বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার বুঝে পেতে চাই

বলিউডের খুফিয়াতে বাংলাদেশি তারকা আজমেরী হক বাঁধনের অসাধারণ উপস্থিতি নজর কেড়েছে দর্শকদের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই অনন্যা এবার কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জের ‘এশা মার্ডার’ : কর্মফল চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায়। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার বুঝে পেতে চাই

একটার পর একটা সাফল্যের পালক যুক্ত হচ্ছে বাঁধনের ক্যারিয়ারে। সবমিলিয়ে জীবন উদযাপন কেমন করছেন?

ভালোই যাচ্ছে। ভালো লাগা তো কাজ করছে সবসময়। যদিও ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না। কিছু ফ্যামিলি ক্রাইসিস আছে। সে জন্য হয়তো অনেক সাফল্য উদযাপন করতে পারছি না। তবে অবশ্যই খুফিয়ার রেসপন্সটা আমাকে ভীষণভাবে আনন্দ দিয়েছে। কারণ, আমার মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের দর্শক এত ম্যাচিউরড, এত সেনসিটিভ, এত প্রগেসিভ- এটা বোঝার খুবই দরকার ছিল; বাংলাদেশের যাঁরা প্রোডিউসার-ডিরেক্টর-অ্যাক্টর আছেন তাঁরাও এখন বুঝতে পেরেছেন। তো সেটি আমার খুবই ভালো লাগার একটা জায়গা।

 

ওপারে অনেক কাজ করা হয়েছে। পাইপলাইনে সামনে আরও কিছু কাজ রয়েছে?

অনেক নয়! না, পাইপলাইনে এত বেশি কাজ  নেই। একদমই নয়। আমার আসলে অনেক কাজ নেই। বাংলাদেশেও অনেক কাজ  নেই, ইন্ডিয়ায়ও যে খুব অফার পাই, তাও নয়। তবে আমি বলব যে, আমি অনেক ফরচুনেট। মানুষ আমাকে নিয়ে যে ধরনের চরিত্র চিন্তা করছে, সেটি আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। কারণ, আমি বলছিলাম অনেকদিন ধরে, আমি ডিফারেন্ট ক্যারেক্টার করতে চাই। নারীপ্রধান গল্প করতে চাই। তবে শুধু বললেই তো আর হবে না। তবে হ্যাঁ, এখন দেখলাম হচ্ছে। সো, এটা কিন্তু খুব একটা ভালো দিক।

 

সানী সানোয়ারের ‘এশা মার্ডার’ : কর্মফল কি তাহলে বাঁধনের জন্য সে রকম সিনেমা, যা তিনি প্রত্যাশা করছিলেন?

হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। আর আসলে খুব বেশি রহস্যের কিছু  নেই। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের এখানে যা হয় তা হলো মানুষ মার্ডারমিস্ট্রি বেশি দেখছে। সে কারণেই হয়তো  সেটি পছন্দ করছে ওরা। তবে আমি যে কারণে এটি করতে চেয়েছি সেটি হচ্ছে একটি নারীপ্রধান গল্প। আমাদের এখানে সব ইনভেস্টিগেশন অফিসার দেখানো হয় মেল ক্যারেক্টার। তো সেই জায়গা থেকে এটি আমার কাছে একটু ডিফারেন্ট মনে হয়েছে। আমি কখনো আগে পুলিশের ক্যারেক্টারও করিনি। সবমিলিয়ে আসলে রাজি হওয়া। আর এখন সে অর্থে ওই রকম কোনো কাজও ছিল না। তো ভাবলাম যে, কাজটি করি।

 

অনেকরকম চরিত্রে বাঁধনকে দেখছে দর্শক...

এটা আসলে ভালো দিক। অনেকরকম চরিত্রে মানুষ আমাকে বা অন্য কাউকে চিন্তা করছে। কিন্তু আমরা অনেক কিছু আসলে স্টেরিও টাইপ চিন্তা থেকে বের হতে পারিনি এখনো। সেটির একধরনের ক্রাইসিস আছে স্ক্রিপ্টে কিংবা গল্পে। সেটা আমাকে একটু পীড়া দেয়। এত বেছে তো কাজ করা কঠিন। গত বছর আমি একটা কাজ করেছি, গুটি। এরপর প্রায় ১ বছর ওই অর্থে কোনো কাজ করা হয়নি।

 

নতুন কাজের শুটিং কবে থেকে?

তা ওরাই ভালো বলতে পারবে। তারা এখনো আমাকে বলেনি কবে থেকে শুটিং করব।

 

এরমধ্যে ইন্ডিয়ায় কবে যাওয়া হবে কাজ নিয়ে?

জানি না। আমার তো কাজ নেই এখন।

 

বাঁধন এত সুন্দর কেন?

তাই নাকি? (মৃদু হেসে) আমি যে রকম সে রকম নিজেকে মেনে নিতে পেরেছি বলেই হয়তো। আমার মনে হয় এটা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তো এটা হয়তো ফেইসে রিফ্লেক্ট করে। এছাড়া আর কিছুই নয়।

 

বাঁধনের জীবনোপলব্ধি?

ভালো মানুষ হতে চাই। ভালো মানুষ বলতে মানুষ হতে চাই। এই প্রক্রিয়াটা চলমান থাকবে আমৃত্যু। আর আমি আমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার বুঝে পেতে চাই। এই তো সব। জীবন সুন্দর ও রঙিন।

সর্বশেষ খবর