সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

শিল্পীরা পর্দায়ই শোভনীয়

শোবিজ প্রতিবেদক

শিল্পীরা পর্দায়ই শোভনীয়

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। চলচ্চিত্রে যাত্রার পর থেকেই বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় চলচ্চিত্রে তিনি নিজস্ব ইমেজ গড়ে তুলতেও সমর্থ হয়েছেন।  তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক কাজ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথোপকথন-

 

বাংলা চলচ্চিত্রে বাপ্পি চৌধুরীর নয় বছর পূর্ণ হয়েছে এই অক্টোবরে। কেমন ছিল এই জার্নিটা?

৫ অক্টোবর, ২০১২। শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’ বদলে দিয়েছিল একদম আনকোরা নতুন দুটি ছেলে-মেয়ের ভাগ্য। বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ছবি হওয়ার সুবাদে পরিবর্তন এনেছিল পুরো বাংলা চলচ্চিত্রের। জাজ মাল্টিমিডিয়া সৃষ্টি করেছিল এক নতুন অধ্যায়। আজিজ ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা ভাষায় শেষ করা যাবে না। দেখতে দেখতে কেটে গেল নয়টি বছর। এই নয় বছরের ক্যারিয়ারে আমার ৩০টির অধিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

 

ভিনদেশি সিনেমা আসায় বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না?

প্রভাব পড়ছে কি না তা সবাই তো দেখতে পাচ্ছেন! তাই আমি বলতে চাই, পরবর্তীতে আমাদের ছবি মুক্তি দেওয়ার আগে একটু খোঁজখবর নিয়ে প্ল্যান করা উচিত যে, কবে কোন হিন্দি ছবি আসবে। নইলে আগামীতেও জওয়ানের মতো প্রভাব পড়বে। আমাদের দেশে এখন ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। তাই আমি মনে করি না যে, জোরজবস্তি করে বাইরের ছবি এখানে আনতে হবে। ভিনদেশি ছবিগুলো এভাবে এলে আমাদের দেশে শিল্পী তৈরি হবে না, আরেকটা বাপ্পির জন্ম হবে না, আরেকটা নতুন সুপারস্টার আসবে না। কারণ, আমাদের প্রোডাকশনগুলো সীমিত। তাই নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যাঁরা আছেন তাঁদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত, কারণ আমরা সেই বড় জোনে নেই।

 

সামনে কোনো ধামাকা?

ভ্যালেনটাইন ডে আমাকে কখনো নিরাশ করেনি। আমি আশা করব, আগামী ভালোবাসা দিবস আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দর্শকরা একেবারে বিশুদ্ধ ভালোবাসার গল্প দেখতে পারবে।

 

হাওয়া, পরাণ বা প্রিয়তমার মতো অফার এলে...

লুফে নেব। রেমুনারেশনের দিকে তাকাব না। সত্যি বলছি। আমি এমন ধরনের সিনেমা নিয়ে খুবই পজিটিভ। যেখানে গল্পই হিরো। আমি করতে চাই। আসলে অনেকের ধারণা, বাপ্পি এমন ধরনের সিনেমায় কাজ করতে পারবে না। কিন্তু আমি সহজভাবে এমন গল্পে কাজ করতে আগ্রহী।

 

ওটিটি প্ল্যাটফরমে কাজ নিয়ে আগ্রহী?

ওটিটিতে কাজ করতে চাই। সত্যিই চাই। এখানে অভিনয় দেখার জায়গা অনেক বেশি। এর আগে ‘বলি’সহ কিছু ওয়েবের কাজের বিষয় এলেও করিনি। তখন চিন্তাটা ভিন্ন ছিল। এখন ওটিটি নিয়ে পজিটিভ।

 

বাণিজ্যিক-বিকল্প ধারা নিয়ে মন্তব্য?

আসলে যে সিনেমা ব্যবসা করবে সেটিই বাণিজ্যিক। ধারা বলতে তেমন কিছুই নেই। যে সিনেমা দর্শক টাকা দিয়ে দেখবে সেটিই কমার্শিয়াল। সব সিনেমা এক; আলাদা ধারা বা ঘরানার বলে কিছু নেই।

 

শিল্পীরা নিজেদের সিনেমার প্রচার চালাচ্ছেন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমার সব সময় মনে হতো শিল্পীরা পর্দায়ই শোভনীয়। আমরা যদি বাইরে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশে যাই তাহলে তো বিশেষ কিছু থাকল না। কিন্তু এখন যেহেতু প্রচারণার নতুন এই ট্রেন্ডটি চালু হয়েছে সেহেতু এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।

 

বাপ্পি প্রেম করছেন গোপনে। কথাটি সত্যি?

কয়েক বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে রিউমার ছড়িয়েছে। আমি বরাবরের মতোই বলব, এগুলো সবই মিথ্যা ও বাজে কথা। আমাকে রিউমারের জন্য স্রেফ ইউজ করা হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর