শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

প্রত্যেকের অভিনয়ের প্যাটার্ন আলাদা

প্রত্যেকের অভিনয়ের প্যাটার্ন আলাদা

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। তবে অভিনয়গুণে ওটিটিতেও নিজেকে চিনিয়েছেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নানাভাবে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন। সম্প্রতি শিহাব শাহীনের একটি ওয়েব ফিল্ম ও রাজের ‘ওমর’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। গুণী এই তারকার সঙ্গে কথোপকথনে- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

অনেক ভালো আছি।

 

প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ, ক্যাসিনো, প্রহেলিকা ও লাল শাড়িতে অভিনয় করলেও এর মধ্যে তিনটি সিনেমায় খলচরিত্রে দেখা গেছে...

তিনটি চরিত্রের প্লট তিন ধরনের। কোনোটার সঙ্গে কোনোটা মিল পাওয়া যাবে না। লাল শাড়িতে আমি গ্রামের মহাজন, প্রিয়তমাতে অনেক ভয়ংকর একটি চরিত্র যে টাকার জন্য সবকিছু করতে পারে, আবার সুড়ঙ্গে পুলিশের চরিত্র। দর্শক ভালোভাবে চরিত্রগুলোকে রিচ করতে পেরেছে। তারা ভাবছে, তাদের ভাবাচ্ছে এবং সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে এসে সেটা প্রকাশ করছে এটাই একজন অভিনেতার প্রাপ্তি।

 

নেতিবাচক চরিত্রে আরও অনেকেই অভিনয় করছেন। আপনার দিক থেকে এ বিষয়ে অভিমত কী?

প্রত্যেকের অভিনয়ের প্যাটার্ন আলাদা। দর্শক কী পছন্দ করছে সেটা সে তার মতো করে ভাবছে, আমি আমার মতো করে ভাবছি। কেউ কারও জায়গা নিতে পারে না, কেউ কারও রাস্তা দখল করতে পারে না। দিনশেষে দর্শক বিচার করবে ভবিষ্যতে কী হবে।

 

মঞ্চে যুক্ত কীভাবে?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন যুক্ত হই নাট্য আন্দোলনে। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে ঢাকা থিয়েটারে মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে যোগ দেই। এখনো আছি, তবে অনিয়মিতভাবে।

 

হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গে সখ্য কেমন ছিল?

ফরীদি ভাই মজার মানুষ ছিলেন, তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব মাথায় মাথায়। আড্ডা হতো প্রায় দিনই। তাকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তাকে চূড়ান্তভাবে মিস করি। আমার জীবনে তিনি সিংহভাগ জায়গা দখল করে আছেন। রোজীর সঙ্গে আমার বিয়ে হওয়ার ব্যাপারেও ফরীদি ভাইয়ের অবদান অনেক। আমি যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করি তিনি তখন নাট্য সম্পাদক ছিলেন। আমার থেকে চার বছরের বড় ছিলেন। কিন্তু ছিলেন সবচেয়ে কাছের বন্ধুর মতো। আমার যত বড় বড় মঞ্চের চরিত্র পাওয়া-তারই অবদান।

 

শিল্পী ও সাংবাদিকের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া দরকার?

একসময় সুন্দর পরিবেশ ও সুসম্পর্ক শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে ছিল। দুই জগতের মানুষ বিভিন্ন আড্ডায় একাত্ম হয়ে যেতাম। এখন সেটা খুবই কম দেখা যায়। শিল্পী তৈরির পেছনে সাংবাদিকদের সাপোর্ট খুবই দরকার। আগে শিল্পীর সঙ্গে সাংবাদিকের এমন সম্পর্ক ছিল যে, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বাড়ি চিনত, নিমন্ত্রণ করত, একসঙ্গে আড্ডা দিত, বন্ধুর মতো সব কিছু শেয়ার করত। এখন অনেকেই আছেন যারা অল্পের মধ্যেই সেরে ফেলতে চান; সেটা ফোন করে। আবার অনেকেই আছেন তারা কিন্তু শিল্পী সম্পর্কে জেনে, স্টাডি করে তবেই কিন্তু ইন্টারভিউ করেন। যারা পুরনো তারা তো জানেনই! কেউ যদি জেনে প্রশ্ন করে তবে শিল্পীর মনে এক আনন্দের শিহরণ জাগে।

সর্বশেষ খবর