বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

নায়িকা হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করিনি

শোবিজ প্রতিবেদক

নায়িকা হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করিনি

জনপ্রিয় অভিনেত্রী-নির্মাতা আফসানা মিমি। নব্বই দশক থেকেই টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকের প্রিয়মুখ তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকনন্দিত নাটক উপহার দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। গতকাল ছিল এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথন-

 

জন্মদিন সাধারণত কীভাবে পালন করা হয়?

এ দিন ঘিরে বাড়তি কোনো পরিকল্পনা থাকে না। জন্মদিন এলে দিনের কোনো এক সময়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাই। কারণ আমার জন্ম ওখানে হয়েছিল। ওই দিন যে শিশু জন্মে, তাকে উপহার দিয়ে আসি। এখন মনে পড়ে, আমি তখন গ্র্যাজুয়েশন করছি। মা আমাকে একদিন হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন। বললেন, এখানেই তুমি জন্মেছ। আজ এখানে জন্মেছে, এ রকম একটি শিশুকে তুমি উপহার দাও। তারপর একটি শিশুকে উপহার দিলাম। তখন থেকে এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতি জন্মদিনে ওই হাসপাতালের শিশুদের সঙ্গ মিস করি।

 

একসময় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতেন। এ সময়ে এসে অন্য চরিত্রে অভিনয়ে কমফোরটেবল অনুভব করেন?

এর আগে একটা অনুষ্ঠানে ফেরদৌস আমাকে বলল, কেন তুমি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছ। আমি বললাম, আমার তো কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ আমি অভিনেত্রী হতে চেয়েছি সবসময়। বরং ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে আমি প্রৌঢ় বয়সী চরিত্রে কাজ করেছিলাম। তখনো ঝুঁকি বলে মনে হয়নি। আর এখন তো ভয় পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর কখনোই আমি নায়িকা হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করিনি। আমি অভিনেত্রী হিসেবেই কাজ করেছি।

 

কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেন?

আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা খুব গুরুত্ব বহন করে। আমি মনে করি গল্প এবং তার সঙ্গে চরিত্রে গুরুত্ব থাকলে সেখানে যদি নিজেকে প্রকাশের সুযোগ থাকে, তবে ভালো কাজ করা সম্ভব।

 

দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার...

রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়া। রাষ্ট্রীয় একটি পুরস্কার। অনেক দিন ধরে মঞ্চে, টেলিভিশনে অভিনয় করছি। সিনেমাও করছি। আমি মনে করি, মানুষের ভালোবাসা সবচেয়ে বড় পাওয়া। কিন্তু জাতীয় পুরস্কারটাও অনেক গুরুত্বের। এটা আলাদা একটা গুরুত্ব বহন করে। আর গিয়াস উদ্দিন সেলিম আমার প্রিয় বন্ধু, প্রিয় পরিচালক। আমি পরিচালনা নিয়েছিলাম, অভিনয়ে মাঝে বিরতি ছিল। নতুন করে ফেরা হয়েছে সেলিমের ‘পাপ পুণ্য’ দিয়ে। খুব ভালো একটি সিনেমা। যার জন্য পুরস্কারটি পেলাম।

 

আপনার অভিনীত পাতালঘর, নিখোঁজ এবং মহানগর-২ বেশ প্রশংসিত হয়েছে...

সবার কাছ থেকে ভালো ভালো মন্তব্য শুনেছি। প্রশংসা শুনেছি। ভালো লাগে এমন ইতিবাচক মন্তব্য শুনে।

 

সম্প্রতি মঞ্চে ফিরেছেন...

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আমার দল। এ দলের নতুন নাটক দর্পণ, যেখানে অভিনয় করেছি। নাটকটি নির্দেশনা দিচ্ছেন নায়লা আজাদ নূপুর আপা।

 

জীবনে অপূর্ণতা আছে?

কোনো অপূর্ণতা নেই। আমার নিজের দিক থেকে, নিজেকে আরও তৈরি করতে হবে-এ ধরনের অপূর্ণতা থাকতে পারে। কিন্তু অভিনয় জীবন নিয়ে কোনো অপূর্ণতা নেই। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি। কাজেই মানুষের এ ভালোবাসার কাছে অপূর্ণতা থাকার কথা নয়।

সর্বশেষ খবর