রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

ছবির গল্প হতে হবে নতুন প্রজন্মকে ঘিরে

শোবিজ প্রতিবেদক

ছবির গল্প হতে হবে নতুন প্রজন্মকে ঘিরে

গত ঈদে মুক্তি পেয়েছিল অনন্ত অভিনীত ‘কিল হিম’ ছবিটি। এরপর মিডিয়া থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন তিনি। মাঝেমধ্যে নানা মাধ্যমে তাঁর কাজে ফেরার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আর কিছু জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার ওমরাহ হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন তিনি। যাওয়ার আগে বলেছেন, ফিরে এসে নতুন খবর দেবেন। তাঁর বলা কথা এখানে তুলে ধরা হলো-

 

কিল হিম এর পর আপনার নতুন কোনো ছবির খবর পাওয়া যাচ্ছে না, কেন?

আসলে বেশ কিছু প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত আছি। আশা করছি ওমরাহ পালন শেষে ফিরে দর্শকদের নতুন খবর জানাতে পারব।

 

নতুন খবরটা কেমন হতে পারে?

সেই খবরটা আপাতত চমক হিসেবেই থাক। এখনই কিছু বলতে চাইছি না।

 

দীর্ঘদিন পর ঢাকার ছবি দেশ-বিদেশে সফল হচ্ছে, অনুভূতি কেমন?

এটি আসলেই অসাধারণ একটি ভালো লাগার ব্যাপার। আমাদের ছবি যদি দর্শক দেখতে আবার সিনেমা হলে ফেরে তাহলে চলচ্চিত্রশিল্প ফের ঘুরে দাঁড়াবে। প্রযোজক, প্রদর্শক, নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী সবাই প্রাণ ফিরে পাবে। দেশের এ প্রধান গণমাধ্যমটির জন্য এর চেয়ে বড় সফলতা আর কী হতে পারে। এ সফলতার ধারা ধরে রাখতে হবে। তাহলে বন্ধ হওয়া সিনেমা হল খোলাসহ নতুন সিনেমা হল ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে। এতে ছবি প্রদর্শনীর স্থান বাড়লে একজন প্রযোজক পুঁজি ফেরত পাওয়ার আশ্বাসে নির্ভয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে এগিয়ে আসবে। এতে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ছবি পেয়ে সিনেমা হল মালিকরাও সিনেমা হল পরিচালনায় স্বস্তি পাবেন।

 

ভালো গল্প কেমন?

ভালো গল্প মানে মৌলিক গল্প হতে হবে। যে গল্পে দেশ, সমাজ, পরিবার, থ্রিলার, অ্যাকশন, রোমান্স থেকে শুরু করে ফুল প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু অ্যাকশন বা রোমান্স দিয়ে ছবি বানিয়ে লাভ নেই। কারণ একটি ছবিতে যদি সুস্থ বিনোদনের সঙ্গে সমৃদ্ধ বাণী না থাকে তাহলে সেই ছবি দর্শক দেখে কতটুকু আনন্দ পাবে বা কী শিখবে। এখন ছবির গল্প হবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন প্রজন্মকে ঘিরে। মানে একদিকে নতুন প্রজন্মের চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে হবে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্ম যাতে দেশ, পরিবার আর সমাজের জন্য ক্রিয়েটিভ কিছু করার উৎসাহ পায় তা যদি তুলে ধরা হয় তাহলে বর্তমান পজিটিভ বাংলাদেশের আগামীটা আরও সুখ ও সমৃদ্ধির হবে।

 

ভালো ছবি নির্মাণের ধারা কীভাবে ধরে রাখা যায়?

দর্শক দেখতে চায় এমন গল্পের ছবি নির্মাণ করতে হবে। এর জন্য বিগ বাজেট প্রয়োজন নেই। ছবির গল্পে সমসাময়িক চিত্র, উন্নত নির্মাণ, নতুন প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাণী থাকলে সেই ছবি যে অবশ্যই দর্শক দেখতে সিনেমা হলে ফিরে আসে তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার পাওয়া গেছে। এ কনসেপ্ট নিয়েই ভালো ছবি নির্মাণের ধারা বজায় রাখতে হবে।

 

ভালো ছবি নির্মাণে নির্মাতারও দায়বোধ আছে, এ বিষয়ে কী বলবেন?

অবশ্যই শতভাগ দায়ভার নির্মাতার। কারণ তিনি হলেন ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ছবি নির্মাণে ক্রিয়েটিভিটির যেমন বিকল্প নেই তেমনি অভিজ্ঞতাকেও ইগনোর করার সুযোগ নেই। এক্ষত্রে এখন অনেক নতুন নির্মাতা আসছেন তারা তাদের সৃষ্টিশীলতা ও মেধা দিয়ে দর্শক আনুকল্য পাচ্ছেন, এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে সিনিয়র নির্মাতা যারা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তারাও কিন্তু সুনির্মাণের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এভাবেই আসলে ছবির সফলতা, দর্শক আস্থা ফেরানো সর্বোপরি দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে একজন নির্মাতার দায়বোধ শতভাগ থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।

 

বিদেশেও বাংলাদেশের ছবি সাড়া জাগাচ্ছে, বিষয়টি কেমন লাগছে?

বিদেশে বাংলাদেশের ছবির চাহিদা সবসময়ই ছিল, এখনো আছে। বিদেশে যখন দর্শক বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের ছবি দেখে তখন তারা তীব্রভাবে নিজের দেশকে মিস করে।

সর্বশেষ খবর