বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

অডিও গানের অবস্থা ভালো নয়

অডিও গানের অবস্থা ভালো নয়

এ প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী অয়ন চাকলাদার। গায়ক হিসেবে সুনাম থাকলেও সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে রয়েছে আলাদা পরিচিতি। নতুন বছরে নতুন কিছু গান নিয়ে আসছেন ‘চল নিরালায়’-খ্যাত এই শিল্পী। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

বছরের শুরুটা কেমন হলো?

খুবই ভালো। কারণ, নতুন বছরের শুরুটা হয়েছে সিনেমার গান দিয়ে। এটি অপু-জয় অভিনীত ‘ট্র্যাপ’। এ সিনেমায় ‘পারি না বাঁচতে আমি’ গানটি প্লেব্যাক করেছি। এরপর তো ভ্যালেন্টাইন দিবস উপলক্ষে দুটি নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। একটি ‘আঁধারের ফুল’, অন্যটি ‘বেদনার হালখাতা’। দুটি নাটকের নির্মাতাই পথিক সাধন। ‘আঁধারের ফুল’ গানটি লিখেছেন নাসির খান ও সুর করেছেন শাহরিয়ার মার্সেল। আর ‘বেদনার হালখাতা’ গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন এবং সুরকার আদিব কবির। সামনে দুটি মিউজিক ভিডিও ‘সইবোনা’ ও ‘খবর নিও’ প্রকাশ পাবে অরোরা ও এইচ এম ভয়েস চ্যানেলে।

 

স্টেজ শোর ব্যস্ততা কেমন?

বেশকিছু স্টেজ শো করেছি এ বছর। নরসিংদীতে করেছি কিছুদিন আগে। এরপর রিভার ক্রুজে একটি অনুষ্ঠানে গান করলাম। ভ্যালেন্টাইনে মাইটিভিতে একটি লাইভ অনুষ্ঠানও করেছি।

 

নতুন কোনো দ্বৈত গান আসবে?

হ্যাঁ, নতুন একটি গান আসবে। ইমন সাহার সুরে গানটি আমি ও ন্যান্সি গেয়েছি। গানটির নাম ‘আনন্দ আশ্রম’। এ গানটি নিয়ে আমি আশাবাদী।

 

পরাণ সিনেমার ‘চলো নিরালায়’- এর পর অয়ন চাকলাদারের অবস্থান কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে?

আসলে গানটি আমার কাছে আশীর্বাদ। আমার ও আতিয়া আনিসার গাওয়া এ গানটি যারা শুনেছে সবার কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। এই সময়ে এসেও অনেক পজিটিভ মন্তব্য পাই ইন্ডাস্ট্র্রির ও কাছের মানুষদের কাছ থেকে। গানটির মাধ্যমে স্বীকৃতিও এসেছে যেটা আনিসা পেয়েছে। যখন স্টেজে উঠি গান গাইতে তখন সবাই এ গানটি গাওয়ার রিকুয়েস্ট করে। আমার সঙ্গে সবাই কণ্ঠ মেলায়। এমনকি কিছুদিন আগে একটি পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলের বাচ্চাদের অনুষ্ঠানে গিয়ে যখন এ গানটি ধরি, বাচ্চারাও চমকে দিয়ে একসঙ্গে গানটি গাইতে থাকে। আসলে আমাকে অনেকে না চিনলেও গানটি চেনে। প্রশংসা করে। সমালোচক থেকে শুরু করে সর্বশ্রেণির সবাই ইতিবাচক কথা বলে গানটি নিয়ে। এটাই বড় প্রাপ্তি।

 

প্লেব্যাকে সিন্ডিকেট নিয়ে মন্তব্য কী?

এটা আসলে সব জায়গাতেই ছিল। আমাদের দেশে শুধু নয়; পাশের দেশেও আছে। আমি মনে করি, যার সঙ্গে যে কমফোর্ট ফিল করে। এটা দোষের কিছু নয়। আমি এটাকে সিন্ডিকেট বলব না। তবে যারা ভালো কাজ করছে বা যোগ্য তাদের নিয়ে কাজ করা উচিত।

 

গানের ইন্ডাস্ট্র্রির বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?

ভালো পর্যায়ে নেই এখন। তবে সিনেমা-নাটকের গান কিছুটা ভালো হচ্ছে। অডিও গানের অবস্থা ভালো নয়। অডিও ইন্ডাস্ট্রি এখন তো নেই বললেই চলে। শ্রোতারা এখন হাতে গোনা কিছু শিল্পীর গানই শোনে। সেদিক দিয়ে সিনেমা-নাটকের গানে ঝোঁক বেশি। মিউজিক ভিডিও তেমন করে মার্কে পাচ্ছে না। আবার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অডিও গানের চেয়ে নাটকে ইনভেস্ট করছে। কারণ ভিউ হলেই লাভ। অন্যদিকে রয়্যালিটি, অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সংকট তো রয়েই গেছে। তাই এর থেকে উত্তরণ কঠিন। শিল্পীরা এখন স্টেজ শো করে সারভাইভ করছে। তাও সেটা তো অল্প সময়ের জন্য। যারা শুধু অডিও গান নিয়ে রয়েছে তাদের পক্ষে সারভাইভ করাটা কঠিন।

 

গান নিয়ে আগামী পরিকল্পনা?

আমি এখন বেছে বেছে অল্প কাজ করছি। নিজের সাউন্ড, আউটপুট, কম্পোজিশন নিয়ে ভাবছি। তবে অন্যের জন্য গান গাইছি বেশি। অন্যের গানের সুর ও মিউজিক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করছি যেন সবার মাঝে স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপন করতে পারি।

সর্বশেষ খবর