বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ভিউর বদলে ভালো কাজের আলোচনা হোক

শোবিজ প্রতিবেদক

ভিউর বদলে ভালো কাজের আলোচনা হোক

শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। অডিও এবং সিনেমার গানের পাশাপাশি নিয়মিত স্টেজ শোতে পারফর্ম করেন।  কিন্তু গত কয়েক বছর স্টেজ শোয়ের ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়েছেন এ শিল্পী। মনোযোগ দিয়েছেন রেকর্ডিং এবং সংসারে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কথোপকথন-

 

আপনার জীবনসঙ্গী আপনাকে উৎসর্গ করে বই লিখেছেন। এ নিয়ে ভালো লাগা কেমন?

এই এক অন্যরকম ভালো লাগা! এর আগে আমাকে উৎসর্গ করে তো কেউ কখনো বই লিখেনি। ধরেন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আমাকে উৎসর্গ করে লিখলো আর আমার স্বামীর কাছ থেকে উৎসর্গপত্র পাওয়া-দুইটা তো দুই রকম। নিশ্চয়ই এক না, ভিন্ন। আমি যদি বলি খুব ভালো লাগছে তাহলে সেটা সীমিত হয়ে যায়। ভালো লাগা এতটাই বড় যে কোনো শব্দ দিয়ে এটাকে শেষ করতে পারব না। আমার মনে হয় যে উনি ভালো লিখেন। তিনি আমার স্বামী বলে এটা আমার বেশিই মনে হয়। আমার জীবনসঙ্গী মহসিন মেহেদীর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বুনো জীবনের কাব্য’। এটি আজব প্রকাশ থেকে প্রকাশ হয়েছে। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।

 

এ বছর বেশকিছু নতুন গান প্রকাশ হয়েছে। সাড়া কেমন ছিল?

‘জোনাক জ্বলে’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ হয়েছে, যেটিতে কণ্ঠ দিয়েছি আমি আর হাবিব ওয়াহিদ। অনেকে বলছেন, হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গাওয়া আমার অন্য সব গান থেকে ‘জোনাক জ্বলে’ একেবারেই আলাদা। আর আমার ও হৃদয় খানের ‘আলিঙ্গন’ গানটিও সবাই পছন্দ করেছেন। এ ছাড়াও এহসান রাহীর সঙ্গে ‘সাতটি মাস’, কিশোর দাসের সঙ্গে ‘শুধু দুজনার’ গান শ্রোতারা ভালো বলেছেন। প্রকাশিত সব গানই দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া। গানগুলোর কথা, সুর ও সংগীতে ভিন্নতা ছিল।

 

একক গান কমিয়ে দ্বৈত গানে জোর দিলেন কেন?

এটি আসলে কাকতালীয়ভাবে হয়েছে। এটি হয়েছে শুধু সুরকার ও প্রকাশকরা চেয়েছেন বলে।

 

স্টেজে আপনাকে কম দেখা গেছে...

স্টেজে আমার ব্যস্ততা কখনোই সেভাবে ছিল না। এর কারণ, শিল্পী হিসেবে দর্শক-শ্রোতার কাছে আমার যে ইমেজ তৈরি হয়ে গেছে, আর আমি যে ধরনের গান গাই সে ধরনের গানের আয়োজন খুব কমই হয়। তাই অন্যদের তুলনায় আমাকে স্টেজে কম দেখা যায়। এ নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। মাধ্যম যেটাই হোক, আমি চাই ভালো গান শোনাতে, ভিন্নধর্মী কিছু সৃষ্টির অংশীদার হতে। একজন শিল্পী হিসেবেই আমাকে তুলে ধরতে চাই। আমি যখন গান করি তখন শিল্পী সত্তাই আমার মধ্যে কাজ করে।

 

লিপস্টিক সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন...

হ্যাঁ, ইমনের সংগীত পরিচালনায় আমি আর ইমরান একসঙ্গে প্লেব্যাক করেছি। গানের টাইটেল ‘নিন্দুকে’। মাঝে আরও কিছু প্লেব্যাক ও জিঙ্গেল গেয়েছি যা অনেকের ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা। আসলে এখন তো ঘর-সংসার ছাড়া আমার বেশিরভাগ সময় রেকর্ডিং স্টুডিওতেই কাটে।

 

সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’। কেন?

চারদিকে চলছে নোংরা বিষয়ের চর্চা আর মাতামাতি, যা আমাদের রুচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ভালো কোনো গল্প, গান, নাটক, সিনেমা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। কার ভিউ বেশি, কী ভাইরাল হলো তা নিয়ে যত শোরগোল। আমি চাই, ভিউর বদলে ভালো কাজের আলোচনা হোক। নান্দনিক সৃষ্টি নিয়েই সরব থাকুক প্রচার মাধ্যমগুলো। এভাবে চলতে থাকলে সত্যিই সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।

সর্বশেষ খবর