বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

সিম্পল লাইফ লিড করি

সিম্পল লাইফ লিড করি

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। মডেলিং ও নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বর্তমানে ওটিটি ফিল্ম ও সিনেমা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। ‘মুজিব’-এর পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তিশা অভিনীত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’।  তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

ব্যস্ততা কী নিয়ে এখন?

ব্যস্ততা আসলে ইলহামকে নিয়েই। এর চেয়ে বড় ব্যস্ততা আর কী হতে পারে! আর কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাটেবলে মেলেনি। মিলে গেলে অবশ্যই প্রজেক্টে কাজ করব।

 

সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?

এখনো কোনো কিছুই পরিকল্পনা করিনি। ইলহাম যেভাবে যাচ্ছে আমিও সেভাবে চলছি। ইলহামকে শুধু একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, বাকিটা ওর ইচ্ছা, ও কী হতে চায়, না হতে চায়, ও ফিউচার কীভাবে সাজাবে সেটা ওর ডিসিশন।

ফারুকীর সঙ্গে প্রেম, পরিণয়ের গল্প...

আমাদের গল্পটা সবাই জানে। তো আমি আর সরয়ার মনে করি যে স্টোরিটা একটু চেঞ্জ করা দরকার এখন, অন্য কিছু বলা উচিত...হা হা হা। তবে হ্যাঁ এটা খুবই সিম্পল স্টোরি।

 

ফারুকীর কোন দিকটা আপনার পছন্দের?

ও প্রথমে একজন ডিরেক্টর, তারপর প্রযোজক, এরপর আর্টিস্ট। ওকে নিয়ে তো অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায়। তবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পুরো প্যাকেজটাকেই আমি পছন্দ করি। সে যখন যে রূপ নেক না কেন সে আমার পার্টনার। সব রূপেই তাঁকে পছন্দ করি।

 

বাস্তবের তিশা কেমন?

আমি খুবই সিম্পল লাইফ লিড করি। খুবই সোজা রাস্তায় চলি। আর আমি কখনো ভিউ বা ভাইরাল হওয়ার জন্য কোনোরকম উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলি না। কোনো জটিলতায় নিজেকে কখনো জড়াই না। আমি খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভও না, সবাই জানে। আমি কমিউনিকেশনে খুব অ্যাকটিভ না। আমার যখন কাজ আসে তখন গুহা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পেইন করি। কাজের সময়টাতে ক্যাম্পেইন করি, কাজ না থাকলে অফ।

 

তিশার রূপের রহস্য কী?

কোকোনাট অয়েল...হা হা হা। আমি খুবই নারিকেল তেল ইউজ করি। আমি চুলে যেমন নারিকেল তেল দিই, মেকাপ তুলতে বা আমার স্ক্রিনেও নারিকেল তেল দিই। আই লাভ নারিকেল তেল। এটা আমার জন্য কমফোর্টেবল, আমাকে খুবই সুট করে। আমার কাছে মনে হয়, এটিই আমার এমন রূপের রহস্য মানে সর্ব রূপের সমাধান।

 

শাকিব খানের সঙ্গে কমার্শিয়াল ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন। এরপর ট্র্যাক পরিবর্তন করে ভিন্ন ধারার ছবিতে অভিনয় করার কারণ কী ছিল?

শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ছবি করার পর অনেক কমার্শিয়াল ফিল্মের অফারও এসেছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে যে, কমার্শিয়াল ছবিতে অ্যাকটিং করার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি সব সময় চেয়েছি ভালো গল্পে কাজ করতে। সো এরকম যদি ভালো গল্প আসে, যেটাতে ডিমান্ড করছে শাকিব ভাই, যেটাতে ডিমান্ড করছে আমাকে, ডিরেক্টর যদি ভালো হয় আর ডিরেক্টর যদি দুজনকে ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পারে তবে ডেফিনেটলি আমি কাজ করব।

 

১৫ বছর পর ‘অটোবায়োগ্রাফি’ শিরোনামের গানটির মাধ্যমে তিশাকে ফের স্বরূপে পাওয়া গেল। গান গাওয়া কি কনটিনিউ চলবে?

না। আর কখনোই তো কনটিনিউ করিনি। আসলে বাবা মারা যাওয়ার পর গান গাওয়া কখনোই নিয়মিত করা হয়নি। রিসেন্টলি ফারুকীর ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাতে মনে হলো একটু গাই। তাই গেয়েছি। দর্শকরা পছন্দও করেছে। কিন্তু এটা নিয়ে আমার কোনো ফিউচার প্ল্যান নেই যে অ্যালবাম বের করব বা ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো গান বের করব অথবা মিউজিক ভিডিও বের করব। আমি মনে করি, আই অ্যাম নট এ গুড সিঙ্গার।

 

নাটকে অভিনয় ছেড়েই দিলেন?

টিভি নাটক করি না বহু বছর। ওটিটির কিছু কাজ নিয়েই ব্যস্ত। সামনে টিভি নাটকে দেখতে পাবেন কি না সেটা জানি না।  তবে ভবিষ্যতের কথা তো বলা যায় না। দেখা যাক।

সর্বশেষ খবর