মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হুমায়ুন প্রয়াণের এক যুগ

শোবিজ প্রতিবেদক

হুমায়ুন প্রয়াণের এক যুগ

প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি সবাই ফাল্গুনের উৎসবে মেতে থাকলেও তাঁর ভক্তদের মনে একটা শূন্যতা ঠিকই নাড়া দেয়। কারণ এদিন কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ফাগুনের রঙে বিষাদ ছড়িয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। দীর্ঘ এক যুগ পরও ভক্তদের মনে এখনো জীবিত আছেন তিনি। তাঁর কথা এখনো নাড়া দেয় ভক্তদের মন। শুধু অভিনয় দিয়েই মানুষকে বিমোহিত করেছিলেন ডাকসাইটে এই অভিনেতা। তাঁকে বলা হয় অভিনেতাদের অভিনেতা, একজন আদর্শ শিল্পী। তাঁর অভিব্যক্তি, অট্টহাসি, ব্যক্তিত্বের ভক্ত কে না ছিলেন! অনেকের কাছে তাঁর ব্যক্তিজীবনের গল্পও বেশ অনুপ্রেরণার। শক্তিমান একজন অভিনেতা ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা মঞ্চ- সবখানেই ছিল যাঁর অবাধ বিচরণ। নিজের চরিত্রকে এত অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতেন যে দর্শকরাও হারিয়ে যেতেন সেই অভিনয়ের মায়াজালে। দাপটের সঙ্গে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও তাঁর অভিনয় ছিল অতুলনীয়। শুধু সিনেমা নয়, টেলিভিশন নাটক এবং মঞ্চেও তাঁর অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন দর্শকরা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাংলাদেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে যোগ দেন তিনিও। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি তাঁর পড়াশোনা সম্পন্ন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে তিনি সেলিম আল দ্বীন সাহচর্যে আসেন। সেলিম আল দ্বীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’ নাটকে অভিনয় করেন। এটি ছিল তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক। এরপর, একে একে অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’- এর মতো দর্শকপ্রিয় নাটকে। ‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘মেহেরজান’। ২০১১ সালে নির্মিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন জয়া বচ্চনের সঙ্গে। 

 

সর্বশেষ খবর