শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চলচ্চিত্রের কোনো ভাষা নেই

চলচ্চিত্রের কোনো ভাষা নেই

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডেও নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘ সাত বছর আটকে থাকার পর  বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে তার ‘পেয়ারার সুবাস’। একই সঙ্গে ওপার বাংলায় ‘ভূতপরী’ নিয়েও হাজির তিনি। বিভিন্ন প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

দুই বাংলায় একই সঙ্গে দুটি ছবি মুক্তি পেল। দর্শক সাড়া কেমন ছিল?

ভালোই বলা যায়। নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ এবং সৌকর্য ঘোষালের ‘ভূতপরী’-দুটি কন্টেন্টই ভালো। এ ছবি দুটি নিয়ে দুই দেশের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে ঘুরেছি। কারও কারও সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তাদের সিনেমা দুটি ভালো লেগেছে। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দুটি নিয়ে অনেকেই পজিটিভ মন্তব্য করছেন।

 

‘ভূতপরী’র ভূত কি ভয়ংকর না ভালো?

না, ভালো ঠিক বলব না। ভূতকে তো ভয় পাবেই। তবে হ্যাঁ ভয় ছাড়াও অনেক ইমোশন আছে। সেটা তো ক্রমশ প্রকাশ্য! তার জন্য দেখতে হবে ‘ভূতপরী’।

 

‘ফেরেশতে’ কাজটি কেমন ছিল? চরিত্রটি নিয়ে বলা যায়?

কাজটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পরিচালকসহ পুরো টিম ওদের দেশের ভাষায় কথা বলেছে। তবে চলচ্চিত্রের তো ভাষা নেই। সে কারণে আমরা সবাই অদ্ভুতভাবে সংযোগ করতে পেরেছি ওদের টিমের সঙ্গে। আর আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর মধ্যে যে সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্র রয়েছে, আমাদের চারপাশে দেখা এমনই একটি চরিত্রে কাজ করেছি।

 

হাতিকে বাধ্য করতে নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন...

আমার সঙ্গে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনও ছিল। আসলে হাতিদের যেভাবে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়, কয়েক মাস ধরে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়; এটা আমার কাছে একেবারেই মধ্যযুগীয় বর্বরতা মনে হয়। একটা আধুনিক বাংলাদেশে আমরা এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ ছাড়া হাতি একটি বিপদাপন্ন প্রাণী, এটা নিয়ে খেলা দেখানো অপরাধ ও নৈতিকতার পরিপন্থী। হাতি নিয়ে চাঁদা নিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এ বর্বরতা বন্ধ করার জন্য আমরা বহুবার বন বিভাগকে অনুরোধ করেছি। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে আমাদের দেশের এ সম্পদকে রক্ষা করতে আমরা মহামান্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি মহামান্য আদালত আমাদের রাষ্ট্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য যুগান্তকারী রায় দেবেন।

 

কোন ধরনের সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা রয়েছে?

অ্যাকশন সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। ওই ধরনের ছবি আমার দারুণ লাগে।

 

জয়ার কাছে প্রেম কী?

আমার কাছে প্রেম হলো আমার কাজ! জানি খুবই হাস্যকর শোনাল, কিন্তু এটাই সত্যি। (একটু ভেবে) আচ্ছা বলছি, প্রেম কী, প্রেম কী! কী করে বলব? আমার সঙ্গে তো কেউ প্রেম করতে চাইছে না! আরে সত্যি। সময় কই? সময় নেই প্রেম নিয়ে ভাবার। সময় লাগে না? আরে কেউ কেন আমার সঙ্গে থাকবে? আমাকে তো তাকে সময় দিতে হবে। সেটা না দিলে কোনোদিন কেউ থাকবে না। খুব বাজে এক্সপিরিয়েন্স এসব নিয়ে!

 

তাহলে ‘হ্যাপিলি সিঙ্গেল’ বলা যায়...

তা বলতে পারেন বৈকি! আমি সিঙ্গেলেই ভালো আছি। কিছু সময় ছিল যখন কারও সঙ্গে চা খাওয়াটা মিস করতাম বা কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করাটা মিস করতাম। কিন্তু আমার পরিবার এতটাই পাশে থেকেছে যে সেই আক্ষেপগুলো করার জায়গাও নেই।

সর্বশেষ খবর