আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ওপারে নতুন সিনেমা মুক্তির পর ওটিটিতে প্রকাশ পায় তাঁর অভিনীত ‘বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোয়িং মি’ ওয়েব ফিল্ম। ওটিটিতে মুক্তির অপেক্ষায় কয়েকটি কাজ। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
বিয়ের পর ব্যক্তিগত জীবন কেমন যাচ্ছে?
ব্যক্তিগত জীবন ভালো যাচ্ছে। আর অবশ্যই বিয়ে আমার জন্য আশীর্বাদ। যেদিন আমি বিয়ের ডেট চূড়ান্ত করি, সেদিনই আমার কাছে দুটো ভালো কাজের প্রস্তাব আসে। সো, বিয়েটাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি।
বিয়ের পর কি ভক্ত কমে গেছে, নাকি বেড়েছে?
বিয়ের পর ভক্ত আরও বেড়েছে। বিয়ের খবর আর ছবি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পর সবার যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, মুগ্ধ আমি। আমার মনে হয়, ভক্তরা আমার পর্দার কাজকে ভালোবাসেন। আমিও তাঁদের অনেক ভালোবাসি।
আর জনপ্রিয়তা?
আমি আসলে জানি না। এটা আমি বিচার করতে পারি না। তবে বিয়ের পর আমাকে সবাই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
শুটিং কি কম করছেন?
তেমন কম নয়; ওটিটির কাজ বেশি হচ্ছে। ওটিটির কাজে প্রস্তুতির পর্বটা বেশ সময় নিয়ে হয়। লুক সেট করাসহ নানাদিকের প্রস্তুতি লাগে। ফলে শুটিং না থাকলেও প্রস্তুতিতে সময় দিতে হয়। সে প্রস্তুতিতে সময় চলে যায় বেশি। তাই অনেকে ভাবেন কাজ কম করি।
‘বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোয়িং মি’ নিয়ে জানতে চাই...
এটিতে বাবা-মেয়ের এক রাতের ঘটনা পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। এটি পুরো টিমের জন্যই অনেক কঠিন কাজ ছিল। একটি রাতের ঘটনা দেখাতে আমাদের চার রাত জেগে থাকতে হয়েছে। বেশ কঠিন এবং পরিশ্রমের কাজ করেছি। প্রোডাকশনের প্রত্যেকে অনেক কষ্ট করেছেন। এতে আমার চরিত্রের নাম বিজয়া। শিহাব শাহীন ভাইয়ার জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত এটি। এতে আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এতে বাবার সঙ্গে মেয়ের ওভার দ্য ফোনে কথা বলার অনেক দৃশ্য আছে। সে দৃশ্যগুলো করতে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। দেশে শুটিং করেছি এক দিন আর অস্ট্রেলিয়ায় তিন দিন।
বাস্তব জীবনে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন?
না। কারণ, আমি তো বিদেশে থাকি না, বিদেশে পড়াশোনাও করিনি। তবে প্রায়ই বিদেশে কাজের জন্য বা ঘুরতে যেতে হয়। তখন বাবা-মা প্রচুর চিন্তা করেন, উৎকণ্ঠায় থাকেন। ফিল্মটিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সেই উৎকণ্ঠার মাত্রা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পেরেছি
সমালোচনাকে কীভাবে নেন?
প্রশংসা বা সমালোচনা যেটিই হোক। যদি গঠনমূলক হয় সেটি আমি বরাবরই ভালোভাবে গ্রহণ করি। আর চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সমৃদ্ধ করতে।
এ দেশের সিনেমায় কবে দেখা যাবে?
বরাবরই চাই বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করতে। তেমন চিত্রনাট্য না এলে কী করব বলুন? প্রস্তাব আসে। তবে আমি চাই ভালো কাজ। সংখ্যা বাড়াতে আমি স্রোতের সঙ্গে তাল মিলাতে চাই না। ভালো গল্প ও চরিত্রে সিনেমায় কাজ করতে চাই। এটি ধীরে ধীরে হোক সমস্যা নেই। তবে আমি আশাবাদী ভবিষ্যতে যদি অভিনয় করার মতো গল্পের ছবি পাই, অবশ্যই করব।
নাটকে তেমন করে দেখা যাচ্ছেন না; কাজ করা কি ছেড়ে দিয়েছেন?
মিডিয়ায় প্রথম এসে তো অনেক কাজ করেছি। অনেক নাটকে কাজ করেছি। আসলে এ বছরের অর্ধেক সময় নাটকই করেছি। বাকি অর্ধেকটা ওটিটির যে কাজগুলো ছিল সেগুলো করলাম। তাই এ সময়টায় নাটকের শিডিউল দিতে পারিনি। এখন আবার প্ল্যানিং হচ্ছে। সামনে আশা করি ভালো কিছু গল্পের নাটকের শুটিং করব। সে পর্যন্ত ভক্তরা অপেক্ষা করবেন আশা করি।