মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

গোটা ফিল্মই এখন সংকটে

 গোটা ফিল্মই এখন সংকটে

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও রয়েছে তাঁর সপ্রতিভ উপস্থিতি। ওটিটিতে তিনি মাত করছেন অভিনয়গুণে। মিশা সওদাগরের সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও কাজ নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

জীবন কেমন চলছে?

প্রতি মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছি, কাজ করছি, আলো-বাতাসে বেঁচে থাকছি। এগুলো কি আল্লাহর প্রতি শুকরিয়ার বিশাল কারণ নয়? আলহামদুলিল্লাহ!

 

আবারও দীপার সঙ্গে জুটি বাঁধলেন...

ছবিটি মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’। এই ছবিতে আমি আর দীপা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। দীপা খন্দকার একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এর আগে আমরা ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। ডার্ক ওয়ার্ল্ড আমাদের দ্বিতীয় কাজ। দীপা অভিনয়ে বেশ সাবলীল। শান্ত, চুপচাপ। নিজের কাজটুকু বুঝে নিয়ে ভালোভাবে করার চেষ্টা করেন।

 

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বিকল্প ভিলেন নেই?

আসলে সেভাবে কেউ তেমন করে চেষ্টা করেনি। যেমন অন্য কেউ শাকিবের মতো চেষ্টা করেও পারেনি। যোগ্যতা অনুযায়ীই তো সবার অবস্থান নিশ্চিত হয়, তাই না? এটা অনেক কঠিন জিনিস। ইন্ডাস্ট্রি মিশা সওদাগরের বিকল্প তৈরি করতে কম চেষ্টা করেনি। শুধু ভিলেন নয়, আমাদের দেশের একসময়কার অনেক সুপারহিট নায়কও ভিলেন হতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেননি। তবে তাঁদের ওয়েলকাম করেছি।

 

ইতিবাচক চরিত্রেও কাজ করছেন?

আমি ১৯৮৬ সালে নায়ক হয়ে দুটি ছবি করেছিলাম। একটি আমার ওস্তাদ ছটকু আহমেদের ‘চেতনা’ এবং অন্যটি আলমগীর কুমকুমের ‘অমর সঙ্গী’। তখন তো যুবক ছিলাম। হুমায়ুন ফরীদিকে যখন দেখলাম সব চরিত্রে নিজের নৈপুণ্য স্বাচ্ছন্দ্যে তুলে ধরছেন, তখন খুবই অবাক হতাম। যেহেতু আমি অভিনেতা, তাই আমার উচিত নয় একটা চরিত্রের ব্যারোমিটারে নিজেকে আবদ্ধ রাখা। আমি কমেডিতেও কাজ করেছি এবং জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। আমি কিন্তু চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া একজন অভিনেতা। বরাবরই একজন শিল্পী হতে চাই।

 

ফিল্মে এখন কী কী সংকট রয়েছে?

গোটা ফিল্মই এখন সংকটে। কারা ছবি বানায় ভাই! আর কাকরাইল তো বন্ধ। এখন তো ফিল্মে শিল্পী সংকট, নায়কের সংকট, মেধার সংকট, স্ক্রিপ্ট রাইটার নেই। ভালো মিউজিক করা যায় না। ভালো গল্প পাওয়া যায় না। এখন তো একজন গিটারিস্টও অভিনয় করছেন। একজন গায়ক, সেও অভিনেতা। নির্মাতা তাঁর ড্রাইভারকে দিয়ে অভিনয় করাচ্ছেন। যে চা দিচ্ছে সেও অভিনেতা।

 

সংকট কাটিয়ে উঠতে কী করণীয় রয়েছে?

কমপক্ষে ১০টি প্রোডাকশন হাউস থাকা লাগবে যারা পেশাদারভাবে নিয়মিত ছবি বানাবে। আমাদেরও খেটেখাওয়া মানুষদের জন্য ছবি বানাতে হবে। দর্শকদের জন্য ছবি বানাতে হবে যেটা সিনেপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন সবখানে দর্শক পছন্দ করছে আবার বাইরের দেশের দর্শকও দেখছে।

 

ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বক্তব্য?

অনেক কাজ করেছি। অনেক রকম কাজ করেছি। এই ইন্ডাস্ট্রিই আমাকে মিশা সওদাগর বানিয়েছে। টানা ৩৬ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। দ্যাটস মিন, ইন্ডাস্ট্রি মেড মি। ইন্ডাস্ট্রি আমাকে অনেক দিয়েছে, বিশ্বাস করেছে। তাই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি কৃতজ্ঞ।

সর্বশেষ খবর