বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে ভক্তদের মাঝে। ‘সিংহম’খ্যাত অভিনেতা অজয় দেবগন জয়ার সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়াকে। লিখেছেন, ‘শুভ মহালয়া। দশম অবতার, বাংলার প্রথম অরিজিনাল কপ ইউনিভার্স। সিংহমের তরফ থেকে শুভেচ্ছা।’ সবাইকে সিনেমাটি দেখার অনুরোধও করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর