বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

আমি নিজেই আমার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

ঢাকাই শোবিজের অন্যতম তারকা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। এই ‘বড়ছেলে’ এখনো ছোটপর্দায় কাজ করছেন। পাশাপাশি এখন বড় পর্দা ও ওটিটিতেও সরব। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথোপকথন-

আমি নিজেই আমার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

সম্প্রতি অ্যাকশন হিরো হয়ে ধরা দিলেন...

এটি ‘ডার্ক জাস্টিস’ সিনেমা। এটিতে আমি জাস্টিস চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পে একই সঙ্গে আমাকে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়। আকবর হায়দার মুন্নার গল্প ভাবনা ও প্রযোজনায় দেলোয়ার হোসেন দিলের চিত্রনাট্য ও সংলাপে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তপু খান। কাজটি নিয়ে অনেকেই ভালো বলেছেন। আমি কাজটি করে খুশি।

 

সম্প্রতি ‘ইউএনও স্যার’-এর প্রিমিয়ার শোতে বলেছেন, ‘নাটকের অভিনেতারা সিনেমায় ভালো করেন না এটা ভিত্তিহীন’। কেন এ মন্তব্য?

এ ধারণার কারণে আমরা অনেক সময় পিছিয়ে যাই। ইদানীং একটা জোয়ার এসেছে। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, চরিত্র নিয়ে এখন অনেকেই সিনেমায় উপস্থাপন হচ্ছেন এবং সেগুলো ভালোও হচ্ছে। আফরান নিশো আছে, মেহজাবীন চৌধুরী আছে, তারাও কিন্তু মডেলিং করত। এরকম আরও অনেকেই আছেন যারা মডেলিং থেকে নাটক কিংবা সিনেমায় এসেছেন এবং ভালো করেছেন। এ ধারণাটা আসলে ভুল যে, মডেলরা অভিনয় করতে পারে না। চেষ্টায় কি না সম্ভব!

 

ছবিতে অভিনয় করবেন বলেই কি নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন?

নাটক কিন্তু ছাড়িনি, করছি। তবে একটু কম করছি। চেষ্টা করছি একটু বড় পরিসরে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার। অনেক দিন ধরে এক ধরনের কাজ হয়ে আসছে তো, চেষ্টা করছি আরেকটু বেটার কী করা যায়! নতুন কিছু করতে তো আসলে একটু সময় লাগে। চেষ্টা করছি। সেজন্য একটু থেমে, অপেক্ষা করে ভালো গল্প এবং ভালো আয়োজন নিয়ে দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাচ্ছি।

 

নাটকের নাম, গল্প কিংবা অশ্লীল উপস্থাপনা আপনাদের অস্বস্তিতে ফেলে?

নাটকের মধ্যে পড়ে না এমন কাজগুলোকে যখন নাটক বলা হয় তখন অবশ্যই অস্বস্তিতে পড়ি। নাটকের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। সেই বৈশিষ্ট্যের বেশ বাইরে গিয়ে যখন কোনো কাজ হচ্ছে সেটা অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে। শিল্পী হিসেবে আমি তো অস্বস্তি বোধ করিই, আমার মনে হয় আমার চেয়ে বেশি অস্বস্তি বোধ করেন দর্শকরা।

 

প্রথমবার কাজ করেছেন টলিউডের সিনেমা ‘চালচিত্র’তে। অভিজ্ঞতায় কেমন ছিল?

এখানে আমাকে যতটা সম্মান দেওয়া হয়, ওখানেও (কলকাতা) সেই একই সম্মান ও আন্তরিকতা পেয়েছি। আমাকে ছবির অন্য তারকারা বুঝতেই দেননি আমি বাইরের কেউ। কলকাতায় কাজ করা বাড়িতে কাজ করার মতো। আমি যে এটা প্রথম বলছি এমন নয়। আমাদের দেশ থেকে যারাই কাজ করতে গেছেন তারাই এটা বলেছেন। ওই জায়গাটাই এমন।

 

কলকাতার প্রথম কাজেই খলচরিত্র করতে কেন রাজি হলেন?

এত বছর পার করে এসে এসব নিয়ে ভাবি না। যারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তারা এভাবে ভাবেন। আসলে আমি গল্পটা দেখি। আর ‘চালচিত্র’ সিনেমার গল্পটা দুর্দান্ত। ব্যস, আর খুব বেশি ভাবনাচিন্তা করিনি। একটা ভালো সিনেমার অংশ হতে চাই।

 

শাকিব খানকে নিয়ে অপূর্বর মন্তব্য?

তিনি সুপার স্টার। এত বছর ধরে একটা ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে রাখতে দম লাগে। সেই সম্মান তার প্রাপ্য। কেউ কারও থেকে কম বা বেশি নয়। সবার জীবনে উত্থান-পতন থাকে। আজ যে সুপার স্টার, ভবিষ্যতে অন্য কেউ।

 

কাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন?

কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। আমি নিজেই আমার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’।

 

 

সর্বশেষ খবর