শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

দিনশেষে ভালো থাকাটা খুবই জরুরি

শোবিজ প্রতিবেদক

দিনশেষে ভালো থাকাটা খুবই জরুরি

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ। শিল্প-সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই তারকা নৃত্যশিল্পী ও উপস্থাপিকা হিসেবেও বেশ সুপরিচিত। গতকাল ছিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন

 

জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কেমন আছেন?

অসংখ্য ধন্যবাদ। জি, ভালো আছি।

 

মা ও বাবাকে নিয়ে আপনার অনেক স্মৃতি রয়েছে...

আমার মায়ের এত কিছু পড়ে আছে, অথচ তিনি নেই! মা যে নেই তা ভাবতেই চাই না। আর সব সময় মনে করি বাবা অন্য কোনো রুমে আছেন; সঙ্গে আছেন। বাবা মানেই আমার সবকিছুর প্রবলেম সলভ। ‘ওয়েটিং ফর গডো’র মতো আমিও বাবার প্রতীক্ষায়। বাবা ছিলেন আমার গডো। কোনো প্রবলেমে পড়লে একমাত্র তাঁর কাছেই সবকিছুর সমাধান থাকত। তাঁকে সবসময় মনে পড়ে। জানি না, বাবারা প্রত্যেকের জীবনে কীভাবে আছেন। তবে আমার কাছে তিনি সবকিছু। হঠাৎ করে কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন। জীবনে চলার পথে প্রচণ্ড একটা ধাক্কা খেলাম। দায়িত্ব বেড়ে গেল, যা কোনো দিনই ভাবিনি। বাবা ভাবতে দেননি কখনো।

 

বাবাকে নিয়ে কিছু স্মৃতি শেয়ার করবেন?

অনেক স্মৃতি রয়েছে, কোনটা রেখে কোনটা বলব। আমি স্কুলে গেলে দুটো বেণি করে যেতাম। বাবা বেণি দুটো বেঁধে দিতেন। তবে একটা বেণি বড়, আরেকটা ছোট হয়ে গেলে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতাম। বেণি একটু উঁচু-নিচু হলে রাগ করে বাবাকে বলতাম, ‘তুমি বেণি করতে পার না’।

 

অন্য প্রসঙ্গে আসি। ওটিটি প্ল্যাটফরমে অন্য এক বিজরীকে দেখেছে দর্শক। এই জার্নি কেমন ছিল?

বাবা মারা যাওয়ার পর কোনো কাজ করিনি। এরপর শাওকীর সঙ্গে কাজের বিষয়ে কথা হলো। আমি কনভেন্সড হলাম। কারণ শাওকীর আগের কাজ ‘তাকদীর’ দেখেছিলাম। এরপর তো কারাগার সেকেন্ড সিজন করলাম। যদিও প্রথমদিকেই করার কথা ছিল। তবে ওর সঙ্গে কাজ করে আমি খুবই হ্যাপি। কাজটি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কয়েকদিন তো হোল ডে হোল নাইট একটানা কাজ করেছি। তবে কারাগার টু এ আমার চরিত্রের কিছু সিকোয়েন্স কেটে ফেলেছিল, যেগুলো দেখানো হয়নি। তবে হ্যাঁ, কাজ করে অনেক ভালো লেগেছে। আর ভিকি জাহেদের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেছিলাম ‘দ্য সাইলেন্স’-এ। সবাই ভালো বলেছে। নতুন কিছু কাজের কথা চলছে। ফিল্মের। তবে ডিটেইলস এখনই বলতে চাই না। আগে ভাগে বলার পর যদি কাজটি না হয়!

 

নাটক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আপনার অভিমত?

টিভি তেমন দেখছি না। ইউটিউব-ওটিটির জন্য যা বানাচ্ছে, তাই দেখছি। পারিবারিক গল্প নিয়ে নাটক কম হচ্ছে। মা আর প্রেমিকা ছাড়া নারীকেন্দ্রিক নাটক তেমন হচ্ছে না। ভিউয়ার চেঞ্জ হয়ে গেছে। ভিউ চায় সবাই। ক্রিসপি জিনিস সবাই দেখতে চায়, ভালো জিনিস দেখতে চায় না। ভিউ কাউন্ট করে জনপ্রিয়তা নির্ধারিত হচ্ছে। তবে ওটিটি ভালো করছে। ভালো বাজেট, মেকার ও গল্প নিয়ে কনটেন্ট হচ্ছে।

 

সামনে সিনেমায় দেখা যাবে?

ভালো গল্প ও চরিত্র হলে তো কাজ করার ইচ্ছা রয়েছেই। একসময় তো প্রচুর অফার পেতাম। ইচ্ছা করত না বা রুচির সঙ্গে যেত না বলে করিনি। আসলে তখন পড়াশোনাটা শেষ করাটা জরুরি ছিল। এরপর হঠাৎ করে নাটকে অভিনয়! তবে ভাবিনি অভিনয় করব। আর ফিল্মের অফারগুলো পছন্দের ছিল না। এরপর এলো চলচ্চিত্রের অশ্লীল সময়। তাই সবকিছু ভেবে ইচ্ছাও ছিল না। এখন ভালো কাজ হচ্ছে, করাই তো যায়।

সর্বশেষ খবর