সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

একজন কবির সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত

অভিনেত্রী জাকিয়া বারি মম। ইতোমধ্যে পার করেছেন ১৮ বছরের ক্যারিয়ার। চলচ্চিত্র, টিভি নাটক, ওটিটি- সব মাধ্যমেই তার দুর্দান্ত পদচারণা। ওটিটিতে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। তার বাবা কবি মজিবুল বারী। মম ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছেন সাংস্কৃতিক আবহে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

একজন কবির সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত

আপনার বাবার কবিতার বই বেরিয়েছে এবারের বইমেলায়...

আমার বাবা কবি মজিবুল বারীর কবিতার বই এসেছে। এটা নিসঃন্দেহে একটা দারুণ বিষয় আমার জন্য। আমি ছোট থেকেই আমার বাবার কবিতার সঙ্গে দারুণভাবে পরিচিত। টানে আমাকে। আমি সবসময় নিজেকে গর্বিত মনে করি ছোটবেলা থেকেই একজন কবির সন্তান হিসেবে। এটা বাবার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ কাঁদে মন। এর আগেও বাবার বই প্রকাশিত হয়েছে। 

 

বইটি কোন স্টলে পাওয়া যাবে বইমেলায়?

বইটি প্রকাশ করেছে কারুবাক প্রকাশনী। স্টল নাম্বার ৪৩৩। ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে এবং বইটি নিয়ে পাঠকের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রকাশক। এটা দারুণ বিষয়। আপনারা যারা বইমেলায় আসবেন অবশ্যই একবার কারুবাক- এর স্টল ঘুরে যাবেন।

 

ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছেন সাংস্কৃতিক আবহে...

ঠিক তাই, আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক আবহে বড় হয়েছি। আমার বাবা-মা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমার মা আমাকে টানা ১০ বছর বাড়ি থেকে ঢাকা আমাকে নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন নাচের জন্য। কালচারাল প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়েই আমার বড় হওয়া। আমি আমার নানার বাড়ি থেকে দাদার বাড়ি আলাউদ্দীন খাঁ সংগীতাঙ্গন সবকিছুতেই  ছিল উন্নত সাংস্কৃতিক পরিবেশ, যা আমার জীবনকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করছে এখনো। আমি এখন যা তার জন্য আমার পরিবার, টিম এবং ডিরেক্টরদের কাছে কৃতজ্ঞ।

 

১৮ বছরের ক্যারিয়ারে শুরু থেকেই ছিলেন সমানভাবে জনপ্রিয়...

জনপ্রিয়তা, ভালো অভিনেত্রী এত শব্দের আসলে দরকার নেই। আমি আমার কাজটা করতে ভালোবাসি। অভিনয় আমি ভালোবেসে করি। যে কাজটা আমি ভালোবেসে করি সেটার অবশ্যই একটা ভালো আউটপুট আছে। কখনো দর্শকদের সেটা খুব ভালো লাগে, আবার কখনো কম ভালো লাগে। এই ভালো লাগা ও মন্দ লাগার রাইটও তাদের আছে। আমি দর্শকদেরই সব থেকে বড় ক্রেডিট দিতে চাই। সেই সঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার ইন্ডাস্ট্রিকে।

 

শুটিংয়ে আপনি বদমেজাজি হন- এমন অভিযোগ করেন অনেকে...

দেখুন মোটেও এমন নয়। একটা ঘটনা বলি, নদীর পাড়ে গিয়েছি শুটিংয়ে। গিয়ে দেখি ফ্রেশ হওয়ার ব্যবস্থা নেই আবার ড্রেস চেঞ্জেরও ভালো ব্যবস্থা নেই। এমন হলে তো মাথা গরম হবেই। 

 

সর্বশেষ খবর