রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

বিশ্বমঞ্চে কথা বলা শান্তি, সম্মান ও গর্বের

বিশ্বমঞ্চে কথা বলা শান্তি, সম্মান ও গর্বের

চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি। সুমি নামেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। দলের অধিকাংশ গান তারই লেখা ও সুরারোপ করা। এ ছাড়াও তিনি অন্য শিল্পীদের জন্য গান করেন, গান লেখেন ও সুর করেন। তিনি গানের মানুষ; গানের কারণেই পৃথিবীর নানা প্রান্ত ঘোরা হয় তার। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

রাজশাহীতে কনসার্টটা কেমন হলো?

এবারের কনসার্টটা ছিল বেশ অন্যরকম। প্রচলিত প্রফেশনের বাইরে যারা তাঁদের ভালোবাসার কাজকে দীর্ঘ পরিশ্রমে প্রফেশন হিসেবে একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন, তারুণ্যের জন্য ক্রিয়েটিভ কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছেন; আয়োজকরা এমন কিছু স্বপ্নবাজ মানুষকে নিয়ে সাজিয়েছিলেন তাঁদের অনুষ্ঠান। আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। কুঁড়েঘর, সালমান মুক্তাদির ও দিশা; রাফসান শাবাব যার যার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

 

কিছুদিন আগে আর্মি স্টেডিয়ামে গান করল চিরকুট...

আর্মি স্টেডিয়ামের কনসার্টটা ছিল ডিএনসিসির দুই ওয়ার্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা উপলক্ষে। ডিএনসিসি মেয়রস গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। আমরা চিরকুট বেশ কিছু গান করেছি। আয়োজনটা ভালো ছিল।

 

নরওয়েতে আন্তর্জাতিক সংগীত সম্মেলনে যাচ্ছেন। কেমন বোধ হচ্ছে?

বাংলা গানের সঙ্গে নিজেদের ব্যান্ড নিয়ে ২১ বছর ধরে দেশ ও ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়মিত কাজ করার পর পৃথিবীর মানুষ যে এখন বাংলাদেশের গানের বিস্তৃত কথা আমাদের কাছে এত ডিটেইলে শুনতে চায় বা আমার জানানোর সৌভাগ্য হচ্ছে এটি এক ধরনের বড় সুযোগ এবং পরিবর্তন বলে আমার মনে হয়। পৃথিবী আমাদের ভাবনার চেয়ে অনেক বড় এবং সেখানে আমাদের সবার জায়গা থেকে বিস্তৃত কাজের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারে নিজের দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে কথা বলাটা শান্তির, সম্মানের, গর্বের। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এ সম্মেলন। ১৬ নভেম্বর দেশে ফিরে নতুন কনসার্টে যোগ দেব।

 

চিরকুট নামটা কীভাবে মাথায় এলো?

২০০২ সালে চিরকুট গঠন হয়। চিরকুট মানেই তো মেসেজ দেওয়া। সেই চিন্তা থেকেই নামটি। সো আমরা গানের মাধ্যমেই মেসেজ দিই। কখনো ভালোবাসার, কখনো প্রেম, দ্রোহ, বিচ্ছেদের বা মিলনের।

 

সামনে চিরকুট নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাই?

আমাদের কিছু প্ল্যান আছে। আর আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের সিনেমায় চিরকুট বরাবরই নতুন গান দিয়ে এসেছে। এখনো গান করেই যাচ্ছে। নতুন প্রজেক্ট চলছে। কাজ হচ্ছে, কাজ হবে-যতদিন আমরা সুস্থ থাকি, বেঁচে থাকি।

 

দুটি গানের কিছু অংশ নিয়ে এই যে ফিউশন ট্রেন্ড, এটা নিয়ে অভিমত কী?

এটা নতুন কিছু নয়। এটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। গ্লোবালিও হয়ে আসছে। কোলাবোরেশন-একটা আর্টিস্টের সঙ্গে আরেকটা আর্টিস্টের গান। যত নতুন কিছু হবে, গান নিয়ে নতুন আইডিয়া, ক্রিয়েশন হবে-সেটা এই সংগীতাঙ্গনের জন্য ভালো।

 

পাইওনিয়ার ব্যান্ড দলগুলোর এই যে ভাঙন...

দেখুন, আমি এই শব্দটার মানে ‘ভাঙন’র ঘোরবিরোধী। সো ‘ভাঙন’ কথাটি আর বলবেন না। আজ থেকে ৫০ বছর আগে যারা ছিল, তারা কি এখন আছে? নাই কিন্তু। একটা অস্তিত্ব যখন দাঁড়ায়, তখন এটির পেছনে সবারই সমান অবদান থাকে। যারা খুবই দৃঢ়চেতা, তার হাত ধরেই কিন্তু সামনে চলতে থাকে। অনেক মানুষ এসেছে, অনেক মানুষ চলে গেছে। আমি কিন্তু দীর্ঘ বছর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ায় আছি। কালকেও যদি চিরকুট থেকে দু-একজন চলে যায়, আমি কিন্তু চিরকুটেই থাকব। আমি যে স্বপ্ন নিয়ে চিরকুট দাঁড় করাইছি, সেটা চলতেই থাকবে। প্রত্যেকেরই কিন্তু কনট্রিবিউশন থাকে। আমি বিশ্বাস করি যে, আপনার জীবন আপনার নিয়ন্ত্রণে নাই, কিন্তু আপনার কাজটি যেটি নিয়মিত করে থাকেন, সেটির জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন। আমিও পরিশ্রমে বিশ্বাসী। সো চিরকুটে আমি গান করে যাব। পজিটিভিটি ছড়াইতে হবে নতুন সৃষ্টির জন্য।

সর্বশেষ খবর