বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলাপন

এখন নতুন কিছুর খোঁজে আছি

এখন নতুন কিছুর খোঁজে আছি

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ে প্রমাণ করেছেন তিনি ঠিক কতটা সাবলীল। ঢাকা-কলকাতা মিশন শেষে করেছেন বলিউডের ছবি। ‘কড়ক সিং’ এবং ‘ফেরেশতে’ দিয়ে সম্প্রতি প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

বলিউডে অভিষেকেই বাজিমাত! হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে সেরা পারফরম্যান্সের তালিকার প্রথমেই আপনি! বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া কী?

এটা তো ভালো লাগার বিষয়। আসলে ‘কড়ক সিং’-এ আমার চরিত্রটি পরিচ্ছন্ন এবং বিভিন্ন ধাপের একটি চরিত্র, আমার স্বাচ্ছন্দ্যের বাইরের বলতে পারেন। যদি এটা দর্শকের ভালো লাগে, তাহলে আমার জন্য অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার। কেউ কেউ বলেছেন, আমার পর্দায় উপস্থিতি আরেকটু বেশি হতে পারত; তবে আমার মনে হয় চরিত্রটা বেশ শক্তিশালী। এখন এরকমই নতুন কিছুর খোঁজে আছি।

 

কড়ক সিং-এ যুক্ত হওয়ার পেছনে কারণ কী ছিল?

প্রথমত আমার প্রথম হিন্দি সিনেমা। স্ক্রিপ্ট পড়েছি, আমার চরিত্রটিও দারুণ। এরপর সিনেমাটির পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এবং আমার সহঅভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী রয়েছেন। এটা আমার জন্য আনন্দের। আর আমি সব সময় অনিরুদ্ধ এবং পঙ্কজের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি।

 

ফেরেশতের গল্প ও চরিত্রটি কেমন?

অসম্ভব সুন্দর একটি গল্পের সিনেমা। একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। সবমিলিয়ে ভিন্নতা রয়েছে।

 

দুই বাংলায় নির্মাণের ক্ষেত্রে পার্থক্য...

কাজের ক্ষেত্রে ডিফারেন্স সেরকম কিছুই নেই। দুই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি একরকম। তবে কাজের ক্ষেত্রে কিছু কাঠামোগত পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশের পরিচালকরা খুব ভালো কাজ করছেন এখন। কলকাতায়ও ভালো ভালো সব ছবি হচ্ছে।

 

শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া কী?

একজন শিল্পী এক জীবনে নানারকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। একই মানুষ কত রকম মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন। এক জীবনে অনেক জীবন পান। এটা কী অভিনয়শিল্পী না হলে সম্ভব হতো? কখনই হতো না। শিল্পী জীবনে এটাকে বড় পাওয়া বলে মনে করি।

 

ভালো ছবি না পরিচালক, কোনটাকে বেশি প্রাধান্য দেন?

আমি এমন ছবিতেই কাজ করব, যেটা আমার আগে পছন্দ হবে। যেখানে নিজেকে অনেকভাবে মেলে ধরতে পারব। এমন ছবি যা দর্শকের রুচির সঙ্গে যাবে। আমার কাছে কমার্শিয়াল বা আর্টফিল্মের কোনো আলাদা জায়গা নেই। যে ছবির শিল্পের মান মানুষ মনে রাখবে, এমন ছবিই করতে চাই।

 

সব চরিত্রে সহজেই মানিয়ে যান। রহস্য কী?

কাছাকাছি চরিত্রে সবাই অভিনয় করতে পারে। অভিনয় শিল্পীদের সবচেয়ে বড় পাওয়া, এক জীবনে বহুজীবন বাঁচা যায়। এটা একটা মাধ্যম, যেখানে কখনো বারবনিতার জীবনে অভিনয় করছি, কখনোবা সার্কাস পার্টির এক খিলাড়ির চরিত্রে, কখনো একজন প্রতিবন্ধীর মায়ের ভূমিকায়, কখনো সংগ্রামী নারীর ভূমিকায়- নানারকম শেডসে অভিনয় করা যায় এখানে। সবচেয়ে বড় কথা, আমার ওপর পরিচালকরা ভরসা করছেন।

 

ব্যক্তি জয়া এবং অভিনেত্রী জয়ার সম্পর্ক?

ব্যক্তি জয়া অনেক সহজ, সাধারণ। আপনার কাজ যেমন লেখালেখি করা, আমার কাজ ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা। ব্যক্তিগতভাবে সেলিব্রেটিশিপটাকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি, যতটা সাধারণভাবে বাঁচতে পারে, জীবনযাপন করতে পারে সেই শিল্পী হয়। আমি আজ যে এখানে ক্যামেরার সামনে রংচং মেখে স্পটলাইটে আছি, এটা হলো জয়া আহসানের ইমেজ!

 

জীবনের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য আছে কি?

আমি গন্তব্যে পৌঁছতে চাই না। গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই শেষ। আমি জার্নিতেই থাকতে চাই।

 

নায়িকাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা কমে কিন্তু আপনার বেলায় হচ্ছে তার উল্টো। রহস্যটা কী?

যত বয়স হবে, অভিজ্ঞতা আসবে, কপালে ভাঁজ পড়বে, সেই আঁকিবুঁকি, অভিজ্ঞতা নিয়েই কিন্তু সৌন্দর্যটা। আমার কাছে মনে হয়, এটা আরও বেশি সুন্দর। আমি কতদিন থাকতে পারি! এমন নয় যে, আমি অনেক দিন জোর করে থাকব, দর্শক যদি অপছন্দ করে, বিরক্ত হয়ে যায়, ডেফিনিটলি তখন আর কাজ করব না।

 

সবচেয়ে প্রিয় কাজ?

বাগান করা। এটা যে কতটা শান্তি দেয় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। গাছের পরিচর্যা করা প্রিয় কাজ।

সর্বশেষ খবর