বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

এক ছবিতে এত চরিত্র রূপায়ণ কঠিন

শোবিজ প্রতিবেদক

এক ছবিতে এত চরিত্র রূপায়ণ কঠিন

দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও সংগীতশিল্পী জিনাত শানু স্বাগতা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে করেছেন অসংখ্য নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়। গায়িকা হিসেবেও তিনি সমাদৃত। ৩ নভেম্বর আসছে অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত ও স্বাগতা অভিনীত ‘অসম্ভব’। এ তারকার সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথোপকথন-

 

অসম্ভব কি দর্শকদের হলে আনতে সম্ভব করবে?

একদম! এটি সুন্দর একটি সিনেমা। শতভাগ পারিবারিক গল্পের ছবি ‘অসম্ভব’। আমার বিশ্বাস মানুষ প্রেক্ষাগৃহে আসবেন সিনেমাটি দেখতে।

 

শুনেছি পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন?

হ্যাঁ। এক ছবিতে পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এক দুঃখিনী মা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, পাহাড়ি মেয়ে ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি চরিত্রসহ আরেকটি অন্যরকম চরিত্রে অভিনয় করেছি।

 

সেই অন্যরকম চরিত্রটি কি পুরুষের বেশ?

ঠিকই ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিসেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে রুস্তম। পুরুষের বেশে দেখা গেলেও একটা সময় সবাই জানতে পারে রুস্তম আসলে পুরুষ নয়, নারী। একটি ছবিতে এত চরিত্রে রূপদান করাটা কঠিন। চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে অভিনয় করতে।

 

আরও কী কাজে ব্যস্ত?

গান গাইছি, গান লিখছি ও সুর করছি। আমার মানে স্বাগতার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকের জন্য হাছান আজাদের সঙ্গে ‘বিমস অব লাইট’ এবং ‘সে সামথিং’ করেছি। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। সামনে আরও কয়েকটি নাটক শুটিংয়ের অপেক্ষায়। আর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সিনেমা নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’ ও মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’।

 

গানে আবির্ভাব কীভাবে?

জন্ম থেকে। মানে, কথা বলার আগে গান গাইতে শিখেছি... হা হা হা। আমার বাবা গানের টিচার ছিলেন। আমাদের বাসায় তখন অনেক ওস্তাদ আসতেন, থাকতেন। বাইরে থেকেও অনেকে আসতেন। এরকম ধরনের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আমার বেড়ে ওঠা। বগুড়া ইয়ুথ কয়ারের হয়েও কাজ করেছি। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় ছড়াগান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলাম। তারপর তো বেশ কিছু গেয়েছি।

 

যতদূর জানি আপনার একটি ব্যান্ডদলও ছিল...

হুমম, মহাকাল। মহাকাল হয় ২০০৪-এ। তারপর ‘মহীনের ঘোড়াগুলো’ নামের বাংলাদেশি ভার্সনে একটি অ্যালবাম করেছিলাম। ওই সময় মিউজিকে একটি পরিবর্তন আসছিল। তখন গেয়েছিলাম ‘স্বপ্নচূড়া, ভালোবাসি তোমাকে’। এরপর আমার দুটো গান ছিল। একটি মহাকালের সঙ্গে ‘একেলা’। আরেকটি ছিল তপু ভাইয়ের ‘এক পায়ে নূপুর’- যেটির ফিমেল পার্ট আমি গেয়েছিলাম। এরপর জলের গানের সঙ্গে গেয়েছি ‘এমন যদি হতো’। এর প্রথম ভার্সনটি আমার আর রাহুলদার গাওয়া। এটি গাওয়া হয়েছিল একটি নাটকের জন্য।

 

ইউ গট দ্য লুক হয়েছিলেন...

সেটি ২০০৫ সালে।

 

সন্ধি, সভ্যতা ও স্বাগতা- তিনজন কে কেমন?

তিনজনই তিন রকম! যদিও একই জিন। ইন্টারেস্টের জায়গা এক হলেও টেস্ট তিনজনের তিন রকম।

সর্বশেষ খবর