রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

অভিনয়ই আমার ভালোবাসা

শোবিজ প্রতিবেদক

অভিনয়ই আমার ভালোবাসা

একুশে পদকপ্রাপ্ত ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী দিলারা জামান। ‘মা’ চরিত্রে অভিনয় করে যে কজন প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন দিলারা জামান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি তিনি ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’-এ বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথোপকথন-

 

মুজিব চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

অভিজ্ঞতা তো দারুণ। টিমের সবাই খুবই সহযোগিতাপরায়ণ ছিল। কাজটিও ভালো হয়েছে।

 

প্রথমে তো সিনেমাটি করতে রাজি ছিলেন না।

মুম্বাই থেকে শ্যাম বেনেগাল ও তাঁর টিম এসেছিল আমাদের চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে চরিত্রগুলো ঠিক করার জন্য। আমি কিন্তু প্রথমে মানাও করেছিলাম, যে কাজটি করব না। কারণ মুম্বাই নতুন জায়গা। সেখানে কাউকে চিনি না। আমারও বয়স হয়ে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ খিদে লাগে আমার, খারাপ লাগে। এখানে তো অনেকেই চেনা থাকে যখন কাজ করি। ওখানে তো সে সুযোগ নেই। তাই ফোন করে মানা করেছিলাম যে, কাজটি করব না। সবাই তখন খুবই মন খারাপ করেছিলেন। পরে অনেকেই বলছিল, আরে, তুমি পাগল নাকি! তুমি তো ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে যাবে কাজটি করলে। তখন আমার মাথায় এলো, তাই তো এটি করা দরকার। পরে আমি ফোন করে বললাম যে, কাজটি করছি।

 

শুটিংয়ের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বসেছিলেন...

শুটিংয়ে যাওয়ার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে এক দিন ডাকলেন। তখন কিন্তু একদম পুরো প্যান্ডোমিক ছিল। কি যে ভয়! সবাই মাস্ক পরা অবস্থায় বসে আছি। তো তিনি ডাকলেন আমাদের। আমরা সবাই পাশাপাশি বসে আছি, তিনি নিজে এলেন আমাদের কাছে। তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। আমরা সবাই তো মাস্ক পরা। তিনি হাসিমুখে বললেন, ‘আমি খুব খুশি হয়েছি আপনারা এসেছেন। তো আমার একটা কথা যে, আপনাদের তো সবসময় এমনি দেখি, আজকে সামনাসামনি দেখছি। মাস্কটা খুলুন ১ মিনিটের জন্য। আমরা একটু সামনাসামনি দেখব।’ তো আমরা সবাই একে একে মাস্ক খুললাম। আমি যেই মাস্কটা খুলেছি অমনি শেখ রেহানা একদম চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে উঠে উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আমাদের দাদি পেয়ে গেছি, আমাদের দাদি পেয়ে গেছি!’ এত যে খুশি হয়েছেন তিনি। আমার খুবই ভালো লেগেছে ওই কথাটা শোনার পর। এরপর আমাদের চা খাবার জন্য বলছিলেন। সবাই যখন খাচ্ছিলাম, আমার প্লেট ছিল খালি। তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) খেয়াল করেছেন আমাকে দূর থেকে। তখন তিনি একজনকে বললেন, তাঁর প্লেট খালি। তাঁকে দাও। আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। ভাবছি, আরে তিনি তো অনেককিছু খেয়াল করেন। আমি তখন বললাম, না আমি তো বেশি খাই না। হিসাব করে খাই। আমার ডায়াবেটিস।

 

প্রচ্ছদকন্যা হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন বহুবার। আবার কি দেখতে পাব?

এবার আর না! অনেক হয়েছে। অনেকেই মজা করে বলছে, কেন তুমি আমাদের বাজার নষ্ট করছ! হাহাহা...

 

আপনার এত এনার্জির উৎস কী?

কাজ না করলে কি হবে! অভিনয়ই আমার কাজ, ভালোবাসা। সৎভাবে ইনকাম করি। সবাই তো আমাকে আর আমার অভিনয়কে ভালোবাসে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর