বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

সব সময় ছোট হয়ে থাকতে চাই

সব সময় ছোট হয়ে থাকতে চাই

অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী শিমু। ২০১৯ সালের মেড ইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে তাঁর প্রধান ভূমিকার জন্য ফ্রান্সের ফেস্টিভ্যাল ডি সেন্ট-জিন-ডি-লুজ-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির খবরটা প্রথম কীভাবে জানলেন, অনুভূতি কেমন ছিল?

আমার কিছু কাছের মানুষের থেকে আমি প্রথম জানতে পারি। বাঁধন আপু, শাওকী ভাইয়া আরও কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন। প্রথম আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। হয়তো বাঁধন আপু ভুল করে আমাকে টেক্সট করেছেন। কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়েছিলাম।

 

পুরস্কার প্রাপ্তির পর নেতিবাচক কিছু কি চোখে পড়েছে?

না, আমি আসলে অনেক ভাগ্যবতী। যারা আমাকে চিনে বা আমার আশপাশের মানুষদের থেকে আমি কখনো নেতিবাচক কিছুই শুনিনি। উল্টো সবাই আমাকে বলেছে তুমি ডিজার্ভ কর। সত্যি কথা এই বিষয়টা নিয়ে আমি অনেকটা ভয়ে ছিলাম। যদিও আমার মধ্যে আমার কাজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল।

 

ছোটবেলা থেকে কি হতে চেয়েছিলেন?

এই চিন্তাটা করার আগেই আমি থিয়েটারে যোগ দিই মাত্র ৭ বছর বয়সে মামার হাত ধরে। প্রথম প্রথম আমি যেতে চাইতাম না। স্কুলের শেষে আমি খেলতে পছন্দ করতাম অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে। পরবর্তীতে আমার মধ্যে ভালো অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা তৈরী হয়।

 

জয়া আহসানের মতো একজন শিল্পীর সঙ্গে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?

তাঁর মতো এত বড় মাপের একজন শিল্পীর সঙ্গে অ্যাওয়ার্ড নিশ্চয়ই অনেক বড় একটা পাওয়া। সেই সঙ্গে আমার ডিরেক্টর রুবায়েত আপু বেস্ট ডিরেক্টর হয়েছেন। একই ছবিতে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাই আমরা। এটা সত্যিই অন্যরকম একটা ভালো লাগা আমার জন্য।

 

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

আমি ভাবিনি এখনো। অভিনয়টা আমার ভালো লাগার জায়গা। আমি এটা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমি যেটাই করি আমি চাই ভালো একটা স্বীকৃতি হোক আমার কাজের। আমি সেভাবে নিজেকে তৈরি করছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমি সব সময় ছোট হয়ে থাকতে চাই।

 

কখনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?

আসলে অনেকেই আছেন যারা পেছন থেকে টেনে ধরে রাখতে চান। নিরুৎসাহিত করতে চান। কিন্তু না, আমার সঙ্গে তারা সফল হননি। কারণ আমার মা। তিনি আমাকে সব সময় উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমার এগিয়ে যাওয়ার সাথি হয়েছেন। মা বলেন, তুমি কাজ করে যাও, আমার বিশ্বাস আছে তুমি ভালো কিছু করবে জীবনে।

 

বর্তমানের ব্যস্ততা?

সরকারি অনুদানের একটা সিনেমা করেছি। আরেকটি কাজের কথা চলছে। গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমার একটি চলচ্চিত্র গেছে। সেটা একজন ইরানি পরিচালকের চলচ্চিত্র, যেখানে জয়া আপু এবং আমি কাজ করেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর