বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

সিন্ডিকেট নিয়ে মাথাব্যথা নাই

সিন্ডিকেট নিয়ে মাথাব্যথা নাই

কোজআপ ওয়ান তারকা রন্টি দাশ। নিয়মিত গান করে যাচ্ছেন। আধুনিক গানের শিল্পী হলেও লোকসংগীতে বিশেষ পরিচিতি আছে  এ অসম্ভব মেধাবী গায়িকার। ভালো গানের ক্ষেত্রে একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন। এ সংগীতশিল্পীর সঙ্গে বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন পান্থ আফজাল

 

কী নিয়ে এখনকার ব্যস্ততা?

স্টেজ শো নিয়েই মূলত ব্যস্ততা। শোয়ের জন্য ভীষণ চাপ। কিছুদিন আগে শিল্পকলায় গান করলাম, ১১ তারিখেও রয়েছে। এরপর আবার ১৫-১৬ তারিখেও শো আছে। এর মধ্যে একটি রেকর্ডিংও আছে। তবে এখন নিজেকে স্টেজ শোর দিকেই বেশি ফোকাস করছি।

 

কোন নতুন গানের রেকর্ডিং?

না, এটা একটা জিঙ্গেলের। সমাজ সচেতনতামূলক। জয় শাহরিয়ার ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে আজব রেকর্ডস থেকে হচ্ছে কাজটি।

 

এ বছর নতুন কোন গান আসবে?

হুম... ১৪ ফেব্রুয়ারি একটা গান আসবে। আমি আর আমার হাজব্যান্ড সাইদ রহমান (গিটারিস্ট-ভোকালিস্ট) গেয়েছি। তারিক তুহিনের কথায় গানটির নাম ‘উড়ালিয়া’। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর দাশ। যেটা আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘রন্টি দাশ’-এ আগের দিন সন্ধ্যায় অবমুক্ত হবে।

 

গানও তো লিখে থাকেন। নিজের লেখা গান শ্রোতারা পাবেন এবার?

এ রোজার ঈদেই পাবেন। ‘তোমার আকাশ তোমার মতো’ নামের গানটিও আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ পাবে। এর সুর করাও আমার। এখন থেকে নিজের চ্যানেলের জন্যই গান করব।

 

রন্টি দাশ কেমন? নিজেকে নিয়ে একটু বিশ্লেষণ শেয়ার করুন।

সবাই জানেন রন্টি দাশ কী রকম! আমার নিজস্ব কিছু আইডোলজি আছে। এর থেকে বের হয়ে কোনো আপস করতে পারি না। এজন্য অনুষ্ঠান-শো কম করি। আড্ডা দিয়ে গান-শো ম্যানেজ করতে হবে এ কাজটা আমি শিখিনি। আমি নিজের ইচ্ছায় চলি। আমি কনফিডেন্ট একজন স্টেজ পারফরমার। মৌলিক গান করতেই বেশি পছন্দ করি। মাঝে মাঝে প্রিয় শিল্পীদের গানও কভার করি। তবে কখনোই শ্রোতার জন্য গান করি না। তাদের তালি পাওয়ার জন্যও না। নিজের কাছে যেটি ভালো লাগে সেটিই করি। আমার মনে আছে, ১১-১২ বছর বয়সে চিটাগং ক্লাবে আমি আর আমার বোন যখন গান গাইতে গিয়েছিলাম সে সময় অনুষ্ঠানে গান না গেয়ে চলে আসি। কারণ সে পরিবেশটা ভালো লাগেনি। এটি ছোটবেলা থেকেই শিখে এসেছি। গান গাওয়ার পিপাসা আমার অনেক তবে নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে। গানবাজনা চিন্তা করে অন্য কোনো প্রফেশনে যাইনি। এখনো কখনোই কাউকে দোষারোপ করি না। নিজেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছি। এটা নিজের শান্তির জন্য। আমি সাধারণভাবে থাকি এবং কিছুটা অলসও বটে।

 

গানের বাজারে সিন্ডিকেট...

সিন্ডিকেট নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে হ্যাঁ, সিন্ডিকেট তো আছেই। কিন্তু আগের থেকে এখন শিল্পীদের কাজ বেড়েছে। যারা কাজ করছেন অবশ্যই তারা কোয়ালিটিসম্পন্ন।

 

অনেক প্ল্যাটফরম...

যারা প্ল্যাটফরমে গান করছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শো বাড়ছে। যদিও অতিমাত্রায় কভার- প্রবণতা! ফলে মৌলিক গান হারিয়ে যাচ্ছে। তাই নতুন গান লাগবেই, সেটা অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখতে।

সর্বশেষ খবর