সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

প্রেম করলে ঢাকঢোল পিটিয়ে করব

 প্রেম করলে ঢাকঢোল পিটিয়ে করব

ক্যারিয়ারের শুরুতেই ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান ও কলকাতার তারকা দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে আলোচনায় আসেন জাহারা মিতু। উপস্থাপনা, নাটক ও সিনেমাসহ বিভিন্ন অঙ্গনে নাম জড়িয়েছে তাঁর।  নানা বিষয় নিয়ে মিতুর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন - শামছুল হক রাসেল

 

ব্যস্ততা এখন কী নিয়ে?

এই তো কয়েকদিন আগেই একটি বিজ্ঞাপনের কাজ করলাম। আর এখন ব্র্যান্ডশুট করেই সময় যাচ্ছে। যেহেতু দেশে এখন নির্বাচনি অবস্থা বিরাজ করছে, তাই কাজ সেভাবে আসলে হচ্ছে না। আশা করছি নির্বাচনের পরপরই নতুন একটি সিনেমার কাজ শুরু করব। সেই সিনেমাটি ঘিরেই ব্যস্ততা চলছে। যে ক্যারেক্টারটা চিত্রায়ণ করব সেটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

অভিনয়ের হাতেখড়িটা কীভাবে?

ছোটবেলা থেকেই ক্লাসিক্যাল ড্যান্সটা পছন্দ করতাম। নাচটা আসলে শুরু করি যখন বয়স ৭। তখন থেকে নাচ, গান, অভিনয় ও আবৃত্তি সবই করতাম। আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি খুলনায়। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বড় হয়েছি। খুলনায় অনেক স্মৃতি। ওখানকার শিল্পকলা, রূপসা নদী পার হয়ে অন্য জায়গায় শো করতে যাওয়া- বলতে গেলে ছোটবেলা থেকে সংস্কৃতির সঙ্গে আমার বেড়ে ওঠা। আমার থিয়েটারেরও হাতেখড়ি হয় খুলনায়। আর নাচ, গান ও আবৃত্তি চট্টগ্রাম থেকে শুরু।

 

বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা কী?

জাহারা মিতু : বিয়ে... একদমই না। আপাতত সুখে আছি, শান্তিতেই আছি। অনেকেই বলে যে, আমি কেন সিঙ্গেল লাইফ প্রমোট করি। কিন্তু আমি আসলে প্রমোট করছি না। একচুয়ালি বিয়ে করে একটা নতুন পরিবারে যাওয়া, দায়িত্ব নেওয়া- এগুলোর জন্য আমি এখনো ফিট না। আমার বাবা নেই, তাই পুরো ফ্যামিলির দায়িত্ব আমার ওপরেই। আই হ্যাভ অ্যা বিগ রেসপন্সিবিলিটি ফর মাই ফ্যামিলি। আর বিয়েতে আমি একটু ভয় পাই।

 

ভয়টা আসলে কেন?

যে মানুষটার সঙ্গে সারা জীবন থাকব, তাকে তো আসলে আমার খুঁজে পেতে হবে... নাকি! প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠে সেই মানুষটাকে আমার দেখতে ইচ্ছা করবে, যে হবে আমার আস্থার জায়গা। যে হবে আমার ভরসার জায়গা।

 

তাহলে লাইফে কেউ নেই, আপনি পিওর সিঙ্গেল?

একদমই তাই। যদি ওরকম কেউ থাকত বিয়ে করে ফেলতাম। আমি প্রেম করলে একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানাতাম। ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে সে একান্তই আমার একটা মানুষ। সেই মানুষটাকে কখনোই লুকিয়ে রাখতে চাইব না। আমি চাই সবাই সেটা দেখুক যে আই অ্যাম ওয়েডিং।

 

আপনাকে নিয়ে প্রায়ই গুঞ্জন শোনা যায়...

একচুয়ালি আমরা যারা মিডিয়াতে কাজ করি তাঁদের এ অঙ্গনে পা দেওয়ার আগেই চিন্তা করতে হয়- আমি এমন একটা লাইফে পা দিচ্ছি যেখানে আমি যতই ভালো থাকি না কেন আমার পেছনে গুঞ্জন থাকবে। মিডিয়াতে অনেকের সঙ্গে ডিল করতে হয়, গণমাধ্যম, কো-আর্টিস্ট, অডিয়েন্স- কিন্তু একজন মানুষের দ্বারা আসলে সবার মন জুগিয়ে চলা সম্ভব নয়। দেখা যায় অনেক সময় মিসইনফরমেশন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মানুষও বিষয়টি বিশ্বাস করে। কারণ মানুষ নেগেটিভ জিনিসটা বেশি বিশ্বাস করে। আমি এ বিষয়গুলোকে পুরোপুরি এভয়েড করি। নিজের ঘরের মানুষ যদি দেখে ঠিক আছি, সৎ আছি, তো আমি কোনো গুঞ্জনকেই কেয়ার করি না।

 

অনেকেই এখন ভিউ নিয়ে ব্যস্ত...

ভিউটা অবশ্যই দরকার। যার যত ভিউ হবে মানুষ তত চিনবে। আমি যখন নাটক করেছি একেবারে হাতেগোনা জাস্ট উপস্থাপনার ফাঁকে যেটুকু সময় পেতাম নাটকে অভিনয় করতাম। বড় পর্দায় আসার পরে তো ভিন্ন কেইস। যখন উপস্থাপনা করতাম তখন ফাটাফাটি নামে ওয়ার্ল্ড কাপের একটা উপস্থাপনা করা হতো। এমন হয়েছে... তখন আমি রাস্তায় বের হলে আমাকে ফাটাফাটি আপু বলে ডাকত সবাই। তো এটা শুধু পসিবল হয়েছিল ভিউর জন্য। তবে এক্ষেত্রে এটাও বলব যে, ভিউর জন্য সস্তা কিছু বিষয় সামনে নিয়ে আসা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, ভাইরাল হওয়ার ট্রেন্ডে গা ভাসানো ঠিক নয়।

সর্বশেষ খবর