শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

নায়িকা চিন্তা করে সিনেমায় অভিনয় করিনি

নায়িকা চিন্তা করে সিনেমায় অভিনয় করিনি

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। তিনি মঞ্চ ও টিভি নাটকেও কাজ করেছেন। এবার প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি হাজির হচ্ছেন। সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে তার নির্মিত ‘অসম্ভব’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আজ। এই অভিনেত্রী-নির্মাতার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

আজ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে। বিষয়টি ভেবে কেমন লাগছে?

আমি খুবই আনন্দিত। খুবই ভালো লাগছে। আগে যদিও ক্যামেরার সামনে কাজ করেছি। এবার সামনে-পেছনে দুই জায়গাতেই কাজ করলাম আর কি! চেষ্টা করেছি। সিনেমাটি তো আমার কাছে সন্তানের মতো। তাই সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি ভালো কিছু নির্মাণের। ভালো-মন্দ সব দর্শক বিচার করবেন।

 

অসম্ভব সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশা কতখানি?

প্রত্যাশা তো অনেক! ভীষণ রকম আশাবাদী আমি। অনেক যত্ন, মেধা ও শ্রম দিয়ে চেষ্টা করেছি সিনেমাটি বানাতে। একটি পারিবারিক, বন্ধুত্ব ও প্রেমের গল্প গলে গিয়ে দেখবে দর্শক। আমরা বাঙালি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন সবসময় ভালো একটি সিনেমা দেখার অপেক্ষায় থাকি। যদিও এই সময় রুচির পরিবর্তন হয়েছে। তাই রুচির কথা চিন্তা করে আমি সমসাময়িক বিষয়কে উপজীব্য হিসেবে নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছি। সিনেমার প্রত্যেকেই যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছি, সবাই নিজের সিনেমা মনে করে কাজ করেছি, তাতে আমি মুগ্ধ এবং প্রচুর আশাবাদী। তাদের পরিশ্রম বিফলে যাবে না। দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করবেন আশা রাখছি।

 

মুক্তির আগে প্রমোশন কেমন করেছেন?

আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামনেও এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি, শিল্পীরাসহ সব সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা পাশে আছেন। সবাই হেল্প করেছেন প্রমোশনে। যার যার জায়গা থেকে সবাই সামনেও চেষ্টা করে যাব সিনেমাটি দর্শকদের দেখানোর জন্য।

 

সিনেমাটি দেখতে দর্শক কেন হলে যাবে?

কারণ, দর্শকদের বিনোদনের জন্য সবই রয়েছে সিনেমাটিতে। সিনেমাটি নিয়ে আমার এক্সপেকটেশন অনেক। হলে যদিও বিগ ব্যানারের সিনেমা মুজিব রয়েছে, জওয়ান আছে। তারপরও আমার জন্য সবার আশীর্বাদ রয়েছে। যদিও হলমালিকরা অনুদানের সিনেমা বলে বিশ্বাসের জায়গা পায় না। আমি বলব গলুইয়ের মতো বড় বাজেটের সিনেমা না হলেও অসম্ভব একটা ভালো কিছু হয়েছে। তথাকথিত নায়ক-নায়িকা নেই; যাদের নাম শুনে হলে গিয়ে মানুষ সিনেমাটি দেখবে। তারপরও একঝাঁক দক্ষ শিল্পী ও কলাকুশলীর পরিশ্রম এবং সুন্দর গল্প বৃথা তো যাবে না।

 

সিনেমাটিতে আপনার চরিত্র নিয়ে কিছুটা আভাস দেওয়া যাবে?

আসলে আমি যে নায়িকা সেটা চিন্তা করে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করিনি। নির্মাণের পাশাপাশি যতটুক অভিনয়ের জায়গা ছিল সেটাই ভালো করে করার চেষ্টা করেছি; যেটা আমার বয়সের সঙ্গে যায়। একটি সংসারে সবকিছুর সলিউশন দিতে চেয়েছি এই চরিত্রের মাধ্যমে। চরিত্রটি নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। হলে যেতে হবে এই চরিত্র সম্পর্কে জানতে হলে।

 

অনেকেই মনে করছেন সিনেমাটি কি আপনার পারিবারিক বায়োগ্রাফি?

এটা সত্য নয়। আমার বাবা-মা অমলেন্দু বিশ্বাস ও জোৎস্না বিশ্বাস উভয়ই যাত্রাশিল্পের বিখ্যাত মানুষ। গল্পটি তাদের জীবনী টাইপ কিছু নয়। এটি দেশের বিলুপ্ত হতে যাওয়া পুরো যাত্রাশিল্পের গল্প। এটি পুরোপুরি সিনেমা। পারিবারিক বায়োগ্রাফি নয়।

 

নতুন কোনো সিনেমায় কাজ করছেন?

না। প্রায় সময় সিনেমার প্রস্তাব আসে। গল্পে চরিত্রের নাম থাকে নায়িকার মা অথবা নায়কের মা। এটা কি কোনো চরিত্রের নাম হতে পারে? আগে কি মায়ের চরিত্র ছিল না। প্রত্যেকটা চরিত্রের একটা নাম থাকে।

 

অসম্ভবের পর আরও সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে কি?

আছে। আরেকটি সিনেমা করার প্ল্যান রয়েছে। তবে সিচুয়েশন আরেকটু ভালো হোক। আসলে ভিনদেশি সিনেমা নিয়ে মাতামাতি না করে দেশের সিনেমা দেখুক সবাই- সেটাই চাই। নির্মাতা ও অভিনেত্রী হিসেবে তো আমাদের দায়িত্ব অনেক, তাই না?

সর্বশেষ খবর