রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

মৌলিকের ওপর কোনো কিছুই নেই

মৌলিকের ওপর কোনো কিছুই নেই

তরুণ প্রজন্মের গায়িকা তাসনিম আনিকা। মৌলিক গানে তিনি স্বকীয়তা প্রকাশ করেছেন। স্টেজ শোতেও তাঁর পরিবেশনা অনবদ্য ও নজরকাড়া। শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখতে ভীষণ পটু এ গ্ল্যামারসিঙ্গার। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

বহুরূপী তাসনিম আনিকা, কথাটি কতখানি সত্য?

হ্যাঁ, আমি গান গাইতে পারি, আমি লিখতে পারি, সুর করতে পারি আর স্টেজে ভালো পারফর্ম করতে পারি। ভালো নাচতেও পারি আমি।

 

গায়িকা হিসেবে পরিচিত হলেও নামের পাশে গীতিকার ও সুরকার বিশেষণও যোগ করেছেন...

এর আগে বন্ধু দিবসে আমার লেখা ও সুরে আমার ও পূজার গাওয়া ‘বন্ধু’ গানটি প্রকাশের পর কাছের কিছু মানুষের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই। এরপর থেকে গান লেখা ও সুর করার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর ‘বাবুই পাখি’, ‘মন’সহ কয়েকটি গান লিখেছি ও সুর করেছি। এগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য করা। মূলত লকডাউনের দিনগুলোতেই গান লেখা এবং সুর করার প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হয়। সেই থেকে কিছু কাজ করছি। গানে পেশাগতভাবে মাত্র তো কয়েক বছর হলো। এরই মধ্যে গায়িকা হিসেবে শ্রোতা-দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে তৃপ্ত আমি।

 

এর আগে সিসিএলেও খেলেছেন। খেলার পারফরম্যান্স দেখে বিসিবি থেকে কি ডাক আসার সম্ভাবনা আছে?

হাহাহা... হ্যাঁ, আমি খেলতে চাই বিসিবি থেকে ডাক এলে! অবশ্যই খেলতে চাই। এটা তো স্বপ্নের মতো ব্যাপার।

 

বিশ্বকাপের থিম সং গাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে?

ওয়েল, সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের থিম সং গেয়েছি। যদি এমন কিছু হয়ে যায়। যদি নিজেকে একটা সময় ওই জায়গায় নিয়ে যেতে পারি তখন হয়তো বিশ্বকাপের থিম সং গাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েও যেতে পারে।

 

যদি আপনার পালাবি কোথায় গানটিই থিম সং হিসেবে পছন্দ হয়?

হাহাহা... ভালোই হতো! এটা আমি ভাবছি সামনে অ্যাপ্লাই করব। বিশ্বকাপে অন্য দল আমাদের সঙ্গে যখন খেলবে তখন আমরা বলব, ‘এই! পালাবি কোথায়?’

 

সংগীত ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট?

টার্নিং পয়েন্ট আসলে অনেকই ছিল। জীবনে অনেক সময় ধরে, অনেক ফেসের মধ্য দিয়ে একেকটা সময় আমি একেকভাবে টার্ন নিয়েছি। তবে যতবারই টার্ন নিয়েছি ততবারই নতুনরূপে টার্ন নিয়েছি। সো এভরি পয়েন্টই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

 

স্টেজে পারফর্ম করতে কোন গানগুলো গাইতে বেশি পছন্দ করেন?

অবশ্যই মৌলিক। মৌলিকের ওপর আর কোনো কিছুই নেই। তবে অন্য গানগুলোকেও ভালোবাসি। ভালোবাসার থেকেই কাভার করি। তবে নিজের গানকে স্টাবলিস করার চেষ্টা সব সময়ই ছিল এবং থাকবে।

 

গানের ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন হিসেবে কতখানি চাপ অনুভব করেন?

অনেকখানি চাপ। প্রতিবারই নতুনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। একঘেয়েমি যেন না থাকে সতা সবসময়ই মাথায় থাকে। কীভাবে অন্যভাবে প্রেজেন্ট করলে সবার কাছে একটু ভিন্ন লাগবে বা চমক লাগবে।

এই কারণে আমি সব সময় নিজের মধ্যে প্ল্যানিং চালিয়ে যাই। সর্বদা রিসার্চ চালিয়ে যাই। অন্যান্য দেশের আর্টিস্টদের অনুসরণ করি। তাদের সব ওয়েগুলোকে আমি দেখি। সো এভাবে করে নিজেকে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করি।

সর্বশেষ খবর