রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

অন্যরকম আনন্দে দিন কাটাব

অন্যরকম আনন্দে দিন কাটাব

সুরের রাজকুমারী খ্যাত সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের জন্মদিন আজ।  তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর ও গীতিকার খোশনূর আলমগীরের কন্যা। দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এ তারকা বছরজুড়েই একক গান ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, নতুন বছরেও আছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

জি, ভালো আছি।

 

ভোটের দিন আপনার জন্মদিন...

হুমম। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানে ভোটের দিন (৭ জানুয়ারি) আমার জন্মদিন। ফলে আমার সব শো ও পারিবারিক আয়োজন বাতিল করেছি। এদিন নির্বাচনী আনন্দে দিন কাটাব বলে মনস্থির করেছি।

 

ভোট দিতে যাবেন?

প্রতিবারই আমি ভোট দিই। এবারও দেব। গাড়ি বের করব না। রিকশায় চেপে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব। বিষয়টি আমার কাছে ঈদের আনন্দের মতো। ভোট দেব। সেলফি তুলব। গল্প করব। মজা হবে আশা করি। প্রতি ভোটের দিন আমি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে একটা সেলফি তুলি এবং ফেসবুকে সঙ্গে সঙ্গে আপলোড করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আর কেন্দ্রে গেলে সবাই আমাকে দেখে খুশি হয়, ছবি তোলে, কেয়ার করে- এগুলো তো ভালো লাগে আসলে। ফলে ভোটের অভিজ্ঞতা বরাবরই আমার ভালো। তবে এবারও উৎসবমুখর, ভয়ের পরিবেশ চাই না। ভোটাররা যেন আমার মতো আনন্দ করতে আসে, সেই পরিবেশ চাই।

 

‘পাখির গান’ নামে নতুন একটি গান করেছেন...

দীর্ঘদিন পর নতুন একটি মৌলিক গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে এসেছি। আমার সহশিল্পী বেলাল খান। আর এবারই প্রথম পাখি নিয়ে গান গাইলাম। পাখির গানে যেমন আছে মেলোডি তেমনি রয়েছে ফার্স্ট বিটের অনুপম ছোঁয়া। আশা করছি গানটি শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। এটি ছাড়াও নতুন গান কয়েকটি করা আছে। সময় সুযোগ মতো এগুলো প্রকাশ করব। আমার মধ্যে কখনো তাড়াহুড়া ছিল না। এখনো নেই। গান তাড়াহুড়া করে হয়ও না। তাই যখন সময় হবে তখনই গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেব।

 

আপনি দেশ-বিদেশে প্রচুর স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত...

ব্যস্ত থাকা আর কি! নিজেকে ব্যস্ত রাখার ব্যাপার থাকে। ব্যস্ততা আছে বলেই এখনো বেঁচে আছি। যদিও অনেক কাজ করা হয়ে উঠে না। তবে হ্যাঁ, দেশ ও দেশের বাইরে স্টেজ শো করা হচ্ছে পুরোদমে। বাইরে টানা শো করেছি, এখনো করছি। 

 

সিনেমায় প্লেব্যাকে ইদানীং কম দেখা যাচ্ছে কেন?

নতুন সিনেমা হচ্ছে, অনেক গান হচ্ছে। তবে আমি লিয়াজোঁ ম্যানটেইন করে কখনো গান গাইতে চাই না। আমার সঙ্গে সেটা যায় না। আমি আলাউদ্দিন আলী, আলম খান, সত্য সাহা, সুবল দা, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল সহ অনেক লিজেন্ডের সুরে গান করেছি। তারা ফোন করে আমাকে গান গাইতে আসতে বলতেন। আমার গান গাওয়ার জায়গার অভাব তো  নেই! নতুনরা ভালো গায়। কিন্তু নতুন মিউজিক ডিরেক্টররা বোঝেন না কাকে দিয়ে করালে গানটি ভালো হতে পারত।

 

গানের বর্তমান অবস্থা কেমন?

আমি আশাবাদী মানুষ। ইতিবাচক থাকতে ও রাখতে পছন্দ করি। পরিবর্তন এসেছে গানের প্ল্যাটফরমে। এ চেঞ্জটাকে গ্রহণ করতে হবে। হা-হুতাশ করা যাবে না। সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে। আসলে মানুষ অনেক ব্যস্ত। তবে সব ঠিক এবং হাতে সময় থাকলে গান শুনতে চায় মানুষ। করোনার কারণে আমরা খানিক পিছিয়েছি। তবে সেটা না ভেবে এখন কেবল সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

 

‘মখমল বাই আঁখি আলমগীর’ কেমন চলছে?

রেসপন্স অনেক ভালো। আমার ডিজাইন করা। সবাই ব্র্যান্ডের নামটি চেনে এখন। অল্প সময়ে এখানকার পোশাক মানুষ এতটা পছন্দ করবে ভাবিনি। এর ফলে উৎসাহটা আরও বেড়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর