শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
নারী দিবসে বিশেষ আলাপন

বিশ্বব্যাপী নারীদের সাফল্যে আমি গর্বিত - ববিতা

 বিশ্বব্যাপী নারীদের সাফল্যে আমি গর্বিত - ববিতা

বিশ্ব নারী দিবসে আপনার ভাবনা নিয়ে কিছু বলুন-

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গর্ববোধ করছি বিশ্বব্যাপী অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় নারীদের সাফল্য অবলোকন করে। এ সাফল্য পরিবারের একজন সদস্য হওয়া থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অর্জন হতে পারে। এ দিনটি উদযাপনের লক্ষ্য হচ্ছে- সব ক্ষেত্রে সমঅধিকার স্থাপন, সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন।

 

এখন সময়টা কীভাবে কাটছে?

আমিতো সময় সুযোগ পেলেই কানাডায় আমার আদরের পুত্র অনিকের কাছে ছুটে যাই, ওকে রান্না করে খাওয়াই। আমেরিকায় ভাইদের কাছে যাই। এবারও অনেকদিন ওই দুই দেশে থেকে ফিরলাম। এসে গত কয়েকদিন আগে নানাবাড়ি যশোর গেলাম। যশোরের বিজয়নগরের চোরামনকাঠিতে আমার নানাবাড়ি। আমি উদ্যোগ নিয়েছি সেখানে মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা নির্মাণ করব। এখন সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ডিসিআইআইয়ের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি ২০১২ সাল থেকে। তা ছাড়া বাসায় ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যাতো আমার শখের  ব্যাপার। এসব নিয়েই সুন্দরভাবে আমার জীবনের দিনগুলো কেটে যাচ্ছে।

 

অভিনয় বা নির্মাণে আসছেন?

আমিতো বরাবরই বলে আসছি ভালো গল্প ও চরিত্রের অভাবে অভিনয় ছেড়েছি। এ দুটি যদি মনের মতো করে পাই তাহলে অভিনয়ে ফিরতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর নির্মাণের চিন্তা আপাতত বাদ দিয়েছি। কারণ সিনেমা হল আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, দর্শক সিনেমা হলে যায় না।

 

সাম্প্রতিক সময়ে ছবি দর্শক দেখছে...

হ্যাঁ, অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু ছবি দর্শক দেখছে। এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সত্যিই আশার কথা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দর্শক সিনেমা হলে যায় না। মানসম্মত ছবি নির্মাণ হয় না। সিনেমা হলের পরিবেশও ভালো না। এ অবস্থায় চলতি বছরের গত ঈদ থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া কিছু ছবি দর্শকসাড়া জাগাতে পারছে। এটি দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য সত্যিই সুখের কথা। এ সফলতা ধরে রাখতে হবে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দর্শক আসলে কী চায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

 

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা?

আমি সব সময় ইতিবাচক। আমি চাই আরও ভালো ভালো ছবি হবে। আমার কথা, এমন ছবি বানান যেগুলো বক্তব্যপূর্ণ ও সুন্দর হবে, আবার সমাজের জন্য বার্তাও থাকে; ব্যবসায়িকভাবেও সাফল্য পাবে। ভালো গল্প, স্ক্রিপ্ট, ডায়ালগ- সবকিছু মিলিয়ে যেটা হবে সেটাই ভালো সিনেমা। মানে এরকম না যে, শুধু ধুমধাড়াক্কাই হবে। সব মিলিয়ে ভালো ছবি বানাতে হবে। আমজাদ হোসেন, জহির রায়হানদের ছবিগুলো যে ধরনের হতো, সেগুলোকে আমি বলব, ফুল প্যাকেজের মুভি। কিন্তু এখন অনেক সময় ছবি বানানো হলো, শুধু সিনেমা হলে অল্প কিছু দর্শক গেল, তাতে তো কিছু হবে না। সব ধরনের লোকজনকে দেখতে হবে সিনেমা।

 

চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন?

অনেকে অনেক কারণে হতাশার কথা বলেন। অনেক ব্যবসায়ী আমাদের ফিল্মে ঢুকে গেছে। তারা শিল্পমান নয়, ব্যবসাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেন। সেদিক থেকে বিষয়টি হয়তো তারা বলছে, দেখা যাক কী হয়। আগে পরিবার নিয়ে দর্শক সিনেমা হলে যেত। তখন হলের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল, সিনেমা হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল। সবার তো আর গাড়ি ছিল না, রিকশায়, হেঁটে যে যেভাবে পারতেন সিনেমা হলে যেতেন; কিন্তু এখন অনেকে হলে যায় না। কারণ বেশিরভাগ সিনেমা হলের পরিবেশ দর্শক উপযোগী নয়।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর ১৫ বছর পূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

এ পত্রিকাটি ১৫ বছর ধরে প্রবল জনপ্রিয়তা নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এর একমাত্র কারণ বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন। পত্রিকাটির বিনোদন বিভাগ বেশ বলিষ্ঠতার ছাপ রেখে যাচ্ছে। আমি নিজেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারের একজন সদস্য মনে করি এবং এ জন্য গর্বিতও। বর্ষপূর্তিতে আমার শুভ কামনা রইল।

সর্বশেষ খবর