শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আহমেদ রুবেলের শেষ কথা

শোবিজ প্রতিবেদক

আহমেদ রুবেলের শেষ কথা

যেভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হচ্ছিল, সেটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। চরিত্র নিয়েও ছিল আমার এক্সিপেরিমেন্ট। আমি সব ধরনের চরিত্র করেছি। প্রোটাগনিস্ট, অ্যান্টাগনিস্ট সবকিছুই করেছি

 

আজই সারা দেশের হলে মুক্তি পাচ্ছে আহমেদ রুবেল অভিনীত নুরুল আলম আতিকের নতুন সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’; কিন্তু দুই দিন আগে সিনেমার প্রিমিয়ার শোর দিনই চলে গেলেন শক্তিমান অভিনেতা আহমেদ রুবেল। দেশের ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার জনপ্রিয় এই আন্ডাররেটেড অভিনেতা সবার কাছে সুপরিচিত ঘোড়া মজিদ কিংবা বৃক্ষমানব নামে। অভিনয় আর ব্যক্তিত্বের পারফেকশনে জুড়ি ছিল না তাঁর। ছোট বা বড় পর্দায়- সবখানেই ছিলেন তিনি সফল। মৃত্যুর আগেও এই অভিনেতার সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকের বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছিল। সেই কথায় উঠে এসেছিল অনেক অজানা কথা আর অভিমান। এক সময় অভিনয় থেকে দূরেও ছিলেন। কী ছিল সেই কারণ? ‘কোনো কারণ নেই। ভালো লাগেনি কিছুই। তবে নিজের ব্যক্তিগত কিছু কারণেই অভিনয় করিনি। অন্যদিকে বাবা-মা দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন। এ ছাড়াও যেভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হচ্ছিল, সেটা আমার কাছে ভালো লাগেনি’- প্রতি-উত্তরে আহমেদ রুবেল। চরিত্র নিয়েও ছিল তাঁর দারুণ এক্সিপেরিমেন্ট। তিনি সে বিষয়েও খোলাখুলি কথা বলেছিলেন। ‘আমি সব ধরনের চরিত্র করেছি। প্রোটাগনিস্ট, অ্যান্টাগনিস্ট সব কিছুই করেছি। চরিত্রকে চরিত্র হিসেবে দেখি আসলে। কিন্তু তার আগে চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড, হিস্ট্রিগুলো দেখি।’ সত্যজিৎকে নিয়ে একটি কাজও করেছিলেন। এটি নিয়ে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘সত্যজিৎ রায় নিঃসন্দেহে মাস্টার ফিল্ম মেকার। অনেক নির্মাতাই তাঁর মতো করে বা তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আসেন, স্বপ্ন দেখেন। এ প্রসেস জেনারেশনের পর জেনারেশন চলছেই। সব জেনারেশনের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের সম্মিলন। তেমনই একজন নির্মাতার চরিত্রে অভিনয় করেছি।’ বাংলাদেশের প্রথম ফেলুদা চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলাম। করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয়।

এই চরিত্রে অভিনয় করা যে খুবই চ্যালেঞ্জি ছিল তা তাঁর কথায় উঠে আসে। ‘বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাঁর ডাইমেনশন, বহুমুখিতা, ইমোশন, কর্ম, কণ্ঠ ধারণ করা খুবই ডিফিকাল্ট। বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা, যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন, অবশ্যই অনেক ইমোশনাল একটি চরিত্র। আমার জন্য গৌরবের ও আনন্দের এ চরিত্রটি করা।

অনেক বড় একটা ‘ইমোশনাল অ্যাচিভমেন্ট’। হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমায় প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হুমায়ূন স্যারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা এক কথায় শেয়ার করা যাবে না। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক গভীর। তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করি।

তিনিও আমাকে ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন। তিনি যে এতটা স্নেহ করতেন, অনেক সময় আমি নিজেও বুঝতাম।

সর্বশেষ খবর