বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

গানের সঙ্গে আছি-এটাই ইমপরট্যান্ট

গানের সঙ্গে আছি-এটাই ইমপরট্যান্ট

চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি। সুমি নামেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। দলের অধিকাংশ গান তারই লেখা ও সুরারোপ করা। তিনি অন্য শিল্পীদের জন্যও গান করেন, গান লেখেন ও সুর করেন। নতুন বছরে তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

চিরকুটের বছরটা শুরু হলো হ্যালো চায়না নিউইয়ার কনসার্ট দিয়ে। চীনা ভাষায় গান পরিবেশন করে চীনাদের মাতালেন...

এইটাই তো আমাদের বড় প্রাপ্তি যে, সবাই যখন এপ্রিসিয়েট করে। বছরের প্রথম দিন একটা ভালো দিয়ে শুরু হলো। তাই আমরা সবাই খুবই খুশি। আমরা তো অনেক দেশের সঙ্গেই কাজ করেছি, কোলাবোরেশন করেছি। কিন্তু চায়নার সঙ্গে এই প্রথমবার হলো। সেটা খুবই এক্সাইটিং ও ইন্টারেস্টিং ব্যাপারও। তবে আমি খুবই মিস করছিলাম আমার ড্রামার পাভেলকে। সে দেশের বাইরে।

 

চিরকুট সাফল্যে কতখানি এগিয়ে?

আসলে সাফল্য বা ব্যর্থতা চিন্তা করে কখনো কাজ করিনি। কোনো হিসাব করে কাজ করি না। কাজ করে যাই। কাজ করতে ভালো লাগে, তাই কাজ করি। আর গানের সঙ্গে আছি-এটাই সব থেকে ইমপরট্যান্ট।

কাজটা ভালো হলো বা খারাপ হলো সেটা অবশ্য আমাদের দিক থেকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্যাটিসফাইড কি না, তা শুধু নিশ্চিত করি।

 

নতুন বছরে নতুন গান আসবে কি?

আমরা নতুন একটা গান অলরেডি রিলিজ দিয়েছি। ‘তুমি এমন কেন করো! আমি কেমন যেন জেনেও রোজ আদর করে গড়ো’ গানটি পাওয়া যাবে চিরকুটের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল, স্পটিফাইসহ সব অডিও-ভিডিও প্ল্যাটফরমে।

 

নরওয়েতে আন্তর্জাতিক সংগীত সম্মেলনে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে গিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এটা চিরকুটের ২২ বছরের পথচলার  নেক্সট লেভেল। কিনোটস ¯িপকার হিসেবে নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডগার আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। যেখানে পৃথিবীর ৪০টি ইউনিভার্সিটির প্রফেসররা এসেছিলেন, যারা মিউজিক নিয়ে কাজ করেন। আমি চেষ্টা করেছি যতটুকু দেশের মিউজিককে, ব্যান্ড মিউজিককে তুলে ধরার। কথা বলেছি মিউজিক বিজনেস, রিসার্চ বিষয়গুলো নিয়ে। কারণ ২১ বছর ধরে তো আমরা একটা ব্যান্ড রান করছি, সেটার আলোকে বলেছি। একজন মহিলা হিসেবে এত বছর ধরে আমি কীভাবে ব্যান্ড করেছি, সেটা নিয়েও কথা বলেছি। আর মোস্ট ইমপরট্যান্টলি জলবায়ুর যে অবস্থা, ক্লাইমেট অ্যান্ড মিউজিক, আমরা নদীর নামে গান বানাচ্ছি, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। ওখানকার মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বিষয়গুলো নিয়ে। এখন সবাই ইমেইল করে লিখছে ওরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। সো এটা আমার একার প্রাপ্তি নয়, এটা ব্যান্ড চিরকুটের তথা দেশের বড় একটা প্রাপ্তি। সবাই মিলেই কাজটি হয়েছে। আমি জাস্ট রিপ্রেজেন্ট করেছি মাত্র। সামনে আরও অনেক কাজ বাকি। এটা জাস্ট শুরু।

 

স্করপিয়ন্সের সঙ্গে একই মঞ্চে...  

একটা কথা বিশ্বাস করতে হবে, যেগুলো হয়েছে আমাদের সঙ্গে সেটা খুবই ম্যাজিক্যালিই হয়েছে। যেমন বছরের শুরুতেই হ্যালো চায়না নিউইয়ার কনসার্টও ম্যাজিক্যালি হয়েছে। আমরা আসলে ওভাবে প্ল্যান করে কিছু করিনি। যদি সামনে আসে তবে আসবে। তবে ডেফিনেটলি ইন্টারন্যাশনালি যেহেতু চিরকুটের একটা এপ্রিসিয়েশন হয়েছে, সেটা আনন্দের। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে। তাই যখন পারফর্ম করেছি স্করপিয়ন্সের সঙ্গে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আমরা কিন্তু ওদের রিকশা পেইন্টের সানগ্লাস গিফট করেছি। যেন তারা এই ছোট

জিনিসটা তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। স্করপিয়ন্সের সবাই এই গিফট পেয়ে খুবই খুশি। আজকে যখন দেখি সারা বিশ্বে রিকশা পেইন্টিংয়ের এত স্বীকৃতি, তখন আমাদেরও অনেক ভালো লাগে। ভালো লাগে এই ভেবে, আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টাও এগুলোকে হাইলাইট করেছে। এ দেশে জন্মাইছি, এ দেশের খাই, এ দেশের পরি, এ দেশের গান গাই-এটাই করতে থাকব। বিদেশ যাব, কাজ করব, নাম কুড়াব, তবে সব জমা দেব বাংলাদেশের ব্যাংকে।

 

সামনে সিনেমার গান আসবে কি?

অন্তর্জাল সিনেমায় ‘রোবট’ গানটি বেরিয়েছিল। ফারুকী ভাইয়ের ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’তেও ‘জোছনার ফুল’ করেছি। আরেকটা ইন্টারেস্টিং সং করেছি, কাজল আরেফিন অমির ‘অসময়’-এ। আরও ২-৩টা গান সামনে আসবে। আসলে চিরকুটের অনেক দিকে কাজ ছড়িয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর