দীর্ঘ এক যুগ পর অভিমান ভেঙে ফিরেছিলেন তারকা সংগীতশিল্পী বালাম। যিনি একসময় একের পর এক গানে তারুণ্যকে মাতিয়েছেন। আবারও পুরোদমে ফিরলেন তিনি। সম্প্রতি কোনালের সঙ্গে তার গাওয়া ‘প্রিয়তমা’ গানটি শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরছে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
‘প্রিয়তমা’ দিয়ে ফের প্লেব্যাকে ফিরলেন। নতুনরূপে সবার সামনে আসায় কেমন লাগছে?
অবশ্যই ভালো লাগছে। শ্রোতা-দর্শক গানটিকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। বলতে পারি, চেনা বালাম নতুন রূপে সবার সামনে এসেছে। এটি সিনেমার টাইটেল সং। আসিফ ইকবালের কথা ও আকাশ সেনের সুরে আমার সঙ্গে গানটিতে দ্বৈতকণ্ঠে ছিলেন কোনাল। আমি তো বলব ‘প্রিয়তমা’ গানটির মধ্য দিয়ে শ্রোতারা আমাকে নতুনভাবে পেয়েছে। সব গান তো এমন জনপ্রিয়তা পায় না। হঠাৎ করেই কোনো একটি গান সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো গানেই আমাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। এ গানের পর মনে হচ্ছে সবটাতে একটা ভাগ্যের বিষয়ও থাকে। দর্শক-শ্রোতারা এ গানের মধ্য দিয়ে আমাকে অন্যরকমভাবে আবিষ্কার করেছেন।
তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন গানে?
আমি তো চাই নিয়মিত গান করতে। ভালো সিনেমায় গান করতে চাই। ভালো লিরিক-গান সব মিলে যদি আস্থার জায়গাটা পাই, তাহলে গান করতে আপত্তি নেই। আসলে সব শিল্পীই মাঝেমধ্যে বিরতিতে যায়। আমি একসময় টানা গান করেছি। এর মাঝে বড় গ্যাপ হয়ে গেছে। তবে আমি কিন্তু গান করে গেছি। এমন না যে গান ছেড়ে অন্য কিছু করেছি। গান নিয়মিতই করে যাচ্ছি।
অভিমান করে গান থেকে দূরে ছিলেন কেন?
আমি গান করব না অথবা গানের প্রতি আমার অভিমান আছে এটি কখনো মাথায় আসেনি। যতদিন বেঁচে আছি গান করেই যাব। মূলত স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই ধীরে ধীরে গানে অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিলাম। ২০১০ সালে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়। তাকে নিয়ে দেশের বাইরে যেতে হতো নিয়মিত। মূলত পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে গান প্রকাশ থেকে একটু দূরে সরে যাই। আর এ দূরে থাকাটা দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আমি তো চর্চা চালিয়ে গিয়েছি। আমার চর্চা ও সংগীত সাধনার ফল দর্শক-শ্রোতারা পাবেন এখন থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকেও নিয়েছিলেন বিরতি...
একবার আমার ফ্যান পেজ হ্যাক হয়ে যায়। তখন নতুন করে পেজ চালুর আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। এখন কিন্তু ভক্তদের জন্য ফেসবুক পেজ নতুন করে চালু করেছি। তবে হ্যাঁ, আমি একটু অন্তর্মুখী ধরনের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতাম না। নতুন গান মুক্তি দিতে আগ্রহ পেতাম না। কিন্তু ভক্তদের সঙ্গে যেখানেই দেখা হতো, সবাই ফিরে আসতে বলতেন। তখন মনে হলো, অভিমান সরিয়ে ফিরব। কিন্তু গান করব না, এটা মাথায় কখনোই আসেনি। যত দিন প্রাণ থাকবে, তত দিন গান করে যাব।
স্টেইজ শো ও গান নিয়ে নতুন পরিকল্পনা কী?
দেশে ও দেশের বাইরের স্টেজে এখন নিয়মিত গান করছি। তাছাড়া স্টেজের উপযোগী করে কিছু ফাস্ট গান তৈরি করছি। নিজেকে মিউজিক্যালি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আর নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। সেখান থেকে নিয়মিত গান প্রকাশ করব। এভাবেই আরও নিত্যনতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি।