বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

ফেসবুকের প্রেমও টেকে

ফেসবুকের প্রেমও টেকে

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম চিত্রনায়ক নিরব। র‌্যাম্প মডেল থেকে টিভি নাটক, এরপর চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু। ১৪-১৫ বছরের সিনেমা ক্যারিয়ারে বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নতুন বছরেও নতুন ছবির শুটিং করছেন। শোবিজের বিভিন্ন বিষয় ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? নতুন বছরে পরিকল্পনা কী?

অনেক ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ! নতুন বছরে নিজেকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৪ ভালো কিছু দিয়ে শুরু হয়েছে। ১ তারিখ থেকে একটি ছবির শুটিং করেছি। নতুন একটি ছবি আসছে। আমি জাস্ট ৪ দিন শুটিং করেছি। ওই শুটিংটা করেই অপারেশন জ্যাকপটে কাজ করেছি। যেই প্রজেক্টটা করেছি সেটা অনেকদিনের প্ল্যানিং ছিল। অনেক গুছিয়ে কাজ করেছি। শুরুটা ভালো হয়েছে।

 

অপারেশন জ্যাকপট সিনেমাতে দুই বন্ধু কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

খুবই ভালো। ইমনের সঙ্গে কাজ করে খুবই ভালো লাগছে। আমি আবেদুর রহমানের চরিত্রটি করছি যিনি নারায়ণগঞ্জের নৌবন্দরের দায়িত্বে রয়েছেন। আরেকটা বিষয়, এটিতে কিন্তু মডেল পল্লব ভাইও রয়েছেন। নোবেল ভাই ও ফয়সাল ভাইয়ের মডেলিং দেখে ইন্সপায়ার হয়েছি।

 

ইমনের সঙ্গে ভক্তরা নিরবকে মিলিয়ে ফেলে...

আসলে ইমন আর আমাকে এত মানুষ চেনার একটাই রিজন, সেটা বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন। প্রথমে আমি আর তিন্নি বিজ্ঞাপন করি। এরপর ইমন-মোনালিসা করার পর অনেক ব্যাপকতা ছিল। যার কারণে ইমন আর আমাকে একসঙ্গে মিলিয়ে ফেলে ভক্তরা। তখন দুজনের একরকম দাড়ি সেভ, চুলের কাটিংও একরকম ছিল। আর আমরা কাজগুলোও একসঙ্গে করতাম। আমরা ওই সময় নাটক একসঙ্গে করেছিলাম। শাহীন কবির টুটুলের একটি ছবিও করেছিলাম ‘এইতো ভালোবাসা’। তারপর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের প্রোগ্রাম, হোস্টিং করেছি, সেগুলোও একসঙ্গে করেছিলাম। এ জন্য মানুষ দুজনকে মিলিয়ে ফেলে। তবে যখন আলাদা আলাদা করে দুজনকে দেখে তখন নিজেরাই বোকা হয়ে যায়। বলে, ‘হায় হায় নিরবকে কেন ইমন বা ইমনকে কেন নিরব বললাম!’।

 

শয়তান ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এরপর কেন নিয়মিত হননি?

যদি কোনো স্কোপ তৈরি হয় সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই কাজ করব। তবে এটি করার পর আরও একটি ছবি করার অফার ছিল। তবে সেটার জন্য যে অডিশনটা দেওয়া, স্ক্রিপ্ট ভিডিও শুট করে পাঠানোর জন্য সময় করা, সেটা তখন হয়নি। এটা ওয়েব সিরিজ ছিল। তবে ওই সময় বিজি থাকার কারণে কাজটি হয়নি। এখন অবশ্য মনে হয় অডিশনটা দিলেও দিতে পারতাম।

 

নিরব-ঋদ্ধির সেই কঠিন ভালোবাসার কাহিনি জানতে চাই-

২৬ ডিসেম্বর ২০১৪তে রিদ্ধিকে বিয়ে করি। যদিও ভালোবাসার শুরুটা বিয়ের ১০ মাস আগে থেকে। প্রথম দেখা হয়েছিল একটা রেস্টুরেন্টে। ফেসবুকেই আমাদের পরিচয়। এরপর অনেকবার কথা হয়। অনেকেই বলে ফেসবুকের প্রেম টিকে না, এটা অন্য কথা। আপনি আবার বলতেও পারবেন না কোথাকার প্রেম টিকে! ফেসবুকের প্রেমও টিকে। আসলে ভালোবাসাটা কোথায় টিকবে, কোথায় টিকবে না সেটা বলা যায় না।

 

নায়করা প্রেম, বিয়ে, স্ত্রী, সন্তানের বিষয় গোপন করে, এ ব্যাপারে কী বলেন?

আমি আমার কথাটা শুধু বলতে পারি। আমি কিন্তু করিনি। আমার সম্পর্কে সবাই জানে। তবে ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত রাখাটাই উচিত। মিডিয়ার কাজটা তো ভক্তরা জানবেই। সেটা তার প্রফেশন।

 

সালমান শাহের অভিনয়, স্টাইল, ফ্যাশন সেন্স থেকে নায়কদের শেখার আছে?

আছে তো অবশ্যই। তার ন্যাচারাল অ্যাক্টিং, ফ্যাশন, স্টাইল কস্টিউম-সবই ছিল ইউনিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর