ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন দুই বাংলার দর্শকরা। অপি করিমের সঙ্গে ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর নির্মাণে এবং জসীম আহমেদের প্রযোজনায় ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ অভিনয় করে এদেশের দর্শকদের আরও সন্নিকটে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
এদেশের নাটক দেখেছেন? এ বাংলার কার অভিনয় ভালো লাগে?
যখন ছোট ছিলাম তখন বাড়িতে বুস্টার লাগানো ছিল। সে সময় বিটিভির নাটক দেখতাম। তখন হুমায়ুন ফরীদি-সুবর্ণা মুস্তাফাকে দারুণ লাগত। বিপাশা হায়াতকেও ভালো লাগত খুব। এখন তো চঞ্চল ও মোশাররফ করিমদার ভয়ংকর ফ্যান। আরফান নিশোর ভক্তও আমি। আগে তো কিছু ক্লিপ আসত, এখন তো রেগুলার কাজ দেখা যায় বিভিন্ন মাধ্যমে। সো, বাংলাদেশের কাজগুলো দেখা হয়।
আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন?
থিয়েটার করতে এসেছিলাম ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে। তখন সিনেমায় অভিনয় করতাম না। সেই সময় আমি যে দলে থিয়েটার করতাম, তাদের সঙ্গে এসেছিলাম। তারপর ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর শুটিং করতে এসেছিলাম।
বাংলাদেশে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে?
একজন অভিনেতা হিসেবে বলতে পারি, আমি তো চাই এদেশে নিয়মিত কাজ করি। বাংলাদেশের শিল্পীরা তো ওটিটিতে কাজ করছেন। জয়া-চঞ্চল-মোশাররফদা কাজ করছেন। এটা কিন্তু দুই বাংলায় সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে সিনেমায় অভিনয়ের কিছু প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু এখনো নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। তবে অবশ্যই কাজ করতে চাই।
‘বিনিসুতোয়’ ছাড়াও জয়া আহসানের সঙ্গে আগেও তো কাজ করেছেন?
জয়ার সঙ্গে একটি ছবিতে ছিলাম। যদিও একসঙ্গে দৃশ্য সেভাবে ছিল না। ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘ভালোবাসার শহর’-এ একটি দৃশ্য ছিল দুজনের। আমরা আগে কখনো রিহার্সেল করিনি। তবে আলাদাভাবে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর সেটে এসে মিট করেছি। আসলে জয়া খুবই উঁচু দরের অভিনেত্রী। আর আমরা তো ছোট ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা। ফলে সব রকম প্রসেসে কাজ করতে তৈরি থাকি।
জয়ার পর ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ অপি করিমের সঙ্গে রসায়নটা কেমন ছিল?
অভিনেতা হিসেবে যখন কাজ করি তখন তো আলাদা করে রসায়নের বিষয় মাথায় রাখি না। চিত্রনাট্য, মুহূর্ত সব মিলিয়ে হয়তো পুরো বিষয়টা জমাট বাঁধে। শিল্পী ভালো হলে তাঁরা হয়তো আরও পরত যোগ করেন দৃশ্যে। খুব খারাপ অভিনেতা হলে আমি বুঝতে পারি না ভালো করছে নাকি খারাপ করছে। জয়া ও অপি-দুজনই ভীষণ গুণী অভিনেত্রী। তবে জয়ার সঙ্গে দুটো কাজ করেছি। আর অপির সঙ্গে ‘মায়ার জঞ্জাল’। সে খুবই উঁচুমানের একজন অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমি মুগ্ধ।
বাস্তবে আপনি কেমন প্রকৃতির?
বাস্তবে আমি হয়তোবা কিছুটা কেয়ারলেসও। একটু স্বাধীনচেতা। বাঁধাধরা নিয়ম মেনে কখনো চলিনি। তবে বর্তমানে আমি একজন বাবা। একটু দায়িত্বশীল হয়েছি বলা যায়। যদিও সব চরিত্রের সঙ্গে আমার বাস্তবে মিল খুবই কম।