শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

মোশাররফ ভাই দেবী নামে ডাকে

মোশাররফ ভাই দেবী নামে ডাকে

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’র নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। অন্যদিকে মিঠু খানের ‘নীলচক্র’ নামের সিনেমায়  আরিফিন শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ ‘সেরা নাচিয়ে’। বিজ্ঞাপন এবং নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করেছেন তিনি। মন্দিরার সঙ্গে ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল 

 

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের হাত ধরে এ ঈদে অভিষেক হচ্ছে সিনেমার পর্দায়। কেমন লাগছে?

খুবই ভালো। মনে হলো ঘুমিয়েছি, স্বপ্ন দেখেছি আর সকালে ওঠেই দেখলাম সেটা পূরণ হয়ে গেল। তখন যেরকম লাগবে প্রত্যেকটা মানুষের, আমারও ঠিক তেমন লাগছে।

 

এ সিনেমায় কাজল রেখা দুজন...

আমি এ ছবিতে কাজল রেখার চরিত্রে অভিনয় করেছি, তবে কাজল রেখার বড়বেলার চরিত্রে। আর কাজল রেখার ছোটবেলার চরিত্রে রয়েছেন সাদিয়া আয়মান। আসলে গল্পের প্যাটার্নটাই এমন। আর আমাদের লুকের সঙ্গে মিলেছে। সেলিম ভাই যেভাবে ট্রাই করেছেন সেটা খুবই যত্ন নিয়ে। সাদিয়ার ছোটবেলা আর আমার বড়বেলা, লুকের দিক থেকে আমরা দুর্দান্তভাবে গিয়েছি। ওর যখন ছোটবেলাটা কেটেছে সেটা একদম ডিফারেন্ট। আবার আমার বড়বেলাটা যখন এসেছে ওটাও সম্পূর্ণ আলাদা। বলা যায়, একেবারে আকাশ-পাতাল তফাৎ। আমাদের শুট কিন্তু একসঙ্গে হয়নি। এক-দুই দিন আমাদের দেখা হয়েছিল।

 

শুটিংয়ের সময় ঘাস খেয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

শুটের আগে আমাকে তো বলে দেওয়া হয়নি যে, তোমাকে চরের মধ্যে আমরা ফেলে দেব। চরের মধ্যে ডুবে থাকব। তারপর ঘাস চিবিয়ে খাব। সো সিনটা যখন চলছে যে আমি ঘাস খাচ্ছি, তো ঘাসের সঙ্গে মনে হলো যে বালিও খাচ্ছি। আমি যে বলব সেলিম ভাই থামান আমার মুখের মধ্যে বালি, সেটাও বলতে পারছিলাম না। সেই সাহসটা তো তখন ছিল না। আর যেহেতু সিনটা ভালো যাচ্ছিল সো ঘাসের সঙ্গে সঙ্গে বালুও একটানা গিলতে লাগলাম।

 

মোশাররফ করিম আপনাকে দেবী ডাকে?

আপনিও জানেন নাকি! আমি অনেক জায়গায় অনেক রকম প্রশংসা পেয়েছি। তবে মোশাররফ ভাই আমাকে দেবী নামেই ডাকে। দেখা হলে বলে দেবী, তোমার মধ্যে যেন কী আছে! বিষয়টা আমার কাছেও ভালো লাগে।  

 

আপনার ক্রাশ শুভর সঙ্গে ‘নীলচক্র’ করেছেন...

শুটিংয়ের আগে সব কথাবার্তার পর ডিরেক্টর যখন বলল যে আমার কো-অ্যাক্টর আরিফিন শুভ, তখন আমার মনে লাড্ডু ফুটছিল। কিন্তু আমি খুবই চুপচাপ ছিলাম। আমার ভিতরে যে কী হচ্ছে সেটা কাউকে বুঝতে দিচ্ছিলাম না। এরপর যখন শুনলাম শুভ ভাই কাজ করতে পারছেন না মুজিবের প্রমোশনের কারণে, তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি করলে শুভ ভাইয়ের বিপরীতেই করব। যদি সে না করে আমিও না। তার কিছুদিন পর জানলাম যে শুভ ভাই ছবিটি করছে। সো আমি তখন প্রাণ ফিরে পেলাম।

 

এটিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?

আমাকে মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির একজন মেয়ে দেখানো হয়েছে নীলচক্র ছবিতে। যে কি না ক্লাসিক্যাল ড্যান্সার মানে নাচের শিক্ষিকা। খুবই ওয়েল এডুকেটেড। খুবই পরিপাটি।

 

কাকে আইডল মনে করেন?

জয়া আপু। আই উইশ, আমি যদি ছেলে হতাম তাহলে আমি তাকে বাসায় তুলে এনে সুন্দর করে শোকেসে সাজিয়ে রাখতাম। তার দুই গাল ধরে টেনে দিতাম যেভাবে পুতুলকে আদর করে। আর তার সঙ্গে গল্প করতাম আর চেয়ে থাকতাম তার দিকে অপলক। আর চঞ্চল চৌধুরী আমার ফেভারিট।

 

বলিউডে অফার...

হ্যাঁ, পেয়েছিলাম। সেটা ৫ বছর আগের কথা। করিনি। কারণ বলা হয়েছিল যে, গার্ডিয়ান অ্যালাও না। এমনিতেই মা-বাবা কোথাও আমাকে একা ছাড়ে না। সব মিলিয়ে করা হয়নি।

 

বাস্তব লাইফের হিরো কে?

পার্মানেন্ট এখনো অবধি কেউ হয়নি। হলে তো জানাবই। খবর পাবেন।

সর্বশেষ খবর