শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

স্টেজ আমার আনন্দের জায়গা

স্টেজ আমার আনন্দের জায়গা

শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জানিতা আহমেদ ঝিলিক। দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে সংগীতাঙ্গনে পথচলা এই কণ্ঠতারকার।  নতুন বছরে স্টেজ শো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিয়মিত করছেন অডিও এবং সিনেমার গান। ঝিলিকের সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

এ বছরে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?

ভীষণ ব্যস্ত। ডিসেম্বরের পর থেকে অনেক স্টেজ শো করেছি। ব্যাক টু ব্যাক ঢাকা ও ঢাকার বাইরে  বেশকিছু শো করেছি। এর আগে বিজিবি আনন্দ উচ্ছ্বাস কনসার্ট, আশুলিয়ায় লাইভ কনসার্ট, গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে কনসার্ট, শিল্পকলা একাডেমির পিঠা উৎসবে গান করেছি। গতকালও নরসিংদীতে গান করেছি। আজ মিরপুরে, পরের দিন কেআইবি, এরপর সাভারসহ বেশকিছু স্থানে শো রয়েছে। এ মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ব্যস্ত রয়েছি। আসলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক দিন শো হয়নি। অপেক্ষায় ছিলাম কনসার্টের। নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন শো বাড়ছে। আর স্টেজ শো তো একজন শিল্পীর আইডেনটিটি। স্টেজ আমার জন্য আনন্দের জায়গা। আমি সত্যিই ভাগ্যবতী, এই ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে অডিয়েন্স আগে যেভাবে আমাকে রিসিপ করত এখনো একইভাবে করে থাকে।

 

‘আমি ঝিলিক’ গানটি অবমুক্ত হয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

নতুন বছরের প্রথম কাজ এটি। খুবই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। শুরুতে ভাবিনি যে সবাই গানটা এত পছন্দ করবে। কিন্তু প্রকাশের পর দর্শক-শ্রোতারা খুব প্রশংসা করেছে। প্রথমবার আমার নিজের নামে এ গানের নামকরণ হয়েছে। সেদিক থেকে এটি আলাদা ধরনের গান। গানটি লিখেছেন জামাল হোসেন। সুর মিলন মোহাম্মদের। এর সংগীত আয়োজন করেছেন সজীব দাস। মিউজিক ভিডিও নির্মাণে ছিলেন সৈকত রেজা। গাওয়ার পাশাপাশি মডেলও হয়েছি।

 

দুটি গান প্রকাশ হয়েছে। গান নিয়ে সামনে পরিকল্পনা কী?

হ্যাঁ, বছরের শুরুতেই আমি আর ইমরান মাহমুদুলের দ্বৈত গান ‘জেনে যাও তুমি’ প্রকাশ হয়। এরপর তো জানুয়ারিতে ‘আমি ঝিলিক’ প্রকাশ হলো। দুটোই রঙ্গন মিউজিকের ব্যানারে। আমি তো ঘন ঘন গান রিলিজ করি না। তাই দুটি গান প্রকাশের পর এখনো কোনো প্ল্যান করিনি। তবে দেখা যাক কী হয়।

 

সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

ভীষণ সন্তুষ্ট। আমার গান নিয়ে মানুষজন কথা বলে, সেটি অনেক বড় পাওয়া। অনেক অডিও গান, প্লেব্যাক করেছি। নিজের তিনটি অ্যালবাম আছে। দেশ-বিদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছি। তবে মানুষের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। চাহিদার শেষ নেই। আগামীতে আরও ভালো ভালো গান করার ইচ্ছা রয়েছে।

 

শিল্পীরা ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। আপনার নামে চ্যানেল হবে?

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমারও চ্যানেল খুলতে হবে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। হয়তো শিগগিরই ঘোষণা আসবে। আপাতত অনেক ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। সেখানেই আমার গানগুলো প্রকাশ করছি।

 

শিল্পীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কৌশল কী?

আমার কথা বললে আমি বলব, কখনোই সহশিল্পীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুভব করিনি। আমরা একটা পরিবার। এখানে যে যার মতো কাজ করছে। আমিও তাই। নিজের মতো থাকতে, কাজ করতে পছন্দ করি। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে দর্শক চাহিদা আর প্রযুক্তিগত বিষয় মাথায় রাখি। বাকিটা আপন গতিতেই চলবে।

 

পরিবার-প্রিয়জন নিয়ে তাহলে ভালোই আছেন?

একদম। ভীষণ ভীষণ ভালো আছি বাবা-মাসহ সবাইকে নিয়েই। আর আমি খুব অল্পতে তুষ্ট থাকা একজন মানুষ। চাহিদা খুব বেশি নয়।

সর্বশেষ খবর