রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

শেষ ভালো যার সব ভালো তার

শেষ ভালো যার সব ভালো তার

ঢাকাই চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। ২০০৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর নানা বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন।  ভালো গল্প ও কনসেপ্ট পছন্দ হলে ছোট পর্দা এবং বিজ্ঞাপনেও কাজ করছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল


কেমন গেল ২০২৩?
একটা কথা আছে যে, ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’। সো, আমার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। ২০২৩ এর শুরুতেই তো আমার তিনটি ছবি রিলিজ পেয়েছিল। বছরের শেষদিকে এসে একটি ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। প্রথমবারের মতো ওটিটি ফিল্মে নাম লিখিয়েছি। খুব ভালো একটি কাজ করেছি। এ ছাড়াও বেশকিছু শো করেছি। টিভি শো, করপোরেট শো, স্টেজ শো তো করাই হয়। ২০২৪টাও শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অনেক বড় বাজেটের একটি ছবি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ দিয়ে। সো শুরুটাও তো ভালোই হলো।

বাণিজ্যিক ছবির নায়ক হয়েও ওটিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
এ কাজটি নিয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড। বিকজ অনেক পরিশ্রম ও ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেছি। কাজটির আগেও আমার অনেক বড় বড় চুল ছিল। এ কাজটির কারণে আমার চুল একেবারে ছোট করে ছেঁটে ফেলতে হয়েছিল। আমার ক্যারিয়ারে পুরো জার্নির অন অব দ্য বেস্ট কাজ হবে এটি।

‘অপারেশন জ্যাকপট’-এ আপনার চরিত্রটি কেমন?
ছবির গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল। এটা সত্য ঘটনা নিয়ে। ওই সময়ে নৌ কমান্ডাররা কী করেছেন সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এখানে মংলা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর বন্দরের আটজন নৌ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধের সময় কীভাবে পাকিস্তানি ট্যাংকগুলোকে ধ্বংস করেছেন সেটা দেখানো হয়েছে। এ আটজন কমান্ডারের একজন আমি। চাঁদপুর জোনের কমান্ডার আমি।
মিথিলার সঙ্গে অনুদানের ছবিতে কাজ করেছেন...
মিথিলার সঙ্গে এর আগেও আমি বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করেছি।  তার সঙ্গে আমার আন্ডারস্ট্যাান্ডিং আগে থেকেই ভালো। এরপর ওর সঙ্গে ফিল্মটা করলাম প্রথমবারের মতো। ওর সঙ্গে তো সবসময় কাজ করতে ভালো লাগে। সে ওয়ান্ডারফুল অ্যাকট্রেস।

ক্যারিয়ার নিয়ে আগামী ভাবনা কী?
দেখুন, কোনো না কোনোদিন তো আমার ক্যারিয়ার থামবে। তবে আমি যখন আমার ক্যারিয়ার গ্রাফটার দিকে তাকাব তখন যেন কিছু ছবির কথা সবাইকে বলতে পারি। কিছু মাইলফলক রেখে যেতে চাই ক্যারিয়ারে। যেমন আমার প্রথম ছবিটাই ছিল দারুচিনি দ্বীপ। হুমায়ূন আহমেদের লেখা বিখ্যাত একটি উপন্যাস। এরপর গহীনের শব্দ, জোনাকির আলো, পদ্মপাতার জলের মতো ছবি করেছি। পাসওয়ার্ডও করেছি।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন?
অবস্থা বেশি ভালো না আবার খারাপও না। আসলে ইন্ডাস্ট্রির আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই। এগুলো নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি সবসময় চেষ্টা করি ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ভালো কাজ করতে।  

একটি সিনেমা ভালো হওয়ার পেছনে কার অবদান বেশি?
আমার মনে হয় পরিচালকের যত্ন করে নির্মাণ করার পাশাপাশি আর্টিস্টেরও দায়িত্ব রয়েছে অনেক। ক্যারেক্টারে কতটা মনোনিবেশ করতে পারবেন আর্টিস্ট সেটি খুবই দরকার। দেখুন সাইদুল ইসলাম রানার ‘বীরত্ব’ ছবি করার সময় আমি সব ধ্যান ও চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে শুধু আমার ওই ক্যারেক্টারেই মনোসংযোগ করেছিলাম।  ক্যারেক্টারটা যেহেতু ভালো পেয়েছি, একটা ভালো কাজ করতে আর্টিস্টেরও ভাগ্য লাগে। তো সব মিলিয়ে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকা উচিত আর্টিস্ট ও ডিরেক্টরের।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর