নন্দিত অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। প্রযোজক হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মুজিব : একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত সম্প্রতি। তিনি অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটক এবং সিনেমা উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

আসলেই খুব ভালো লাগছে। আর দর্শকরা যখন কাজ পছন্দ করে তখন আরও বেশি ভালো লাগে। রেনু চরিত্রটি একটু ডিফিকাল্ট চরিত্রও বটে। সবাইকেই স্টাডি করতে হয়েছে। আমি বলব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টার মিটিংটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেখানে আমরা তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ওই সময়টায়ই আসলে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার চরিত্রটি আসলে কেমন হওয়া উচিত এবং তা আমি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ মুম্বাই টিমকে, তারাও একটি পরিবেশ তৈরি করেছিল যেটায় চরিত্রটাকে ধারণ করতে অনেক সুবিধা হয়েছিল।

মুম্বাইয়ের ইউনিটের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

খুবই ভালো। শ্যাম বেনেগাল বড় মাপের একজন ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। বাংলাদেশে অনেকেই জানতে চান মুম্বাই এবং আমাদের দেশে কাজ করার পার্থক্য কি? আমি বলি বাংলাদেশে যখন আমরা কোনো সিনেমার শুটিং করি, তার অভিজ্ঞতা থাকে একরকম। আমরা যখন বাইরে বড় পরিসরে, বিশাল বাজেটে, বড় পরিধিতে শুটিং করি, তার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। বড় পার্থক্যটা হচ্ছে পরিবেশ। ওটা আমাদের জন্য নতুন এবং শিক্ষণীয়। দেখা গেল, একই দৃশ্যে বাংলাদেশে শুটিং করলে একরকম, ভারতে করলে আরেক রকম এবং আমেরিকায় করলে আরেক রকম হবে। আমি বলব, আই গট অ্যা শ্যাম বেনেগাল ফ্যামিলি। ইট ওয়াজ লাইক অ্যা সেকেণ্ড ফ্যামিলি।

শনিবার বিকেল আটকে আছে, এটা কি শিল্প-সাহিত্যের জন্য অশনিসংকেত মনে করছেন?

শনিবার বিকেল আটকে থাকার ফলে অনেক ডিরেক্টর ভালো কাজ করতে সাহস পাচ্ছেন না। অনেকে মনে করছেন ভালো কাজ করলে তা যদি আটকা পড়ে যায় তাহলে ভালো কাজ করার দরকার নেই। এটা অবশ্যই সামাজিকভাবে ভালো কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইলহামকে নিয়ে আপনার পথচলা...

ইলহামও শিখছে নতুন নতুন জিনিস, আমিও শিখছি নতুন নতুন জিনিস। আমরা দুজন দুজনকে শিখাচ্ছি। সন্তান আসার পর পরিবারে একটা পরিবর্তন আসে। ইলহাম আসার পর আমি তিন বছর তেমন কাজ করিনি। তার মানে এই নয় যে, আমি পিছিয়ে পড়েছি। তার মানে আমি আমার মধ্যে একটি নতুন পরিচয় ধারণ করে তা এক্সপেরিয়েন্স করার সময় নিচ্ছি।