শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এক ছবিতেই ক্যারিয়ার শেষ

এক ছবিতেই ক্যারিয়ার শেষ

রুপালি পর্দায় এসেছিলেন তারা। প্রথম ছবিতেই অভিনয় দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন। এরপর কেউ প্রেম-বিয়ে করে চলচ্চিত্র ছেড়েছেন, কেউবা  অভিনয়ের প্রতি মনোযোগী না হওয়ায় দর্শক আনুকূল্য হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন চলচ্চিত্র জগৎ থেকে।  এমনই কয়েকজন নায়িকার কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

জেবা

১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হৃদয়ের আয়না’ সিনেমায় নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন জেবা নামের মেয়েটি। ছ্িবতে তার চরিত্রের নাম ছিল আয়না। মিষ্টি প্রেমের ওই সিনেমায় অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন জেবা। ওই এক সিনেমা করেই হারিয়ে যান এ সম্ভাবনাময়ী নায়িকা। জানা গেছে, এক প্রবাসীকে বিয়ে করে প্রবাসজীবন বেছে নেন। তবে অনেক বছর পর দেশে ফিরে একটি ছবিতে কাজ করলেও আগের মতো আর সাড়া জাগাতে পারেননি জেবা।

রাভিনা

নায়ক রিয়াজের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ধরা হয় সিনেমাটিকে। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ব্লকবাস্টার ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন ভারত থেকে আনা নবাগত রাভিনা। পরবর্তীতে রিয়াজের সঙ্গে আরও একটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সেটি ফ্লপ হয়। এরপর আর দেখা মেলেনি রাভিনার। এ নায়িকাকে এরপর আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি।

সিমলা

অভিষেক সিনেমাতেই ‘ফুলি’ এবং ‘সিমলা’ নামের দুটি চরিত্রে অভিনয় করে জিতে নিয়েছিলেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকনের ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যাডম ফুলি’তে সিমলার অভিনয় দেখে অনেক চলচ্চিত্র বোদ্ধাই তাকে নিয়ে ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর আলো ছড়াতে পারেননি এ নায়িকা। বরং ছড়িয়েছেন সমালোচনা।

অন্তরা

নব্বই দশকের শুরুতে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন অন্তরা। ঐতিহাসিক ঘটনার ওপর নির্মিত ‘সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় প্রবীর মিত্রের মেয়ের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন তিনি। বড় হয়ে ‘পাগল মন’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেও ব্যাপক আলোচনায় আসেন অন্তরা। এরপর তিনি আরও বেশকটি সিনেমায় অভিনয় করেন।

২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়। আজও অন্তরা রয়ে গেছেন বহু দর্শকের অন্তরে।

তামান্না

এ নায়িকার প্রথম চলচ্চিত্র সাইফুল আজম কাশেম পরিচালিত ‘ত্যাজ্যপুত্র’। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকনজর কেড়েছিল তার অভিনয়। এরপর শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ভন্ড’তে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তার অভিনীত শেষ সিনেমা ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পাগল তোর জন্য রে’।

ভন্ড ছবির পরে হঠাৎই দেশ ও অভিনয় ছেড়ে সুইডেনে পাড়ি জমান এ নায়িকা, বেছে নেন দন্ত চিকিৎসকের পেশা। স্বামী নিয়ে স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।

রত্না

২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ‘কেন ভালোবাসলাম’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। নায়ক ছিলেন ফেরদৌস। একই বছর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ সিনেমায় কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে নজরে আসেন এ নায়িকা। প্রায় ৫০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

২০১৫ সালে হঠাৎই ধস নামে রত্নার ক্যারিয়ারে। সেই ধসেই হারিয়ে যান সম্ভাবনাময় এ নায়িকা। এখন আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি।

একা

কাজী হায়াতের ‘তেজী’ এবং ‘ধর’ সহ বেশকটি সিনেমায় প্রয়াত নায়ক মান্নার বিপরীতে তাকে দেখা গিয়েছিল। সে সময় এ জুটিকে বেশ গ্রহণ করেছিল দর্শক। কিন্তু মান্না মারা যাওয়ার পর একাধিক নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করলেও নিজেকে আর মেলে ধরতে পারেননি একা।

শিল্পী

নব্বই দশকের দর্শকনন্দিত নায়িকা শিল্পী। ১৯৯৫ সালের দিকে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। মোহাম্মদ হোসেন প্রযোজিত ও রানা নাসের পরিচালিত ‘প্রিয়জন’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত অমর নায়ক সালমান শাহর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শকনজরও কেড়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকটি ছবিতে কাজ করলেও  লাইম লাইটে আসতে পারেননি। তারপর এক প্রবাসীকে বিয়ে করে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন তিনি।

লিমা

জীবন রহমান পরিচালিত ‘প্রেম যুদ্ধ’ ছবিতে ১৯৯৪ সালের শেষদিকে সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিমা। পরের বছর দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘কন্যাদান’ ছবিতেও দেখা যায় এ জুটিকে। কিন্তু ১৯৯৫ সালের পর থেকেই অনেকটা হারিয়ে যান এ নায়িকা।

সর্বশেষ খবর