শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

অনেকে ভাইরাল হতেই এসেছে

অনেকে ভাইরাল হতেই এসেছে

দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। আশির দশক থেকে বর্তমানে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধে যার রয়েছে অসামান্য ভূমিকা। বিভিন্ন মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন পান্থ আফজাল

 

এশা মার্ডার : কর্মফল-এ কেমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন?

পুলিশ সুপারের চরিত্র। নির্মাতা সানী আমাকে বলেছেন, এখানে পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রয়েছে; সেটি করার জন্য। যদিও আগে পুলিশ পজিশনের চরিত্র করেছি।

 

রুচির দুর্ভিক্ষর জন্য দায়ী কারা?

দায়ভার সবার। আমরাই তো তৈরি করেছি ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’। সাধারণত একজন দর্শককে তৈরি করে থাকেন একজন পরিচালক তার কনটেন্টের মাধ্যমে। সেখানে অভিনয়শিল্পী যতটা পারেন চরিত্রটি বাস্তব করে তুলে ধরবেন, এমনটাই কথা। কিন্তু এমনটা না করে বরং স্রোতে গা ভাসিয়ে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, কখনো অতিরঞ্জিত করে নষ্ট করছেন চরিত্রটিকে। ক্যামোফ্লেক্স করে প্রকৃত চরিত্র না বুঝে চরিত্রটি নষ্ট করছেন। এই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।

 

বর্তমানে সাংবাদিক-শিল্পীর মধ্যে বৈরিতাও খুবই প্রকট...

সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পীদের যে রিলেশনশিপ তা অত্যন্ত কার্যকরী একটি সম্পর্ক। একজন আরেকজনের জন্য পরিপূরক। এটা চা আর চিনি কিম্বা চা আর দুধের মতো সম্পর্ক। সো, একটার সঙ্গে একটা কমপ্লিমেন্টারি গুডসের মতো। এই রিলেশনটার মাঝে সম্মান থাকা উচিত। আমরা কতটুক বলতে পারি, শিল্পী হিসেবে সেটুকুর একটা মাত্রা থাকা উচিত এবং সাংবাদিকেরও দায়দায়িত্ব থাকা উচিত যে, একজন সাংবাদিক কতটুকু লিখতে পারেন। এই মিডিয়া বা এই সাংবাদিকরাই এসব শিল্পীকে তৈরি করেছেন। একেকজনকে আকাশে তুলে ফেলেছেন। তাদের ভিউশিপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাংবাদিকরাই। করেছেন তাদের নিজস্ব তাগিদে, নিজস্ব লেখনীর মাধ্যমে। এখন এই তৈরি করার ক্ষেত্রে গিয়ে তাদের মধ্যে যে রিলেশনশিপ, সেটা এটা-ওটার জন্য যদি ভেঙে যায়, ঠিক বিপরীতভাবে যদি সবাই তার বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ায় সেটা খুবই দুঃখজনক। সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে একটা বেরিয়ার থাকা উচিত। প্রফেশনের জায়গা থেকে যদি প্রফেশনাল থাকতে পারে তাহলে সম্পর্কগুলো এ রকম জায়গায় কিন্তু দাঁড়ায় না। তখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যায়। একজন শিল্পীর বেডরুম পর্যন্ত যাওয়া উচিত নয়। ড্রয়িং রুমই হচ্ছে একজন অতিথিকে আপ্যায়ন করার জায়গা। সম্পর্ক হতে হবে অম্ল-মধুর।

 

মিডিয়ায় বিশৃঙ্খলা চলছে, এর দায়টা কার?

সাংবাদিক-শিল্পী দুই পক্ষেরই ওপর এর দায় বর্তায়। আমরা যদি প্রথম থেকেই নিজেরা সতর্ক থাকি, তাহলে এমন ঘটনা কিন্তু কখনোই ঘটবে না। শিল্পী যদি কাঠখড় পুড়িয়ে, সাধনা ও চর্চার মাধ্যমে শিল্পী হয় সে ক্ষেত্রে এ জাতীয় কোনো উদাহরণের নজির আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে নেই। কতখানি আমার ক্ষতি হবে, কতটুকু করলে ভালো হবে সেই সেন্সরশিপটা থাকা জরুরি। এটা হচ্ছে নন্দনতত্ত্বের মতো। ওই নন্দনতত্ত্বের বাইরে যেতে পারবে না। যেটুকু করা দরকার একজন শিল্পীর জন্য, সেইটুকুই। আজকে এই অবস্থাটা কেন? ভাইরাল করবার জন্য? আমরা সবাই কমেডিয়ান না! ভাইরাল হতে এখানে আসিনি কিন্তু। অবশ্য অনেকে ভাইরাল হতেই এসেছে। তাই এই দুরবস্থা দেখা দিচ্ছে।

 

নির্বাচনের মাঠে দেখা যাবে...

আমার এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। যখন আমি শিল্পী হিসেবে নাম লিখিয়েছি প্রফেশনালি তখন আমি সবার শিল্পী। হ্যাঁ, আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে তবে নির্বাচন করব এই মতবাদের মধ্যে নেই।

 

আপনার চোখে সুপারস্টার?

অনেকেই আছে। ফিল্মের ক্ষেত্রে আছে, নাটকের ক্ষেত্রেও আছে। এটা জনপ্রিয়তার নিরিক্ষে হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর