বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

জয়ার সহানুভূতি

শোবিজ প্রতিবেদক

জয়ার সহানুভূতি

‘প্রকৃতিতে এত প্রাণীকুল রয়েছে, রাস্তাঘাটে অনেক প্রাণী (কুকুর-বেড়াল) ঘুরে বেড়ায়, তাদের প্রতিও সহানুভূতি এবং ভালোবাসা জানানো দরকার। এটা আমাদের দায়িত্ব।’ বললেন, দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের বাইরে প্রাণীকুলের প্রতি প্রবল ভালোবাসা তার। প্রাণীদের অধিকার আদায়ে বারবার সোচ্চার হতে দেখা গেছে জয়াকে। তার করা রিটের কারণেই সার্কাসসহ চাঁদাবাজির কাজে হাতির বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধে লাইসেন্স প্রদান নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। তিনি বলেন, ‘চারপাশের অনেক কিছু নিয়েই আমরা ভাবি না। কিন্তু ভাবা উচিত। আমি মনে করি নতুন জেনারেশন অবশ্যই ভাবে। নতুন জেনারেশনের মধ্যে মানবিক গুণ আছে। মানবিক গুণ থাকলেই মানুষ। প্রকৃতিতে এত প্রাণীকুল রয়েছে, রাস্তাঘাটে অনেক প্রাণী (কুকুর-বেড়াল) ঘুরে বেড়ায়, তাদের প্রতিও সহানুভূতি এবং ভালোবাসা জানানো দরকার। এটা আমাদের দায়িত্ব। রাস্তাঘাটে তাকালেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চোখে পড়ে। এটা বন্ধের জন্য দেড় বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম। সম্প্রতি সেই চেষ্টার প্রতিফলন হয়েছে। মহামান্য হাই কোর্ট রায় দিয়েছেন। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। হাতিদের যেসব কাজে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু অনেক কঠিন কাজ। হাতিদের বাচ্চাকালে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এটা আধুনিক বাংলাদেশে চলতে পারে না। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে, খেলা দেখায়, নানা কাজ করে। এটা আইনত অপরাধ। নৈতিকতা বিরোধী’, বলেন তিনি। চাঁদাবাজির মাধ্যমে অনেক সময় হাতির মৃত্যুও ঘটেছে।  এ জন্য আমরা বন বিভাগকে অনুরোধ করেছি।  যার জন্য মহামান্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। রায়ও পেয়েছি। রায় হওয়াতে আমরা খুব খুশি। তাই আমাদের মানবিক হতে হবে। প্রাণীদের ভালোবাসতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর