শিরোনাম
শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই

আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই

দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। দীর্ঘ ২৬ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে তিনি এখনো চিরসবুজ। কয়েকদিন আগে তাঁর ছবি হঠাৎ বৃষ্টির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে হয়ে গেল এক উদযাপন। এ উদযাপন ও সমসাময়িক কাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

হঠাৎ বৃষ্টির ২৫ বছর উদযাপন করলেন। এ সিনেমা নিয়ে স্মৃতিসমৃদ্ধ বই প্রকাশে কেমন অনুভূতি হচ্ছে?

বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ও বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত কালজয়ী রোমান্টিক চলচ্চিত্র ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সিনেমার সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের অনেক স্মৃতি। আমার তো হাজার হাজার স্মৃতি জড়িত। যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমার কিছু স্মৃতি লিখেছি। এই বইটি প্রকাশের পুরো উদ্যোগ ছিল ফরিদুর রেজা সাগর সাহেবের। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমাটিকে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নিয়ে এসে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাসু দা ৯৪ বছরে মারা যান। মারা যাওয়ার মাসখানেক আগেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি আরও একটি সিনেমা নির্মাণ করতে চান; আমাকেও চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় কাজটি আর হলো না।

 

মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হৃদি হকের সিনেমাটি আগেরগুলো থেকে কতখানি আলাদা?

হৃদির ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ আসলেই অন্যরকম একটি সিনেমা। এটা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ গল্প রয়েছে এটিতে। এতে প্রেম রয়েছে, একান্নবর্তী পরিবার ও তাদের গল্প রয়েছে। ৭৫-এর সময়কার মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা থেকে আমাদের এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধনির্ভর গল্প-নির্মাণ অনেকটা বদলে গেছে। তখন ঢাকাকেন্দ্রিক সিনেমা নির্মিত হতো না। হৃদি হক ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমায় ঢাকাকেন্দ্রিক গল্প অসাধারণভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁর বাবার দেখা সেই সময়ের গল্প সুন্দরভাবে চিত্রণ করেছেন। এটা সত্যিই কঠিন কাজ। হৃদি ও তাঁর টিম প্রচণ্ড ইফোর্ট দিয়েছে। গল্পকে ফুটিয়ে তুলতে কোনো কিছুতেই কার্পণ্য করেনি। এই সিনেমার জার্নি আমার আজীবন মেমোরি হয়ে থাকবে।

 

এ দেশে শিশুতোষ সিনেমা কম হয় কেন?

আমাদের দেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র খুবই কম। হাতেগোনা ৫-৭টা হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। আমি দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। তার মধ্যে একটি রিলিজ পেয়েছে। মাইক সিনেমায় বাচ্চাদের সঙ্গে কাজ করে মজা পেয়েছি। শাহীন অনেক যত্ন করে সিনেমাটি বানিয়েছেন। এই সিনেমা নির্মাণের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে এই জেনারেশনকে সঠিকভাবে জানানো। মুক্তির পর সবাই ভালো বলেছে।

 

ইতোমধ্যেই প্রায় এক ডজন সিনেমায় কাজ করেছেন। সেগুলো কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারে?

আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ শিশু একাডেমির সিনেমা। এটাও শিশুতোষ সিনেমা। সামনে মুক্তি পাবে। আর ‘দামপাড়া’ কী কারণে রিলিজের জটিলতায়-সেটা অজানা। এছাড়াও করেছি ‘দখিন দুয়ার’, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’, ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’। নিয়ামুলের গাঙচিল সিনেমাটি শিল্পীদের শিডিউল নিয়ে জটিলতায় রয়েছে। তবে ‘জ্যাম’ শেষ হয়েছে। আর পূর্ণিমার সঙ্গে ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ করলাম। বলতে গেলে তো বেশ কিছু সিনেমা করেছি। এগুলো আগামী বছরের মধ্যে মুক্তি পেতে পারে।

 

চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কখনো সিনেমায় অভিনয় করবেন?

না। কারণ নায়ক চরিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছি, নায়ক হিসেবেই শেষ করব। আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই।

সর্বশেষ খবর