মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

আমার অভিনয়ের ক্ষুধা আছে

শোবিজ প্রতিবেদক

আমার অভিনয়ের ক্ষুধা আছে

জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু। দীর্ঘদিন ধরেই এই ভার্সেটাইল অভিনেত্রীর স্বপ্রতিভ বিচরণ। মাঝে কিছু সময় বিরতি নিয়ে অভিনয়ে ফিরেছিলেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথোপকথন-

 

ফেসবুকে আপনার বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ছবি চোখে পড়ে...

আমি ট্রাভেল করতে খুবই পছন্দ করি। সেই হিসেবে সময় পেলেই ভ্রমণ করি। কিছু মুুহূর্তের ছবি ফেসবুকে জমা থাকে।

 

নাটকে অভিনয় কেন কম করেন?

প্রথমদিকে অনেক করেছি। এখন তো আগের থেকে কম করি। অনেকেই অভিযোগ করেন, কেন কাজ কম করা হয়! ফেসবুকের পোস্টে বেশির ভাগ ভক্তের কমেন্টই থাকে কেন কাজ কম করি! আসলে নিজের অন্যান্য কাজ ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত বেশি থাকা হয়, সময় দিতে হয়। তবে অভিনয়কে আমি সব সময়ই ভালোবাসি।

 

অনেকদিন পর অভিনয়ে ফিরেছিলেন...

হ্যাঁ, অনেকদিন পর! এরপর কিছু টিভিসি ও নাটকে কাজ করেছি। তবে অনেকেরই অজানা ছিল আমার সম্পর্কে। তাঁরা ভাবেন আমি বিদেশে চলে গেছি, অভিনয় আর করছি না!

 

দেশ-বিদেশের অসংখ্য শিমুভক্ত রয়েছেন, যাঁরা আপনার অভিনয়কে মিস করেন...

সত্যিই তাই। আমার ফ্যান পেজের পোস্টের হাজার হাজার কমেন্টের মধ্যে বেশির ভাগ কমেন্টই থাকে, কেন আমি নিয়মিত কাজ করছি না! কমেন্টে তাঁরা আমাকে নিয়ে ভালো লাগা শেয়ার করেন। তবে আমি ধন্যবাদ দেব যে, তাঁরা কখনো বাজে কমেন্ট করেন না।

 

দীর্ঘ সময়ে অনেক কাজ করলেও সেগুলো প্রচারের অভাবে সামনে আসেনি। কারণটা কী?

এটা অবশ্য কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আগে অনেক কাজ করলেও ব্যস্ত থেকেছি শুটিং নিয়ে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কম সময় দিয়েছি। তখন প্রচার নিয়ে ভাবিনি। তবে নিজেকে আপডেটেড করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে অভিনয়ে দেখা যাবে?

আমার অভিনয়ের ক্ষুধা আছে। অভিনয়টাই ঠিকমতো করতে চেয়েছি সব সময়; এখনো চাই। অভিনয় থেকে যেমন নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না, তেমনি চাই না দর্শকও আমার অভিনয় দেখা থেকে বঞ্চিত হোক। আমি যেহেতু অভিনয় করি, তাই অভিনয়ের সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই।

 

নির্মাণে আসার ইচ্ছা রয়েছে কি?

আমি আসলে অভিনয়টাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। ডিরেকশন, রাইটিং নিয়ে সেভাবে চিন্তা করিনি। ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে; এখন বলতে পারছি না।

 

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কোনো সুখবর...

অনেক চলচ্চিত্রের অফার এসেছিল আগে। তখন ফ্যামিলি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে করতে পারিনি। আমি যে ধরনের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই তা যেহেতু এখন হচ্ছে, তাই করতে সমস্যা নেই। ভালো অফার হলে অবশ্যই করব।

 

আপনার ‘বেটার ফিউচার ফর ওমেন’-এর কার্যক্রম কেমন চলছে?

অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, পরিচিতি, পড়াশোনা ও গবেষণা মিলিয়ে মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস থেকেই গড়েছি এই প্রতিষ্ঠান। এটি একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। এখানে নারীরা অনেক সমস্যার কথা শেয়ার করেন। আমিও তাদের সমস্যা মন দিয়ে শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি। নারীদের জন্য কর্মসংস্থান এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য দক্ষতা তৈরি করা, নারীদের জন্য তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, নারীদের জন্য ই-লার্নিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা- সর্বোপরি নারীদের জন্য একটা উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি করাই ‘বেটার ফিউচার ফর ওমেন’-এর মূল কাজ। একই সঙ্গে আমি কমিউনিকেশন নিয়েও কিছু কাজ করছি আমার প্রতিষ্ঠিত ‘বেটার ফিউচার কমিউনিকেশন লিমিটেড’-এর অধীনে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশে কিছু ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করছে। যেমন ‘কমনওয়েলথ অব লার্নিং’-এর জন্য নানা ধরনের কমিউনিকেশন সহায়তা দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে কি মিস করেন?

চিরচেনা সেই ক্যাম্পাসকে প্রচুর মিস করি! অনেক স্মৃতি রয়েছে ক্যাম্পাসটি ঘিরে। এখনো সেগুলো মনে পড়ে।

 

সর্বশেষ খবর