শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

গায়ক হিসেবে আলাদা দর্শক রয়েছে

শোবিজ প্রতিবেদক

গায়ক হিসেবে আলাদা দর্শক রয়েছে

জনপ্রিয় তারকা সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। তিনি দেশের অন্যতম একজন সংগীত পরিচালকও।  দুই দশক ধরে যার গানের দোলাচলে সংগীতপ্রেমী হয়েছে দিশাহারা। সম্প্রতি ইমরানের সুর-সংগীতে ‘বোকামন’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নতুন বছরে তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে বলা কথা তুলে ধরা হয়েছে-

 

নতুন বছরের শুভেচ্ছা! সংগীতের দিক থেকে গত বছরটি কেমন ছিল?

আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা, হ্যাপি নিউইয়ার। ভালোই ছিল। বিশেষ করে সিনেমার গানগুলোই মাতিয়ে রেখেছে শ্রোতাদের। ‘প্রিয়তমা’, ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘প্রহেলিকা’সহ বেশকিছু ওয়েব ফিল্মের গান ও একক-দ্বৈত গান ভালো হয়েছে। আমি মনে করি সিনেমার গানে নতুন জাগরণ শুরু হয়েছে। কোক স্টুডিওর ভালো কিছু গান হয়েছে। আশা করছি সামনেও ভালো কিছু হবে।

 

ইমরানের সুরে হাবিব ওয়াহিদ...

নতুন বছরের শুরুতে রঙ্গন মিউজিকের ব্যানারে শ্রোতাদের জন্য এটি বিশেষ উপহার। প্রথমবারের মতো ইমরানের সুর ও সংগীতে গান করেছি ‘বোকামন’। আমি প্রথমদিকে যে ধরনের গান করতাম, এটি তেমনই। স্যাড রোমান্টিক। শ্রোতারা আমার কণ্ঠে এ ধরনের গানই শুনতে চান। গানটি লিখেছেন ভারতের রজত ঘোষ। গানটির সুন্দর একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। আশা করছি, দর্শক পছন্দ করবেন।

 

সাধারণত অন্যের সুরে গান কমই করেছেন...

ইমরানের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ওর কম্পোজিশনে আমি গান করি। মুজার তৈরি ‘বেণি খুলে’ গানটি দিয়ে অন্যদের সঙ্গে আমার কণ্ঠ শেয়ারের কাজটি শুরু করি। এর আগে যা গেয়েছি সবই নিজের কম্পোজিশনে। মুজার গানটি করার পর আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হলো। মনে হলো বিষয়টি মজার, বিশেষ করে যখন অন্যরা আমার কণ্ঠ ভেবে কম্পোজিশন সাজায়। ইমরান যখন আমাকে প্রস্তাব দেয়, তখন আমিও প্রস্তুত ছিলাম। মানে ইচ্ছা ছিল অন্যের কম্পোজিশনে গাওয়ার।

 

গায়ক নাকি মিউজিক কম্পোজার হিসেবে কাজ করতে বেশি পছন্দের?

গায়ক হিসেবে আমার একটা আলাদা দর্শক তৈরি হলেও মিউজিক কম্পোজার হিসেবেই বেশি আনন্দ পাই। তবে ভক্তদের দাবি থাকে তারা আমার কণ্ঠে গান শুনবেন। একজন সংগীত-পরিচালক হিসেবে প্রচুর জিঙ্গেলে কাজ করেছি। সেগুলোর বেশির ভাগই অন্য শিল্পীদের গাওয়া।

 

অন্য শিল্পীর সঙ্গে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন...

ন্যান্সির সঙ্গে আমি অনেক দ্বৈত গান করেছি, যেগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। তবে সেসব বেশির ভাগই প্রথমদিককার অ্যালবাম ও সিনেমার গান। ন্যান্সির সঙ্গে একটা কেমিস্ট্রি আছে আমার। যে সুরগুলো আমার কণ্ঠে মানায় না, যার কণ্ঠে মানাবে বলে মনে করি তাকে দিয়ে গানটি করাই। এখন তো নতুন শিল্পীদের সঙ্গেও অনেক গান করছি।

 

ফোক গানগুলো একটু আলাদাভাবে রিমেক করেছেন। এ চিন্তা কীভাবে মাথায় এসেছিল?

যখন লন্ডন যাই তখন ইউটিউব, ফেসবুক, জিমেইল কিছুই ছিল না। ইন্টারনেট বলতে আমরা শুধু মেইলটাকেই বুঝতাম। লন্ডনে দেখা বাঙালিদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের। তাদের মুখেই স্থানীয় ফোক গানগুলো শুনি। অন্তর থেকে এমনভাবে গানগুলো করে এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, যা সত্যিই খুব ভালো লেগে যায়। এসব দেখেই বিষয়টি মাথায় আসে।

 

গান এখন ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে শুনছে, দেখছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?

আন্তর্জাতিকভাবে ইউটিউবের পাশাপাশি শুধু গান শোনার জন্য কিন্তু অনেক প্ল্যাটফরম রয়েছে আমাদের দেশে বিস্তরভাবে এগুলো এখনো চালু হয়নি। ফোন কোম্পানিগুলোর যে অ্যাপ ডেভেলপাররা রয়েছেন, তারা এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। এগুলো যখন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে তখন গানের জন্য একটি ভালো দিক হবে। গান হলো মূলত শোনার বিষয়।

সর্বশেষ খবর