সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

চরিত্রের প্রেমে পড়ে, আমার না

চরিত্রের প্রেমে পড়ে, আমার না

সিনে-দুনিয়ায় এই মুহূর্তে বহুল আলোচিত তারকা জয়া আহসান। ঢাকা-কলকাতার পর বলিউডের ছবিতেও কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন এই অভিনেত্রী। এ নিয়ে পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উঠতে যাচ্ছে জয়ার শোকেসে।  তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

পঞ্চমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন, কতখানি ভালো লাগা কাজ করছে?

আসলে প্রতিটি পুরস্কার আনন্দের, ভালো কাজের প্রাপ্তি। পুরস্কার ঘোষণার পর চারদিক থেকে অগণিত সুসংবাদ পাচ্ছি। আমি ‘বিউটি সার্কাস’ টিমকে ধন্যবাদ জানাই। তারা না থাকলে এটি অর্জন হয়তো সম্ভব ছিল না। এই সিনেমাটিতে অভিনয় করার সময়ই মনে হয়েছিল এর মাধ্যমে ভালো কিছু অর্জন হবে। আমি অনেক আনন্দিত।

 

আরেকটি সুখবর! ‘নকশীকাঁথার জমিন’ বুসানে পুরস্কৃত হয়েছে...

এটাও সবার ভালোবাসা ও শুভকামনায়। আগেও আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে। এবার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হয়েছে এই পুরস্কারটি। আকরাম খানের ‘নকশীকাঁথার জমিন’ দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় ‘বেস্ট ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। আমি চলচ্চিত্রটির সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

 

এখন বাংলাদেশে নাকি কলকাতায় রয়েছেন?

কলকাতায়। আমার ‘দশম অবতার’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। তাই সিনেমার প্রচারে এখানে রয়েছি। থাকব কিছুদিন।

 

রইদ-এর শুটিং কবে?

কাজ চলছে। হয়তো শুটিং প্রসেসটা একটু দেরি হচ্ছে। হয়তো একটু সময় নিয়ে, সবকিছু ওয়ার্কআউট করে তারপর ছবির শুটিংয়ে যাবে নির্মাতা।

 

ওটিটিতে জয়াকে দেখা যাবে কবে?

দেখা যাবে। তবে ওটিটি হলে বাংলাদেশি ডিরেক্টরদের সঙ্গেই কাজ করতে চাই, পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টরদের সঙ্গে নয়। কনভেন্স হব এমন কোনো গল্প হলে কাজ করব। এটা নিয়ে কোনো নাকউঁচু ভাব নেই যে, আমি এটা করব না, ওটা করব না।

 

লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন কবে?

বই বের করার বা কোনোরকম ডিরেকশন দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। করার ধৃষ্টতাও নেই। এ বিষয়ে জ্ঞান-সাহস কোনোটাই নেই আমার।

 

সবাই জয়ার প্রেমে পড়ে...

ওটা চরিত্রের প্রেম পড়ে, আমার না। ব্যক্তি জয়াকে দেখলে কেউ প্রেমে পড়বে না। কারও ভালোও লাগবে না। ভক্তরা যেটা দেখেন সেটা জয়া আহসানের ইমেজ। ওটা জয়া আহসান না। জয়া আহসান খুব সাধারণ, কোনো রহস্য নেই। চরিত্রের জয়াকে দেখে সবাই ভাবে জয়া আহসান রহস্যময়ী।

 

জীবন থেকে তো অনেক বসন্ত চলে যাচ্ছে...

বসন্ত চলে যায়, বসন্ত তো আবার জীবনে আসে।

 

নায়িকাদের বয়স বাড়লে জনপ্রিয়তা কমে কিন্তু জয়ার বেলায় উল্টো। রহস্যটা কী?

যত বয়স হবে, অভিজ্ঞতা আসবে, কপালে ভাঁজ পড়বে, সেই আঁকিবুঁকি, অভিজ্ঞতা নিয়েই কিন্তু সৌন্দর্যটা। আমার কাছে এটা আরও বেশি সুন্দর। কতদিন থাকতে পারি! এমন নয় যে, অনেকদিন জোর করে থাকব, দর্শক যদি অপছন্দ করে, বিরক্ত হয়ে যায়, তখন আর কাজ করব না।

 

ব্যক্তি জয়া এবং অভিনেত্রী জয়ার পার্থক্য?

ব্যক্তি জয়া অনেক সহজ, সাধারণ। ব্যক্তিগতভাবে সেলিব্রেটিশিপটাকে পছন্দ করি না। আমি আজকে যে এখানে ক্যামেরার সামনে রংচং মেখে স্পটলাইটে আছি, এটাই জয়ার ইমেজ!

 

ভালোবাসার সংজ্ঞা?

ভালোবাসা! ঘুরে ঘুরে এই পৃথিবী কি কথা কয়, সে বলে যায় প্রেমের মতো আর কিছু নয়। সবকিছুতেই ভালোবাসা। দিনের শেষে ভালোবাসাটাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কাজের প্রেরণা দেয়।

 

দেশীয় ছবি নিয়ে অভিমত?

এখানে প্রফেশনাল আচরণের একটু অভাব আছে। তবুও প্রেমটা কিন্তু বেশি আমাদের ছবিতে পাওয়া যায়। হ্যাঁ, অনেক সময় দিনের শেষে ছবিটা হয়তো ছবি হয়ে উঠে না। এটাও ঠিক যে, এ দেশে প্যাকেজিংটা ভালো নয়।

 

শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া কী?

শিল্পী এক জীবনে নানারকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। একই মানুষ কতরকম মানুষের চরিত্রে! এক জীবনে অনেক জীবন পান। এটা অভিনয়শিল্পী না হলে সম্ভব হতো?

 

জয়া বিয়ের দাওয়াত কবে খাওয়াবে?

অনেক ভালো আছি। কেন আমার পায়ের মধ্যে বেড়ি পরাতে চাইছেন? আমার তো কোনো ইচ্ছা নেই। তবে কিছুই বলা যায় না কখন কি হয়!

 

জীবনের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য আছে কি?

আমি গন্তব্যে পৌঁছতে চাই না। গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই শেষ। আমি জার্নিতেই থাকতে চাই।

সর্বশেষ খবর