শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

চ্যালেঞ্জার ভাইকে প্রতিদিন মিস করি

চ্যালেঞ্জার ভাইকে প্রতিদিন মিস করি

তারকা অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। ২১ বছরে ধরে অভিনয় করছেন টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে। এক আলাপচারিতায় তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

মহিলা সমিতি করছেন শুনলাম। সংগঠনের কী পদে রয়েছেন আপনি?

হা হা হা...মহিলা সমিতি, এইটা একটি নাটকের নাম। আমার সংগঠন। এইটা শুরু করেছি সুন্দর সুন্দর মেয়েদের নিয়ে। নাটকের গল্পের শুরুটা ফান কিছু দিয়ে হলেও শেষ হবে চমক দিয়ে। অনেক ডাইমেনশন আছে। অনেক বিষয় আছে যা বলা যাবে না, তাহলে চমক শেষ হয়ে যাবে। অনেক কষ্ট করে আমরা কাজটি করছি। তানিয়া বৃষ্টি আছে, আমি আছি, একঝাঁক নতুন মুখ আছে। আমার মনে হয় কাজটি অনেক ভালো হবে। নির্মাতা সাইফুল হাফিজ খান অনেক যত্ন করে বানাচ্ছেন। আমি বলব না যে নাটকটি একটি রসগোল্লা টাইপ নাটক। আবার এ-ও বলব না, নাটকটি অনেক ফালতু নাটক।

 

নাটকে আপনার চরিত্রটি কেমন?

প্রাথমিকভাবে মনে হবে সে খুবই সাংগঠনিক মহিলা। বাকিটুকু বলে দিলে তো সবকিছু ফ্লাশ হয়ে যাবে। বলেই দিই। আমার চরিত্রের নাম লায়লা খান। খুবই টিপটপ একজন মহিলা। সে চায় তার সংগঠনে বেশি বেশি নারীরা মানে সুন্দরী মেয়েরা আসুক। নারীরা স্বাবলম্বী হোক। তাদের পায়ের নিচে মাটি গড়ে তুলুক। ওই যে একটা ডায়ালগ আছে- থাকিলে নারীর টাকাকড়ি, ধারে না কারও ধার ধারি। ক্যারেক্টারটা খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে।

 

লেইস ফিতাওয়ালার বউ চরিত্রে...

এটি ‘রেশমী চুড়ি’ নাটক। অভিনেতা-নির্মাতা এমএনইউ রাজুর রচনা ও নির্মাণে এটি। ঢাকার বাইরে রাজবাড়ী জেলার গোদারবাজার ও কালুখালির বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং হয়েছে। আমি ছাড়াও অভিনয় করেছে জোভান, রুমেল, তটিনী, মাহমুদুল ইসলাম মিঠুসহ অনেকেই।

 

আপনার বড়ভাই ও অভিনেতা চ্যালেঞ্জারকে কতখানি মিস করেন?

আমার ভাই আমার কলিজার টুকরা ছিল। চ্যালেঞ্জার ভাইকে প্রতিদিন মিস করি। ভাইয়ের কথা কখনো ভুলতে পারব না। তাঁর কথা মনে পড়লে কান্না পায়। তিনি খুব বেশিদিন অভিনয় করতে পারেননি। মাত্র ছয় বছরে অনেক নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখনো অনেক শিল্পী, পরিচালক ও দর্শক তাঁর কথা বলেন।

 

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। তাঁকে মনে পড়ে?

তাঁকে খুব বেশি মনে পড়ে। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। আমি অভিনয়ে এসেছি তাঁর হাত ধরে। আমি বই পড়া শিখেছি হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ে এবং বড় হয়েছি তাঁর বই পড়ে। আসলে হুমায়ূন আহমেদকে মূল্যায়ন করা কঠিন। তাঁকে যুগ যুগ ধরে সবাই স্মরণ করবেন। তাঁর আশীর্বাদ ছিল বলেই এখনো আমি অভিনয় করে যাচ্ছি। এ সময়ে মোস্তফা কামাল রাজ, অমি, বান্নাহ, রেদওয়ান রনি থেকে শুরু করে অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। কাজ করার যোগ্যতাই আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। আমি কোনো দিন কারও কাছে কাজের জন্য যাইনি। আর আমার সেই অর্থে গ্ল্যামারও নেই। ইন্ডাস্ট্রিতে যত কু-কথা শুনি, সেসব কিছুই আমাকে ফেস করতে হয়নি। আমি একের পর এক কাজ করে গিয়েছি। কাজই আমাকে কাজের পথ দেখিয়েছে। এখনো তাই।

 

ডোডোর গল্পসহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন...

এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি সিনেমা করেছি। রেজা ঘটকের ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায় আমি নীলা চৌধুরী করেছি, আমার মেয়ে পরীমণি। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অরুণ চৌধুরীর ‘জ্বলে জ্বলে তারা’, জাকির হোসেন রাজুর ‘চাদর’ নামের একটি সিনেমা করেছি। এ ছাড়া মাযহার বাবুর ‘ঠোকর’ নামে আরেকটি সিনেমা করেছি।

 

সর্বশেষ খবর