রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

পুরো মিডিয়াটাই তো সিন্ডিকেট

পুরো মিডিয়াটাই তো সিন্ডিকেট

ছোট পর্দার ড্যাশিং হিরো আরশ খান। স্বল্প ক্যারিয়ারে অসংখ্য ভালো গল্পের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। তাঁর অভিনীত নাটকগুলোর প্রতি দর্শকের যেমন আগ্রহ তৈরি হচ্ছে ঠিক তেমনি নাট্যনির্মাতারাও আরশ খানকে নিয়ে নাটক নির্মাণের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

ইদানীং শুটিং কি কম করছেন?

হুমম...নিজেকে সময় দিচ্ছি। নিজেকে নিয়ে ভাবছি। ভালো গল্প ও চরিত্র বুঝে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এখন কাজ কম করছি। মাসে এখন ১০-১২ দিন কাজ করছি। ৫টার ওপরে কাজ করি না। কিছুদিন আগেও প্রচুর কাজ করেছি। তবে এখন নিজেকে নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। যা সামনে আসবে তা-ই করা যাবে না। এ সময় একটু ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত বলে মনে করছি। অল্প করে কোয়ালিটিসম্পন্ন কাজ করব। যে প্রজেক্টই আসুক না কেন আমি নিজে প্রি-প্রডাকশন না করে সেটে যাব না। গল্প কেমন হবে, কেমন কাজ হবে, চরিত্র-এসবের মধ্যে আমি নিজেও থাকতে চাই। কারণ ভালো কাজ করতে চাই এখন।

 

আরশ-তানিয়া বৃষ্টি জুটি হিসেবে কতখানি নির্ভরযোগ্য?

তানিয়া বৃষ্টির ক্যারিয়ার কিন্তু ১১ বছরের। এত বছরে তানিয়ার প্রথম জুটিটাই কিন্তু আমার সঙ্গে। আবার আমি নতুন হিসেবে সিনিয়র একজনকে জুটি হিসেবে পেয়েছি। ওর পারফরমেন্সে কো-অ্যাক্টরের পারফরমেন্স প্লাস হয়। যেটা আমারও হয়েছে। আমি তো বলব এ জুটিটার মধ্যে একটা ম্যাজিক আছে। এ জুটি কিন্তু এখন দর্শক, নির্মাতা ও প্রযোজক দ্বারাও স্বীকৃত।

 

চলচ্চিত্রে অভিষেক কবে?

সেটা যে কোনো সময়ে। আমি যখন আশানুরূপ গল্প বা স্ক্রিপ্ট, চরিত্র আর টাকা পাব তখন অবশ্যই করব। বড় পর্দা মানে সব বড় ব্যানার। ফ্রেম বড়, কাজ বড়, টাকার অংকটাও বড় হবে। যে ৬টা মাস একটা ক্যারেক্টারের ভিতরেই থাকব, লালন করব ওই সময় যদি আমার মাথায় আসে ও আল্লাহ! আমার মা তো অসুস্থ, হসপিটালে। টাকা লাগবে অনেক। সেই টাকা কোথায় পাব! সেই চিন্তা করে যদি ক্যারেক্টার থেকে বের হয়ে কোনো বিজ্ঞাপন করি তাহলে হবে না। প্রপার প্রিপারেশন ছাড়া বা সাঁতার না জেনে তো সাগরে ঝাঁপ দেব না! অনেক ফিল্মের অফার এসেছে, নির্মাতারাও গুণীজন। কিন্তু যখন গল্প আর বাজেট ঠিকঠাক মতো না পাই তখন কী করে করি?

 

আরশের ছোট্ট একটা স্বপ্ন রয়েছে, সেটা কী?

গাড়ি কিনব। যেদিন গাড়ি কেনার টাকা হবে সেদিন গাড়ি কিনে স্বপ্নটা পূরণ করব...হা হা হা।

 

এত এত কাজ করেছেন তারপরও...

গাড়ি কেনার মতো টাকা হয়নি। আসলে একজন আর্টিস্টের যেমন ইনকাম আছে তেমনি ব্যয়ও আছে সেরকম। হাজারটা ব্যয় রয়েছে। তাই দিনশেষে স্বপ্ন পূরণ করার টাকাটা থাকে না। তবে আমার ড্রিমকার কিনতে হলে আরও ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা তো লাগবেই। সেটা হয়ে গেলেই কিনে ফেলব।

 

মিডিয়া সিন্ডিকেটের সম্মুখীন হয়েছেন?

তেমন করে অবশ্য হইনি। আমার সিনিয়ররা যথেষ্ট হেল্প করেছেন। সর্বদা উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁরা কখনো ভিতরে ভালোবাসা গুঁজে দেয় আবার কখনো বারুদ। আর মিডিয়া পলিটিকস? সেটা তো পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গাতেই দেখা যায়। পলিটিকসের বাইরে আসলে কিছুই নয়। পলিটিকস বিউটিফুল। আর পুরো মিডয়াটাই তো সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি চলে কি?

সর্বশেষ খবর