মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

বাস্তবে আমি খুবই স্পষ্টবাদী

বাস্তবে আমি খুবই স্পষ্টবাদী

হাল সময়ের তারুণ্যের ক্রেজ অভিনেত্রী সারিকা সাবাহ। ২০১৯ সালে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’র ঝুমুর চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। সম্প্রতি বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে তার। এই  শোবিজকন্যার সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

রোজার সময়ও শুটিং থাকে। এই সময়ে খাদ্যাভ্যাস কতটা মেনে চলছেন?

খাবার-দাবারে আমি আসলে কখনোই ফোকাস ছিলাম না। যেটা ভালো লাগে খাই, ইচ্ছে না করলে খাই না। সো, আমি এই ব্যাপারে খুবই উল্টাপাল্টা। মা আমাকে যতটুকু জোর করে খাওয়ান, ততটুকুই।

 

কিন্তু ইদানীং আপনার মধ্যে একটা চেঞ্জ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রহস্য কী?

হ্যাঁ, আমি ওয়েট লুজ করেছি। তাই এমনিতেই আমার ক্ষুধা কমে গেছে। খুব বেশি খেতে পারি না। সো আলাদা করেই কোনোকিছু মেনটেইন করতে হচ্ছে না এখন। সবাই যা খায় আমিও তাই খাই।

 

কতখানি ওয়েট লুজ করা হয়েছে?

প্রথমে ২০ কেজি কমেছিল; তারপর আমি আন্ডারওয়েট হয়ে যাই। অসুস্থ হয়ে যাই। যেটা আমার জন্য হেলদি ছিল না। পরে অবশ্য দুই কেজি বেড়ে যায়। সবমিলিয়ে ১৮ কেজি কমিয়েছি। 

 

এবারের ঈদ প্ল্যান কী? সারিকার ছোটবেলার ঈদ আনন্দ কেমন ছিল?

কোনো প্ল্যানিং করা হয়নি। জাস্ট ঈদের দিনটা শান্তিমতো ফ্যামিলির সঙ্গে কাটাব, এতটুকুই প্ল্যান। আর আমরা তো জয়েন্ট ফ্যামিলি ছিলাম। তাই ঈদে আমার সব কাজিন আসত অস্ট্রেলিয়া, দুবাই থেকে। তখন একসঙ্গে ঈদ করা হতো। এখন তো সবাই সবার মতো ব্যস্ত। আমি নিজেও ব্যস্ত। এখন আমার ছোট্ট ফ্যামিলি বাবা-মা-দাদি আর আমি, এই চারজন একসঙ্গে ঈদ করি। 

 

পর্দার ঝুমুরের সঙ্গে বাস্তবের সারিকার মিল কতখানি?

আমার মনে হয় ইনোসেন্সে মিল আছে, আর কোনো কিছুতেই মিল নেই। এমনিতেই আমার চেহারাটা অনেক ইনোসেন্ট। মানুষও মনে করে। সবাই আমাকে প্রচুর আদরও করে। এ জন্য আমি একটু বাবলি বাবলি। কিন্তু আর কিছুতেই মিল নেই। ঝুমুর যেমন এটা বলতে পারে না, ঐটা বলতে পারে না কিন্তু আমি সবই বলে দেই। বাস্তবে আমি খুবই স্পষ্টবাদী। আমার যেটা ভালো লাগে না সেটা বলে দেই আবার ভালো লাগলে এপ্রিসিয়েট করি সেটা।

 

নতুন কাজে ব্যস্ততা কেমন?

এখন নাটকের কোনো কাজ হচ্ছে না। কিন্তু কিছু কাজ আসবে সামনে। নতুন কিছু কাজ হলে নতুন করে বলতে পছন্দ করি আমি।

 

নতুন কাজের জন্যই কি এই ওয়েট লুজ?

না, কাজের জন্য নয়; নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যই। আসলে ওয়েট বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে মেন্টালি অনেক কষ্ট দিত। সো, নিজেকে কনফিডেন্টভাবে উপস্থাপনের জন্যই এই ওয়েট লুজ।

 

সিনেমায় অভিনয়ের পরিকল্পনা কতদূর?

সব আর্টিস্টের একটা গোল থাকে যে আমি বড়পর্দায় কাজ করব। সিনেমা তো একটা আর্কাইভ যে আজীবন আমার মুভিটা থেকে যাবে। নাটক আজকে আছে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে বা টিভিতে, মালিক যদি বলে আমি ডিলিট করে দেব, দিতেই পারেন। মুভি এমন একটা আর্কাইভ যেটা আমি আমার নাতি-নাতনির সঙ্গে বসেও দেখতে পারব। সো, সারাজীবন যেন আমি প্রাউড ফিল করতে পারি, এমন কিছুই করতে চাই।

 

বন্ধুত্বকে কীভাবে দেখেন?

আমার সঙ্গে একবার যার ফ্রেন্ডশিপ হয় কখনোই নষ্ট হয় না। কারণ আমি মানুষকে খুব সহজেই বিশ্বাস করতে পারি না। আর যদি বিশ্বাস করি, সেই বন্ধু শব্দটা খুবই ইমপোরটেন্ট আমার কাছে। আমি আমার বন্ধুদের জন্য জীবনও দিয়ে দিতে পারি। সো, আমি বন্ধু হিসেবে খুবই ভালো। নিজের ক্ষতি করে হলেও বন্ধুদের আগলে রাখব।

 

প্রেমের বাঁধনে আছেন? নাকি সরাসরি বিয়ের প্ল্যান রয়েছে?

সব ভালোবাসা কাজ নিয়ে। আগেও কাজকে ভালোবাসতাম, এখনো বাসি, ভবিষ্যতেও বাসব। আর বিয়ে তো আল্লাহর ইচ্ছা। যখন জন্মেছি, এই জন্মটাও আমার ইচ্ছেতে হয়নি; মৃত্যুটাও আমার ইচ্ছাতে হবে না। সো, বিয়েটাও আল্লার ইচ্ছেতেই হবে।

সর্বশেষ খবর